।লিংক।
প্রতিটি শস্যকণার সাথে ভাগচাষীর আধারের সংযোগ করা হোক।
যাতে মুখে কীটনাশক দেওয়ার সময় সে জানতে পারে তার সাধের সোনা কোন ধনীর প্লেটে বিরিয়ানি হয়েছে।
প্রতিটি বন্ধ কারখানার ধুলোর সাথে লিংক হোক বেকার শ্রমিকের আধার।
অন্তত জানতে তো পারবে প্রোমোটারের সদ্য উত্থিত ফ্ল্যাটকমপ্লেক্সে গার্ডের চাকরি খালি আছে কিনা।
বেকার যুবকের আধারের সাথে মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির যোগ হলে বেশ মজা হয়।
মিছিলের আধবাসি প্যাকেট খাওয়ার মাঝে খবর আসবে ভেসে এইবারে ভোটে প্রতি ঘরে অঝোরে চাকরী আসবে ঝেঁপে। আর হো হো করে হেসে উঠবে তারা।
প্রতিটি গরীব ধার্মিকের আধারের সাথে যোগ করা হোক মন্দির-মসজিদ-গির্জার কোষাগারগুলো। যাতে ভুখা পেটে কে কটা বিধর্মী মেরেছে সেই গর্বের মাঝে তারা জানতে পারে, তাঁদের ঈশ্বর ঠিক কত বিত্তশালী।
প্রতি রাজনৈতিকের আধার যুক্ত হোক একেকটি সৈনিকের বেয়োনেটের সাথে। যাতে সঠিক সময়ে রক্ষকের নজরে পড়ে, তলে তলে ফোঁপড়া করে কারা দেশটাকে বেচে দিচ্ছে, আর বন্দুকের নল খুঁজে পায় সঠিক নিশানা।
রাজার তাবত ভাবনা আর প্রজার সমস্ত ইচ্ছার আধার লিংক হতে পারে, এমন বায়োমেট্রি বাধ্যতামূলক হোক। কোনটা কথার কথা আর কোনটা কিছুটা সত্যি, আধারের সংযোগে সেটা জানা দরকার।
রেটিনা ও আঙুলের ছাপ শুধু কেন তবে, আত্মাকে বেঁধে দেবো সরকারী পায়ে, হে ধর্মাবতার।
আর্যতীর্থ