An Initiative of Swasthyer Britto society

  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Close
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Close

মধ্য রাতের পথিক

IMG-20200710-WA0036
Dr. Aindril Bhowmik

Dr. Aindril Bhowmik

Medicine specialist
My Other Posts
  • July 11, 2020
  • 5:33 am
  • 5 Comments
  1. ১৮৫৪ সাল। লন্ডনের এক শীতল ও ভূতুড়ে রাত্রি।

রাস্তায় কুকুর বেড়ালও দেখা যাচ্ছে না। টিম টিম করে কয়েকটা গ্যাসের আলো জ্বলছে। সেগুলোর অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে না, সকাল অবধি সেগুলো জ্বলবে।

সারা শহরটাই কুয়াশার আস্তরণে ঢাকা। এই কুয়াশা নেমে এসেছে লন্ডনের মানুষদের জীবনেও। গত দশদিনে কলেরা মহামারির মত ছড়িয়ে পড়েছে শহরের আনাচে কানাচে। প্রতিদিন মারা যাচ্ছে শয়ে শয়ে লোক।

সন্ধ্যে হতেই লোকজন যে যার বাড়িতে ঢুকে দরজা জানলা বন্ধ করে গৃহবন্দী হয়ে থাকছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছে না কেউ। বাতাসে যে বিষ মিশে আছে। বিষ-বাষ্প।

বিখ্যাত বিজ্ঞানীরা বলেছেন, কলেরা রোগ ছড়ায় বাতাসের মাধ্যমে। লন্ডন শহরে পয়ঃপ্রণালী বলে কিছু নেই। সারা শহরের মানুষ এবং অন্যান্য জীবজন্তুর মলের দুর্গন্ধ, পচা জঞ্জালের দুর্গন্ধ কলেরার বিষ-বাষ্প তত্ত্বকে আরও বেশী যুক্তিগ্রাহ্য করেছে।

পাথরের রাস্তায় একটা জুতোর শব্দ শোনা গেল। ঠক… ঠক… ঠক…। কে এই সাহসী পুরুষ। তাঁর পরনে ওভারকোট। টুপিতে চোখ ঢাকা পরেছে। মুখে রেশমি রুমাল বাঁধা। হয়ত বিষ-বাস্প থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যই। তাতে আরেকটা সুবিধাও হয়েছে। ব্যক্তিটিকে চেনা যাচ্ছে না।

তিনি নিজেও চান না তাঁর পরিচয় প্রকাশ পাক। আজ যে কাজ তিনি করতে চলেছেন, সেটি সরকারের দৃষ্টিতে গুরুতর অপরাধ। ধরা পড়লে তাঁর কঠিন শাস্তি হবে। কিন্তু কাজটা তাঁকে করতেই হবে। না হলে বাকি জীবন তিনি আয়নায় মুখ দেখতে পারবেন না।

এই ব্যক্তির নাম জন স্নো। তিনি লন্ডন শহরের একজন নাম করা অজ্ঞান করার চিকিৎসক। কিন্তু দশদিন ধরে অপারেশন থিয়েটারের বদলে তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন কলেরা আক্রান্ত শহরের অলিতে গলিতে। নিজের হাতে এঁকেছেন একটি মানচিত্র।

সেই মানচিত্রে আছে শহরের তেরটি জলাধার এবং ৫৭৮ জন কলেরায় মৃত ব্যক্তির ঠিকানা।

এই মানচিত্র আঁকার সময় তিনি একটি অদ্ভুত জিনিস লক্ষ্য করেন। লন্ডনের জল সরবরাহ তখন নির্ভরশীল ছিল মূলত তেরটি অগভীর জলাশয়ের উপর। সেখান থেকে হাতে চাপা পাম্পের সাহায্যে সাধারণ মানুষ জল সংগ্রহ করতো। জন স্নো লক্ষ্য করেন ব্রড স্ট্রীটের(বর্তমানে ব্রডউইক) জলের পাম্প ব্যবহারকারীদের মধ্যে বেশী মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

কিন্তু তা কি করে সম্ভব। সকল চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানীরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন বাতাসের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়। সেখানে একটা জলাধারের কি ভূমিকা থাকতে পারে? তাহলে কি রোগটা বাতাসের মাধ্যমে নয়, ছড়ায় পানীয় জলের মাধ্যমে।

