করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিঃশব্দে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। কিছু মানুষ, বিশেষতঃ স্বাস্থ্যকর্মীরা স্বভাবতঃই খুব আশাহত। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় এবং পরবর্তী ঢেউ থেকে বাঁচতে ভ্যাকসিন, মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্বের গুরুত্ব বেশীরভাগ মানুষ বুঝতে বা মানতে চাইছেন না।
অনেকেই ‘পরছি, কিন্তু পরছি না’ বা ‘সঙ্গে আছে, কিন্তু পরছি না’ ঢঙে মাস্ক ব্যবহার করছেন। অনেকের মাস্ক আবার এমনই যে, নাক ঢাকতে গেলে মুখ খুলে যায়, আর মুখ ঢাকতে গেলে নাক। কারো মাস্ক থুতনিতে ঝোলে, কারো কানে। কারো আবার ষ্টাইলিশ চশমার ঢঙে কপালে। মাস্কের বদলে রুমাল, গামছা, শাড়ির আঁচল, বোরখা ইত্যাদির ব্যবহার তো আছেই।
ভ্যাকসিন ও সামাজিক দূরত্বের গুরুত্ব নিয়ে পরে আসছি। আপাততঃ মাস্ক পরার সুবিধাগুলো নিয়ে আলোচনা করি।
১. মাস্ক পরলে কথার মাঝে থুতু ছিটায় না।
২. মাস্কের প্রচলন ও ব্যবহার- সিগারেট বিড়ির খরচ এবং ফুসফুসের স্বাস্থ্য- দুই ক্ষেত্রেই খুব উপকারী।
৩. মাস্ক পরলে যখন তখন খাওয়া-দাওয়া করা যায় না বলে শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৪. মাস্ক নোংরা দাঁতের দৃশ্য এবং মুখের দুর্গন্ধ থেকে অন্যদের বাঁচায়।
৫. মাস্ক পরলে সাদা দেওয়ালগুলো পানের পিক থেকে বাঁচে।
৬. মাস্ক পরলে পুরুষদের রোজ রোজ দাড়ি কামানোর খরচ ও সময় বাঁচে। প্রসঙ্গত, জর্জ বার্নার্ড শ’ বলেছিলেন যে, উনি নাকি দাড়ি না কামিয়ে সারা জীবনে আড়াই বছর সময় বাঁচিয়ে ছিলেন (সত্যি-মিথ্যা জানি না)।
৭. মাস্ক পরলে মহিলাদের লিপষ্টিকের খরচ বেঁচে যায় (কেস দেবেন্না প্লিজ!)
৮. মাস্ক পরে অনভিপ্রেত এবং অনাকাঙ্ক্ষিত চুম্বন থেকে বাঁচা যায়।
৯. মাস্ক পরা থাকলে সঠিক সময়ে সামনে বসে মুখ ভ্যাংচানো যায়।
আর হ্যাঁ, সঠিকভাবে পরা মাস্ক করোনা সংক্রমণও ঠেকায়। সুতরাং মাস্ক পরুন। জীবন বাঁচান। নিজের এবং অন্যদের।