ইদ এলেই আমার মোবারকের কথা মনে পড়ে যায়।
মোবারক। মোবারক আলী। কালচিটে-মারা ময়লা ফেজটুপি, ইট রঙের ঢোল্লা পাঞ্জাবি আর প্রায় ‘নেই’ হয়ে যাওয়া কোমরে খিঁচে বেঁধে রাখা লুঙি সমেত বছর কুড়ি বাইশের একটি নিষ্প্রভ ছেলে। বগলে ক্যাটক্যাটে সবুজ রঙের একটা পুঁটলি নিয়ে ভর্তি হ’তে এসেছে আমার হাসপাতালে। এসেছে গঙ্গাপারের এক জনপদ থেকে। সঙ্গে, খাঁকি উর্দিধারী এক স্যালুট-ঠোকা প্রৌঢ়।
দুজনেই বোকার মত দাঁত বের করে হাসছে একসাথে। প্রৌঢ়র দাঁতে পান-খয়েরের দাগ আর মোবারকের ঠোঁটে নীলচে আভা। অর্থাৎ, সায়ানোসিস। পরিশুদ্ধ রক্ত পৌছচ্ছে না মোবারকের শরীরে।
এ বিষয়ে, অর্থাৎ মোবারক-আগমনের বিষয়ে কথাবার্তা যদিও যা যা হওয়ার ছিল… হয়ে গিয়েছিল দিন কতক আগেই। সম্ভবত দিন দুই তিন পূর্বের এক সকালে স্কুটারে স্টার্ট দিচ্ছিলাম যখন হাসপাতাল যাব বলে, তখনই ফোন এসেছিল অচেনা ল্যান্ডলাইন নম্বর থেকে–ডক্টরবাবু বলছেন? আমি আলম সিদ্দিক। মিনিস্টার সাহেবের পি.এ। স্যার কথা বলবেন আপনার সাথে। ধরুন একটু।
দুরুদুরু বক্ষের প্রায় ত্রিশ সেকেন্ডের খসখস শব্দ সমেত অপেক্ষার শেষে কফে ভর্তি এক কণ্ঠস্বর ভেসে এসেছিল ওপার থেকে।– ডক্টরসাব সালাম। আমি মইনুদ্দিন চোধুরী বলছি। এম.পি। গঙ্গাপারের শহর। আপনি জাল-প্যায়-গুড়ি টিবি হসপিটালে আছেন তো? নাম শুনলাম আপনার খুব। তো ডক্টর সাহেব, আমার এক ভাতিজা যাবে আপনার কাছে। ওকে রেখে দিবেন। ট্রিটমেন্ট করবেন। ঠিক? ছা-ড়লাম।
ছাড়তে দিইনি যদিও। বয়স তখন বত্তিরিশ। বুকের মধ্যে তখন উদ্ধত অবুঝ আগুন। রিং ব্যাক করে সপাট জানিয়েছিলাম, –স্যার?…কে?…. ও আপনি….হ্যাঁ, সিদ্দিক বাবু, শুনুন গঙ্গাপারের এই জনপদ আমার আন্ডারে পড়ে না। রোগীকে অন্য কোথাও পাঠান। ট্রিটমেন্টের জন্য। এটাই নিয়ম। সব্বার জন্য। সব্বার। নিয়ম একই।
ফিরতি এই ফোনকলের ফলাফল ভালো যে হয়নি তা বলাই বাহুল্য। সি.এম.ও.এইচ সাহেব তো বটেই, ফোন এসেছিল খোদ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ভারী চেয়ার থেকে– বেশি পাকামি না করে যা যা বলা হচ্ছে চুপচাপ শোনো। মন্ত্রী শুনেছেন যে তোমার ওখানে ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট টিবির ভালো চিকিৎসা হয়। তাই ওখানেই পাঠাচ্ছেন। ভর্তি নিয়ে নাও।
এত বখেড়ার পরেও শুনতাম না হয়ত। কিন্তু ওই যে! কমবখত আত্মপ্রসাদ। “ড্রাগ রেজিস্যান্ট টিবির চিকিৎসা তোমার ওখানে ভালো হয়…।”
অতএব, এই যে মোবারক দাঁড়িয়ে রয়েছিল এইখানে। হাসপাতালে। উর্দিধারী সমেত। আমার সামনে। সম্যক।
বগলে বাগিয়ে রাখা সবুজ রঙের পুঁটলিওয়ালা মোবারক আলী। মন্ত্রীমশাইয়ের ভাইপো। ফর্সা, লম্বা এবং কল্পনাতীত রকমের রোগা একজন মানুষ।
