মেঘের কাফন চাঁদকে ঢেকে বলে
ঘুমাও প্রেম, অনেক হাঁটা বাকি
নতুন করে বাঁচার খবর পেলে
হয়তো সেদিন তোমায় নেবো ডাকি।
এখন শুধু নিজের মাটি ডাকে
অনেক দূরে ভাতের গন্ধ মাখা
মাথার ওপর মৃত্যু ফেলে ছায়া
কখনও বা হঠাৎ রেলের চাকা।
ভাইরাস তুই কতোটা শক্তিশালী ?
বড়ো কি তুই খালি পেটের থেকে?
পায়ের তলায় না-চলা পথ কাঁদে
কাঁদে জীবন, মরণ কাছে দেখে।
দেশের মাটি নরম নিজের কাছে
আরো নরম মায়ের কাছে ডাকা
বাতাস মিঠে, মিঠে ছোট শিশুর
“বাবা” ডাকে গায়েতে হাত রাখা।
হয়তো বা সেই প্রেমের কবর খুঁড়ে
আবার তুমি আমার কাঁধে মাথা
কাফন খুলে ওড়না উড়ুক মেঘের
শুরু করো স্বপ্নমালা গাঁথা।
আধেক ঘুমে স্বপ্ন থাকে জেগে
একটু চলো পা-চালিয়ে ভাই
পৌঁছে যাবে একদিন সেই দেশে
এগিয়ে চলো শ্রমিক পরিযায়ী।
কবিতা টা খুব ভালো লাগলো, বর্তমানে পরিযায়ী শ্রমিক দের দুর্দশাকে কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন, আপনার সাথে আমিও সমব্যথী ।
ধন্যবাদ ?
এক কথায় অপূর্ব। হ্রদয় ছুয়ে যাওয়া এক অনুভূতি?
বন্ধু ❤
darun
ধন্যবাদ ?❤
ধন্যবাদ ? ❤
অনবদ্য স্যার?!!! আপনার কলমের আরো একটি অসাধারণ সৃষ্টি। ????
ধন্যবাদ ❤?
পরিযায়ী শব্দটি সম্পর্কে এতদিন জানতাম বিভিন্ন দেশ থেকে পাখিরা উড়ে এসে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় কিছু দিন থেকে আবার তাদের বাসস্থানে ফিরে যেতো সেই পাখিদেরকে পরিযায়ী পাখি বলা হয়ে থাকে। আজকে নিজ গৃহে পর বাসীর মতো নিজের দেশে থেকেই শ্রমিকদের পরিযায়ী সম্মোধন করা হল। অথচ এই শ্রমিকরাই দেশের চালিকাশক্তি। যে রাজ্যে গিয়ে তারা কাজ করেন সেই রাজ্যের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটে তাদেরই শ্রমের বিনিময়ে। আবার ঐ রাজ্য থেকে উপার্জিত অর্থ যখন তারা নিজেদের রাজ্যে পরিবারের কাছে পাঠান তখন পরোক্ষ ভাবে নিজেদের রাজ্যের রাজস্বের বৃদ্ধি ঘটে। সুতরাং দুই রাজ্যই উপকৃত এবং আক্ষরিক অর্থে সামগ্রিক দেশ উপকৃত। তাই যখন তারা বলছিলেন করোনা কি জানিনা, করোনায় মরবো কিনা তাও জানিনা কিন্তু এটা নিশ্চিত বাড়ি না ফিরতে পারলে না খেতে পেয়ে এমনিতেই মরে যাবো, তখনও জানা ছিল না এত শ্রমিক মারা যাবে। হয়তো তখনও আপনিও ভাবেন নি কিছু লিখতে হবে শ্রমিকদের নিয়ে। কিন্তু শ্রমিকদের বাস্তব পরিস্থিতিই আপনি লেখার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আজ যারা পরিযায়ী তারাই যে দেশের অন্যতম মেরুদণ্ড।।
যাইহোক, অসাধারণ লিখেছেন Sir ।।।
মন ছুঁয়ে গেল।।।।?