ছাব্বিশ বছর হয়ে গেল সরকারী চাকরী। কত বিচিত্র অভিজ্ঞতা। কতো বিচিত্র মানুষের সাথে দেখা হয়েছে, কতো বিচিত্র সহকর্মীর সাথে কাজ করেছি। আজও, প্রতিদিন কত নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হয়ে যাচ্ছে। মানুষের সৌভাগ্য যে, সব কথা, সব ঘটনা মনে থাকে না। তা না হলে এত লক্ষ কোটি তথ্যের ভারে সবাই পাগল হয়ে যেত। তবুও মাঝে মাঝে এক একটা পুরাতন ঘটনা মনে এসে যায়। ঘটনার খুঁটিনাটি সব স্মৃতিতে ভেসে ওঠে। কিন্তু ঐ ঘটনার কুশীলবদের কারও কারও নামটা আর কিছুতেই মনে করা যায় না।
আমরা যখন সরকারী চাকরীতে যোগ দিই তখন অনিয়মগুলিই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। একটি ব্লকের সবথেকে সিনিয়ার ডাক্তারেরই ব্লক মেডিক্যাল অফিসার হওয়ার কথা, নিয়ম মত। কিন্তু, অন্তত আমার ঐ জেলায় গিয়ে দেখি সিনিয়াররা সব দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে। নতুন একটা কাউকে ধরে সবথেকে দায়িত্বপূর্ণ পদটিতে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে স্বাভাবিক ভাবেই যে সব সমস্যা হওয়ার কথা তাই হত। যে সব সিনিয়ার কৌশল করে দায়িত্ব এড়িয়ে যেত, তারাই একটা নতুন ছেলের “খবরদারি” মানতে চাইত না। এছাড়া ডাক্তারী করা আর আমলাগিরি করা এক কাজ নয়। মেডিক্যাল কলেজ থেকে আমরা রুগী দেখে চিকিৎসা করা শিখে বেরোতাম; আমলাগিরি তো কোথাও শেখানো হত না। ভুল করতে করতে যতোদিনে একটু আমলাগিরি শিখে নিতাম, ততোদিনে ঐ পদ ছেড়ে সরে পড়ার কায়দাটাও শেখা হয়ে যেত।
প্রথম যে জায়গায় আমলার পদে যোগ দিলাম সেখানে মাস ছয়েক টিঁকতে পেরেছিলাম। একটা কথা খুব তাড়াতাড়িই শিখে গেছলাম; কাউকে কাজ করতে বলা যাবে না। উপরওয়ালারা চাইবেন সব কাজ যেন গুছিয়ে হয়ে যায় । আর সহকর্মী আর অধস্তনরা চাইবে, কাজের কথা যেন না বলি। এভাবেই চলতো দিনগত পাপক্ষয়। কিন্তু সবদিন তো আর সমান যায় না। এক একটা ঘটনা বেশ ঝামেলায় ফেলে দিত। নিজের বুদ্ধি বিবেচনায় যতোটা পারা যায় মেটানোর চেষ্টা করতাম। নামে আমলা হলে কি হয়; আসলে যে নিধিরাম সর্দার , সেটা আমরা খুব তাড়াতাড়িই বুঝে গেছলাম।
প্রথম জায়গায় আমলাগিরি করতে গিয়ে বোকার মত অনেক বেশী দায়িত্ব সামলে নিয়েছিলাম। সেই বদনামটা কপালে লেখা হয়েই থেকে গেল। তাই যতোই পিছলে বেরোনোর চেষ্টা করি, আবার একটা জায়গায় জরুরী দরকার পড়তেই আবার আমার গলায় ‘ছাগলের দড়িটা’ পরিয়ে দেওয়া হল। ততোদিনে অবশ্য পদটার ঘাঁতঘোঁত অনেক জেনেও ফেলেছি।
একদিন দুপুরে একসাথে চারজন দিদিমণি আমার কাছে কাজে যোগ দিতে এলেন। চারজনই বেশ কম বয়সী। সবে পাশ করেছেন; প্রথম পোষ্টিং। চারজনই দক্ষিণ বঙ্গের। বাড়ী থেকে চারশ কি মি দূরে চাকরী করতে এসেছেন। যার যা কপালে লেখা আছে, কে খন্ডাবে! এই চারজনের মধ্যে একজন বেশ মুখরা, আর একজন স্মার্ট। এঁদের দুজনের কাজের জায়গা আমার সাথেই, ব্লক হাসপাতালে। আর যে দুজন একটু গোবেচারা তাঁদের কাজের জায়গা নির্দিষ্ট হয়েছে আরও পনের কি মি দূরের একটা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ব্লক হাসপাতালে একটা দেওয়াল ফাটা ডাক্তারের কোয়ার্টার ছিল। প্রথম দুজনকে বললাম, ওখানে থাকতে পারেন; আর কোন কোয়ার্টার খালি নেই। তখন ওঁদের আর কিছু ভাবার মত অবস্থাও ছিল না। কদিন পরেই বুঝেছিলাম, ওঁদের ঐ দেওয়াল ফাটা কোয়ার্টারই প্রাসাদ মনে হতে পারে কারো কাছে। বেচারা দুজনকে যেতে হল আরও প্রত্যন্ত গ্রামের ভেতরের কোয়ার্টারে।