কেউ তাঁর কথা মানেননি। তিনি লন্ডন শহরের প্রশাসনকেও জানিয়েছেন। প্রশাসনের কর্তারা হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ডাঃ জন স্নো কি করে নিজের পর্যবেক্ষণকে অগ্রাহ্য করবেন। সত্য তো সবসময় সত্যই। সমস্ত পৃথিবী যদি অন্য দিকেও থাকে তার চাপে কি করে তিনি সত্যকে অস্বীকার করবেন।

তাই এই মাঝরাতে তিনি বেরিয়ে পড়েছেন। তাঁর ওভার কোর্টের পকেটে আছে একটা বড় রেঞ্জ। যা হয় হোক। তিনি তার কর্তব্য পালন করবেন। মনে মনে আরেকবার হিপোক্রেটিসের শপথ আউড়ে নিলেন। “প্রাণভয়ে ভীত হয়ে আমি যেন রোগীর চিকিৎসায় গাফিলতি না করি। আমার অর্জিত জ্ঞানকে প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও আমি যেন রোগীকে সুস্থ করার কাজে ব্যবহার করতে পারি।”

তিনি অনুভব করতে পারছিলেন হৃদপিণ্ডের গতি ক্রমশ বাড়ছে। তিনি কি পারবেন তার কার্যে অবিচল থাকতে। ডাঃ জন স্নো বিশ্বাস করেন ঈশ্বর সকলকেই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন বিশেষ কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে। আজ তাঁর ঈশ্বরের কাছে জবাবদিহি করার দিন।

ব্রড স্ট্রীটের হস্ত চালিত জলের পাম্পের সামনে এসে তিনি থামলেন। এদিক ওদিক দেখলেন। কেউ কোথাও নেই। নিশ্চিন্ত হয়ে নিজের কাজ শুরু করলেন।

চারদিক ভয়ংকর শান্ত। দিনের বেলায় এখানে জল নেওয়ার জন্য গরীব শ্রমিকদের লাইন পরে। কোলাহলে রাস্তাটা গম গম করে। আর এই মাঝ রাতে শুধু শোনা যাচ্ছে ইস্পাতে ইস্পাতে ঠোকাঠুকির ধাতব শব্দ। এই শীতেও ডাক্তারবাবুর কপালে ঘাম জমছে।

শেষ পর্যন্ত তিনি পারলেন। খুলে ফেললেন জলের পাম্পের হ্যান্ডেল।

পরেরদিন সকালে হই চই পরে গেল। কে যেন পাম্পের হ্যান্ডেল খুলে ফেলেছে। পুরো নলকূপটাই অকেজো। কে জানে সারাতে কতদিন লাগবে। লন্ডনে কর্পোরেশনের আঠারো মাসে বছর। সে কদিন দূর থেকে জল আনতে হবে। একে ঘাড়ের উপর কলেরার মৃত্যু খাঁড়া। তার সাথে ঘরের পাশের নলকূপটাও খারাপ। কর্পোরেশনকে গালা গালি দিতে দিতে তারা চলল অন্য জায়গায় জলের সন্ধানে।

কিন্ত কি আশ্চর্য। নাটকীয়ভাবে কলেরার মহামারী থমকে গেল তারপরেই। ডাঃ স্নো তখন জনসমক্ষে আনলেন ঘটনাটিকে। বললেন, কলেরা বায়ুবাহিত নয়, এটি আসলে জলবাহিত রোগ।

কিন্ত এর পরেও বৈজ্ঞানিকরা বিশ্বাস করেননি ডাঃ জন স্নো- এর মতবাদ। বিখ্যাত জার্মান বৈজ্ঞানিক ম্যাক্স ভন পেটেনকন এর বিরোধিতা করে বলেছিলেন, কলেরা একটি বায়ুবাহিত রোগ যার উৎপত্তির কারণ জীবাণু, স্থানীয় ও জলবায়ুর অবস্থান এবং এই ধরণের রোগীদের রোগ সংক্রমণের ব্যাপারে অন্তর্নিহিত কোনও দুর্বলতা থাকে।

যদিও পরে ফিলিপো পসিনি, রবার্ট কখ প্রমুখ বিজ্ঞানীরা নিঃসন্দেহে প্রমাণ করেন কলেরা বায়ু বাহিত নয়, বরঞ্চ জল বাহিত রোগ।

ডাঃ জন স্নোর সেই কলেরা রোগীদের অবস্থান দেখিয়ে লন্ডনের বিখ্যাত মানচিত্রটি epidemiological Society of London – এ রাখা আছে।

PrevPreviousকরোনার বাড়-বাড়ন্ত
NextভুলNext

5 Responses

  1. Arunangsu De says:
    July 11, 2020 at 4:54 pm

    Fantastic.

