শুনুন। শুনে নিন। আমরা যারা প্রচলিত প্যারা মিটারে মাপতে না পেরে বলে ফেলেছি: শালা সাইকো। আমরা যারা বলছি, রোজ বলছি, মালটা পাগল। এত করে বোঝাই কিন্তু সেই এক কথা।
আমরা যারা ওদেরকে আমাদের গণ্ডির বাইরে ছুড়ে দিয়ে আত্মমেহনে উৎফুল্ল হয়ে উঠেছি রোজ।
আমরা যারা ভেবে নিয়েছি অবসাদ , উদ্বেগ, সাইকোসিস– এইসব টি সি, ডি সি, ই এস আরে না মাপতে পারা রোগগুলো, যোগফল ভাগফল বিয়োগফলে হিসেব না মেলা ব্যাপারসেপারগুলো, আমাদের অর্ধশিক্ষিত অঙ্কের হিসেবে মেলেনি বলেই ভিত্তিহীন। ইচ্ছাকৃত। তাদের কানের পাশে চুপি চুপি বলে দিই: এটাও একটা রোগ।
হ্যাঁ। কোনও ইচ্ছাকৃত পালিয়ে যাওয়া ভীরু ভীরু ঘ্যানঘ্যানানি নয়। এও এক অসহায়তা। পেটব্যথা। ক্যান্সার। সি ও পি ডি ই-র মতই বিজ্ঞান ব্যাখ্যাযোগ্য। সম্পূর্ণ ভাবে রোগ মাত্র।
এর চিকিৎসা দরকার। মেডিক্যাল চিকিৎসা। একা একা কি ক্যান্সার সারে! একা একা একা কি ডাইবেটিস কমে? না। ডিপ্রেশন, মনের রোগ, সেও সারে না একা একা। শুধুমাত্র পাশে থাকা, আশ্বাস দিয়ে। তার পরও না হলে বিরক্ত হওয়া দিয়ে।
এটা বুঝুন।
পাগলা কোনও গালি নয়।
পাগলা কোনও চয়েস নয়।
মানসিক রোগ এক ধরনের অবর্ণনীয় যন্ত্রণা, সম্পূর্ণ রূপে বায়োকেমিক্যাল। রাস্তাঘাটে এদের কে তাচ্ছিল্য করার আগে, সাইক্রিয়াটিস্ট দেখতে যাওয়া মেয়েটিকে পাগল বলে দেগে দেবার আগে।
সুইসাইড করা নায়ককে এই হেরে যাওয়া মানায় না বলে উন্নসিক ঢং দেখানোর আগে একটু ভাবুন।
একজন পেট ব্যথার রুগীকে কেউ ঢিল মারে?
না মারে না। কিন্তু মানসিক রুগীকে মারে। একজন ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষ কে কি কেউ বলে? ধুর থামুন তো। নাটক বন্ধ করুন।
না করে না । কেন করে না। ওই যে । দুয়ে দুয়ে চার করতে না পারলেই, সে অসম্ভব। সে ভিন্ন গোত্রীয়। সে করুণাযোগ্য। এই ভুলের পৃথিবী তিল তিল করে তৈরী করেছে আমাদের উন্নাসিকতা । আসুন বেরিয়ে আসি। পা রাখি বিজ্ঞানের মাটিতে।
হ্যাঁ। এগুলি আসলেই রোগ। আর রুগী মাত্রই দাবী করে চিকিৎসা। সহমর্মিতা।
Good writings. Details needed.