বোধহয় দু সপ্তাহও হয়নি। এক দুপুরে ঐ দুই গোবেচারা দিদিমণি এসে প্রায় কেঁদে পড়লেন। ওনারা আর ঐ গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোয়ার্টারে থাকতে সাহস পাচ্ছেন না। আগের রাত্রে ওঁদের কোয়ার্টারের জানালার উপরের খড়খড়ি তুলে, কেউ টর্চের আলো ফেলেছে। এবার কি করি? এই হল আমলাগিরির এক একটা চ্যালেঞ্জ। ঐ মাঠের মধ্যে কোয়ার্টার, এরকম হলে তো যে কোন মহিলাই ভয় পাবে। ওঁদের নিরাপত্তার জন্য কি বা করতে পারি! অগত্যা ওঁদের দুজনকে থানার বড়বাবুর কাছে পাঠালাম। ওঁদের সাথে আগের সেই স্মার্ট দিদিমণিকে যেতে বললাম। থানার বড়বাবু আমাদের খুবই কাছের মানুষ। দিদিমণিদের বললাম, যান বড়বাবুর কাছে। ওনাকে সবই বলবেন। দেখি উনি কি বলেন।
মিনিট পনের পরেই থানা থেকে বড়বাবুর ফোন। “আরে ডাক্তার সাহেব, আপনার লক্ষী তো ঘরে থাকতেই চাইছে না, আমি আর কি করব!” এটা বুঝলাম, দিদিমণিরা আর ঐ গ্রামের কোয়ার্টারে যেতে চাইছেন না। আমি জোর করে পাঠাতে সাহস পেলাম না। একটা দুর্ঘটনা ঘটলে কি জবাব দেব। কিন্তু ওঁরা থাকবেন কোথায়? ওঁদের দুই ভাগ্যবতী সহকর্মী রাজী আছেন, একই কোয়ার্টারে চারজন থাকতে। এতে আমার আপত্তির কিছু নেই। ঐদিন থেকেই চারজন একসাথে থাকতে শুরু করলেন। পরদিন সকালের একমাত্র বাসে এঁরা দুজন কাজে গেলেন। বিকেলে নিজেদের সামান্য বাক্স বিছানা নিয়ে ফিরে এলেন। এই চারজনের বন্ধুত্ব আমাকে মুগ্ধ করল।
যে জিনিস আমাকে মুগ্ধ করে সেটাই আপনাকেও মুগ্ধ করবে এমন তো কোন নিয়ম নেই। ওঁদের দুজনের কোয়ার্টার ছেড়ে চলে আসাতে ওই গ্রামে যে তোলপাড় শুরু হয়েছে, সে খবর আমরা পাইনি। পরের দিন কাজে যেতেই কয়েকশ লোক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ঘেরাও করে ফেলল।
এখানে ওই ছোট্ট স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাজের ধারাটা একটু বলা দরকার। একজন ডাক্তারবাবু সকালে মোটরবাইক চালিয়ে ওখানে যান । ঘন্টা তিন-চার আউটডোরে রুগী দেখে দুপুরেই ফিরে আসেন। আমাদের ব্লক হাসপাতালের কাছেই ওনার বাড়ী। মাঝে মাঝে ব্লক হাসপাতালে একজনও ডাক্তার না থাকলে উনি এসে কোন জরুরী রুগী থাকলে দেখে দেন। ওনার চাকরীটা স্থায়ী নয় । কন্ট্রাক্টের চাকরী। আমি ওখানে যাওয়ার আগে থেকেই ওনার ঐ গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চাকরী। আমার থেকে বয়সেও বড়। দু একবারই দেখা হয়েছে। উনি নিজের কাজের জায়গায় কখন যান বা কদিন যান, আমার জানা ছিল না। গন্ডগোলটা হওয়ার পর জানলাম; উনি আগে সপ্তাহে ছদিন গেলেও, সেটা কমতে কমতে এখন সপ্তাহে দুদিনে দাঁড়িয়েছিল। বাকী দিনগুলি ফার্মাসিষ্টই চালাতেন। ফার্মাসিষ্টই ওখানকার “ডাক্তর”, সে অনেক বছর থেকেই। আমি নিজে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র