    Reply
  2. Partha Das says:
    July 13, 2020 at 12:04 am

    দারুন।

    Reply
  3. ปั้มไลค์ says:
    July 27, 2020 at 7:42 am

    Like!! Thank you for publishing this awesome article.

    Reply
  4. กรองหน้ากากอนามัย says:
    July 27, 2020 at 7:44 am

    I really like and appreciate your blog post.

    Reply
  5. SMS says:
    July 27, 2020 at 7:47 am

    I used to be able to find good info from your blog posts.

    Reply

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সম্পর্কিত পোস্ট

দিনলিপি ২৩শে জানুয়ারী

January 28, 2021 No Comments

আমাদের দেশে ভ্যাকসিন roll-out আজ প্রায় সাত দিন হতে চলল। খুবই আশাব্যঞ্জক চিত্র ভেসে উঠছে দেশের চারিপাশে। এখনো পর্যন্ত প্রায় বারো লাখ স্বাস্থ্যকর্মীকে ভ্যাকসিন দেওয়া

রক্ত– জোগাড়, দান, প্রক্রিয়াকরণ, সঞ্চালন

January 28, 2021 No Comments

এই দীর্ঘ ধারাবাহিক লেখাটি থেকে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পাবেনঃ ১) আপনার কোনো আত্মীয়ের জন্য রক্ত লাগলে কী করবেন? ২) চিকিৎসক রক্তের প্রয়োজনের ব্যাপারে রোগীর আত্মীয়দের

সমস্ত ভারতীয় নবজাতকের জন্মের পর থাইরয়েডের পরীক্ষা কেন করা দরকার?

January 28, 2021 No Comments

ডা দোলনচাপা দাশগুপ্তের ইউটিউব চ্যানেল থেকে।

মনের অসুখ, শরীরের অসুখ ৩ঃ ডিসোসিয়েটিভ ডিসঅর্ডার

January 27, 2021 No Comments

ডাক্তার মধুবন্তী বসু বেশ নামকরা নিউরোলজিস্ট। কলেজের বন্ধুত্বের কারণে তিনি মাঝে মাঝেই পেশেন্ট রেফার করেন ডাক্তার নন্দীর কাছে। সেই সূত্রেই তাঁর কাছে কয়েক মাস হল

বইকুণ্ঠের জার্নালঃ ক্যাসিয়াস ক্লে ও সিস্টার নিবেদিতা

January 27, 2021 No Comments

অর্বাচীন দু’টি নিরীহ প্রশ্ন করি। ক্যাসিয়াস ক্লে আর সিস্টার নিবেদিতার মধ্যে মিল কোথায়? কোথায়ই বা মিলে গেছেন আমাদের মধুকবি আর অম্বরীশ দাস? প্রথমে ক্যাসিয়াস ক্লের

সাম্প্রতিক পোস্ট

দিনলিপি ২৩শে জানুয়ারী

Dr. Parthapratim Gupta January 28, 2021

রক্ত– জোগাড়, দান, প্রক্রিয়াকরণ, সঞ্চালন

Aritra Sudan Sengupta January 28, 2021

সমস্ত ভারতীয় নবজাতকের জন্মের পর থাইরয়েডের পরীক্ষা কেন করা দরকার?

Dr. Dolonchampa Dasgupta January 28, 2021

মনের অসুখ, শরীরের অসুখ ৩ঃ ডিসোসিয়েটিভ ডিসঅর্ডার

Dr. Chandrima Naskar January 27, 2021

বইকুণ্ঠের জার্নালঃ ক্যাসিয়াস ক্লে ও সিস্টার নিবেদিতা

Dr. Arunachal Datta Choudhury January 27, 2021

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

293479
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।