আপনারা ভ্যাক্সিন আর লকডাউনে ফেলেছেন একেবারে গুলিয়ে ,
দুটোর মধ্যে শুধু একটাই মিল, রোগের আগে হলে তবে কাজ করে,
লাভ হবেনা বোকা শিক্ষার্থীর মতো আগের ছবিতে পেনসিল বুলিয়ে
ভাইরাস পৌঁছে গেছে শহর ও গ্রামে, মোটামুটিভাবে সব পাড়ার ভেতরে।
অথচ, ওই মস্তিষ্কবিহীন আণুবীক্ষণিক আধাজীব সুযোগ দেয়নি বলতে পারবেন না।
প্রায় তিনমাস প্রস্তুতি নেওয়ার সময় দিয়েছিলো কোভিড উনিশ,
কিন্তু আপনারা বিজ্ঞানের যুক্তি মেনে কোনোভাবেই রাজনীতিকে ছাড়বেন না,
কেন্দ্র আর রাজ্যের মধ্যে ‘বনাম’ বসে তু তু ম্যায় ম্যায় চললো অহর্নিশ।
বিদেশী বিমানফেরতদের কাগজ দেখে ঘরে ডিটেনশন করা শক্ত ছিলোনা,
মাস্ক আর স্যানিটাইজারের প্রবল উৎপাদন ও রেশনে বন্টন ভাবেননি কেউ,
‘পরিযায়ী’ বলে গালাগাল না দিয়ে নাগরিক ভেবে যেতো কোনো প্ল্যান বোনা,
ঝাপ বন্ধ ও খোলাতে বিজ্ঞানের পরামর্শ নিলে, কিঞ্চিৎ কম হতো ভাইরাস ঢেউ।
অতীতের কথা থাক। ধারাভিকে দেখুন। বেলগাছিয়া বস্তিকে দেখে শিখুন,
মানুষকে বোঝানো গেলে কিভাবে আটকানো যায় রোগ এমনকি বস্তির ঘিঞ্জিতে,
মধ্য ও উচ্চবিত্ত তাচ্ছিল্যে উড়িয়ে বিধি যখন ছড়িয়ে গেছে রোগের আগুন,
হদ্দ গরীবেরা বিধি মেনে গিয়েছেন বেঁচে, দামী কিছু নয়, স্রেফ মুখ ঢাকা হাত ধোয়ার যৎকিঞ্চিৎ-য়ে।
লকডাউনের সময় চলে গেছে। আপনারা না মানুন, দেশ স্টেজ ফোরে,
আবার বন্ধ হলে বেঘোরে মরবে অর্থনীতি, কমবেনা এতটুকু সংক্রমণের হার,
কত থমকাবে রোগ, নির্ভরশীল সেটা কতজন বিধি মানে সেটার ওপরে,
বরঞ্চ সেটা নিশ্চিত করুন । যত কড়া হোক লকডাউন, এইভাবে ভাইরাস থামবে না আর।
প্রবাদের উটপাখি হয়ে যদি বালিতে গোঁজেন মুখ, উপায় হবে না সেটা এ ঝড়ে বাঁচার।
আর্যতীর্থ