একা একাই চালিয়েছি মাসের পর মাস। সকালে একজন সি এইচ এস ও আসতেন ঘন্টা তিন-চার আউট ডোর করতে। জেলা আপিসে মিটিং থাকলে আমাকে যেতেই হত। তখন ঐ দাদাকে ফোনে বলে যেতাম । ওনাকে প্রায় ডাকাই হত না । আমার না থাকার সময়ে, আমাদের ফার্মাসিষ্টই হাসপাতাল সামলাতেন। আমাদের এই দুই নতুন দিদিমণি যাওয়ার পর ঐ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ফার্মাসিষ্ট দুজন প্রতিবেশী পেলেন। আর, ঐ অভাগা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডেলিভারী রুগীদের দেখা শুরু হয়েছিল।
এই যে স্বাস্থ্যকেন্দ্র ঘেরাও হয়ে গেল, এই ব্যপারটাকে তখন অত্যন্ত জটিল এক স্থানীয় মারপ্যাঁচ মনে হয়েছিল। কিন্তু পরে ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখেছি, এ ছাড়া ওদের আর করার কিছু ছিল না। তো, ঐদিন দুপুরের পরে ঐ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একজন কর্মচারী একটি চিঠি নিয়ে এসে খবর দিল যে, ঘেরাও হয়েছে। আজ ডাক্তারবাবু যাননি, ফার্মাসিষ্টই চিঠি লিখে জানিয়েছেন। ঐ কর্মচারীকেই পাঠালাম, ওনাদের ডাক্তারবাবুর বাড়ী। ডাক্তারবাবুকে ফোনে জানালে উনি বললেন, “আমার কন্ট্রাক্টের চাকরী, আমি আর করব না। আমি আর ঐ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোন ব্যাপারে নেই।“ বুঝে গেলাম, ম্যাওটা আমাকেই সামলাতে হবে। থানার বড়বাবুকে খবর পাঠালাম। বড়বাবু আবার বিডিও সাহেবকে সব জানালেন।
বড়বাবু আমাকে বললেন, ডাক্তারই যদি না যায় তো দুটি বাচ্চা মেয়ে ওখানে থেকে কি করবে? আমি ফোর্স নিয়ে যাচ্ছি, মেয়ে দুট্টিকে তুলে আনছি। এরপর হাসপাতালে ডাক্তার কোথা থেকে পাঠাবে সে তো মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তার ব্যাপার; আমি আপনি কি করব! বিডিও সাহেব বেশ ঠান্ডা মাথার লোক। তিনি বললেন, চলুন, আমরা তিন জনেই যাই; লোকগুলিকে বোঝাতে হবে। জনা পনের কুড়ি কনস্টেবল একটা ট্রাকে, আর আমরা বিডিও সাহেবের গাড়ীতে চললাম। গাড়িতে যেতে যেতেই বিডিও সাহেব সমস্যাটা বুঝে গেলেন। রাত প্রায় নটায় পৌছে দেখি, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চত্তর লোকে লোকারণ্য। বিডিও সাহেব এসেছেন শুনে লোকজন বেশ আস্বস্ত হয়েছে মনে হল।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভেতরে সিমেন্টের বাঁধানো বেঞ্চেই বসলাম সবাই। আলোচনা যা হল প্রায় সবটাই বিডিও সাহেবের সাথে। আমাকে ডাক্তার আসার ব্যাপারে জানতে চাইলে এটুকুই বলতে পারলাম যে, ওদের ডাক্তারবাবু আর চাকরী করবেন না বলেছেন; আমি ডাক্তার আনার লোক না। ওদের ঐ জমায়েতের নেতা লোকটি দেখলাম নাটুকে। এমনিতে ওখানকার পঞ্চায়েতের বিরোধী পক্ষের লোক। নাটকীয় ভাবে একবার আমার পায়ে ধরছেন, একবার বিডিও সাহেবের পায়ে ধরছেন। যখন বুঝে গেলেন যে, এদের এখানে পিটিয়ে মারলেও, ডাক্তার আনার ক্ষমতা এদের নেই, তখন পড়লেন দিদিমণি দুজনের থাকা নিয়ে। মেয়েদের কোয়ার্টারে রাত্রে টর্চ মারা নিয়ে বলাতে প্রথমে বেশ কড়া আপত্তি জানাল। এটা ওদের গ্রামের বদনাম করা হচ্ছে। এমনকি দিদিমণিরা চলে যাওয়ার জন্য মিথ্যা বলছে, এমনও বলতে থাকল। দিদিমণিদের কোয়ার্টারের সব থেকে কাছে থাকেন একজন মাষ্টার মশাই। তিনি বললেন, ডাকলেই আমি চলে আসতাম।
নেতা ছেলেটি যে কথা বার্তায় বেশ চালাক চতুর সেটা ওর একটা “উকিলের যুক্তি” শুনলেই বুঝবেন। শেষ পর্যন্ত যখন দিদিমণিদের কোয়ার্টারে থাকা নিয়েই ঝোলাঝুলি শুরু হল, তখন ওঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কে নেবে জানতে চাইলাম। উত্তরে নেতা ছেলেটি বলল, কারও নিরাপত্তার দায়িত্ব কি কেউ নিতে পারে? “ইন্দিরা গান্ধীর কি নিরাপত্তা কম ছিল? তাঁকেও তো গুলি খেয়ে মরতে হল”। শেষ পর্যন্ত ঐ মাষ্টার মশাই-এর ভরসায় দিদিমণিদের দুজনকে ওখানের কোয়ার্টারে থাকতে হবে, সাব্যস্ত হল। রাত বারোটার পরে যখন দিদিমণি দুজন বিডিও সাহেবের গাড়ীতে ওই রাতের মত ফেরার অনুমতি পেলেন, তখন আর তাঁদের কাঁদারও শক্তি ছিল না। পরদিন আবার ওঁদের বাক্স বিছানা নিয়ে কোয়ার্টারে ফিরে যেতে হল।
গাড়িতে ফেরার সময় বড়বাবু বিডিও সাহেবকে বলছিলেন, ওনার ঐ তিন ঘন্টা নাটক শোনার ইচ্ছা ছিল না; এক সময় ভে্বেছিলেন, ঐ নেতাকে পিটিয়ে গাড়িতে তুলে আনবেন। অবশ্যই সেটা ভালো কাজ হত না। পরে কিন্তু ঐ নেতা বা ঐ গ্রামের লোকগুলির কাজকে আমার প্রসংশনীয়ই মনে হয়েছে। নিজেদের গ্রামের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অব্যবস্থা নিয়ে ওরা সেদিন যা করেছিল, ঠিকই করেছিল। আমার নিজের গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্র আজ বছর পনের হল ভূতের বাড়ী হয়ে পড়ে আছে। আমার গ্রামের লোকগুলির উদ্যমের অভাবই এর জন্য দায়ী। একটা কথা আমি প্রায়ই বলি, বাচ্চা না কাঁদলে মাও দুধ দেয় না। আমি চাষবাস , ব্যবসা নিয়ে মেতে থাকবো আর আমার গ্রামের সমস্যা শহর থেকে লোক গিয়ে মিটিয়ে আসবে, এটা না ভাবাই ভালো।
বাইশ-তেইশ বছর পর লিখতে গিয়ে এখন দেখছি সেই দুই দিদিমণির নামও ভুলে গেছি। সেই স্মার্ট দিদিমণি এখনও যোগাযোগ রাখেন, তাই তাঁর মেয়েই এখন সেই দুই দিদিম্রণি মত বড় হয়ে গেছে দেখেছি। ওদের দুজনেরও মেয়েরা হয়তো এখন নার্সিং ট্রেনিং নিচ্ছে। ওদের মায়েরা নিশ্চয়ই ছেলে মেয়ের কাছে গল্প করে সেই সব দুর্দিনের কথা বলেছেন। জানা হয়নিন, ওদের তখনকার নিধিরাম সর্দার, বি এম ও এইচ স্যারের সম্বন্ধে ওঁরা কি ভেবেছিলেন তখন। আর এখনও বা কি ভাবছেন? এতোগুলি লোকের দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে, হাত গুটিয়ে বসে থাকা উপরওয়ালা আর কোন দপ্তরে আছে কিনা জানি না। আজ আমার কন্যা একটা দপ্তরে ঐ রকমের কিছুটা দায়িত্বের পদে যোগ দিয়েছে। প্রথম মাস দেড়েক প্রশিক্ষণ চলবে। কি শিখছে জানতে গিয়ে ওর কাছে যা জানছি, তাতে নিজের সে সময়কার অসহায়তার কথাই মনে পড়ছে। এদের সিনিয়ররা কিন্তু নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে, কোথায় কি কি সমস্যায় পড়তে পারে, কি করে সামলাবে, এসবই শেখাচ্ছেন। আজকের নিধিরাম সর্দাররা অন্তত কাজে যোগ দিয়ে ,কি করতে হবে সেটুকু শিখে কাজে নামবে, এটা আশা রাখছি। তাতে নতুন আমলার বিড়ম্বনা যেমন কমবে , দপ্তরের কাজও অনেক ভালো ভাবে চলবে।