যে মানুষটি নীলচে ঠোঁট আর সবুজ পুঁটলি সমেত ভর্তি হয়ে গেল আমায় হাসপাতালে সেই সেদিন, তখনই। আর উর্দিধারী, টুকরি ভর্তি আপেল দিয়ে গেলেন ভেট হিসাবে–স্যার পাঠিয়েছেন। রাখেন। মোবারক। খ্যাল রাখবেন। আসব আমরা মাঝে মাঝে। দেখে যাব।
তো, থেকে গেল মোবারক। দোতলা ইনডোর বিল্ডিংয়ের একতলার একটা ঘরে। রোগী সংখ্যা সাতাশ থেকে বেড়ে হলো আঠাশ। আর দিন গড়ালো। ক্রমশ।
হপ্তাখানিকের মধ্যেই বোঝা গেল, মোবারক চোস্ত ছেলে। নিজেই ঝাঁটফাট দিয়ে ঘরটাকে ঝকঝকে করে ফেলেছে এক্কেবারে। ডানহাতি দেওয়ালে টাঙিয়ে ফেলেছে ঘোর কালো আর সূক্ষ্ম সোনালী রঙের ‘কাবা’র পাথুরে গৃহের ফটো। দড়ি খাটিয়ে শুকোতে দিয়েছে জল-কুঁচকানো চেক চেক লুঙ্গি। আর ক্যাটক্যাটে সবুজ রঙের পুটলির কাপড়টাকে চার ভাঁজ করে বানিয়ে ফেলেছে পা মোছার –পাপোশ। হুকুম এবং নম্রতা মিশ্রিত এক আশ্চর্য কণ্ঠস্বরে বলতেও শুরু করেছে, রাউন্ডের সময়– জুতা কাপড়ে মুছে আসেন। আল্লাহ পাক সাফাই পছন্দ করেন, সাদগি-ও।
আমার আপত্তি ছিল না। বস্তুত আমি নিজেও, গল্প খুঁজে পেতে শুরু করেছিলাম একটা অন্যরকম চরিত্রের। পা তাই মুছে মুছেই ঢুকতাম বার চারেক ঘষে ঘষে। মোবারক খুশি হত। হাসত। নীলচে ভাব কাটতে শুরু করেছে ওর ঠোঁটের। একটু কালচে এখন।
এ ভাবেই এগোচ্ছিল। দুটি মানুষ, যারা ডাক্তার-রোগী তো বটেই কিন্তু তার থেকেও বেশি – পরস্পরকে চিনতে ইচ্ছুক, মেপে নিতে ইচ্ছুক দুটি চরিত্র,তারা…মিলমিশ খাচ্ছিল একটু একটু।
– ভাত খাচ্ছ? মোবারক। খাও। মন্ত্রী সাহেবের ভাইপো তুমি। খাও। আছ কেমন? খাও। যার যেরকম রিজিক।
– আপনি রিজিক জানেন? সার? আপনি বাঙালি না?
– বাঙালি তো তুমিও মোবারক। হ্যাঁ আমি হিন্দু। তো রিজিক জানব না কেন! যার অন্ন যেখানে…অন্ন জানিস তো…ভাত…যার ভাত যেখানে যেভাবে লেখা থাকে…।
এসব টুকরো টাকরা চমক দেওয়া কথাবার্তায়, আর নিক্তিমাপা ‘তুমি/তুই’ য়ে মোবারক বশ হয়ে পড়ছিল ক্রমশ। আমি যদিও , ঈশ্বর জানেন,খুদাতালা সাক্ষী…খুব ভেবেচিন্তেই এসব চমক দিয়ে যাচ্ছিলাম। সাহায্য করছিলেন যদিও হুমায়ূন আহমেদ। হিমু আর মিসির আলির বাইরে যে আদত-লেখক-হুমায়ূন থাকেন, সেই হুমায়ূন সাহেবের বই পড়ে শেখা দু চারটে বুলি কপচে আমি মোবারকের কাছে আসার জন্য মরিয়া চেষ্টা করে যাচ্ছি তখন। আসতে হবে। আসতেই হবে। কাছে। নয়ত চিকিৎসা স্রেফ ওষুধে আর হবে না। মোবারকের প্রায় সমস্ত রকম টিবির ওষুধেই রেজিস্ট্যান্স। ওষুধ, আপাত অকেজো।
ফলাফল মন্দ হয়নি। মোবারক আমাকে দাদা টাইপের একটা জায়গা দিয়ে ফেলেছিল ওর মনে। রাউন্ডে ঢুকলেই আর ঝপাত করে ঢাকা দিয়ে ফেলতো না খুলে রাখা কুরান; অথবা চাপা দিত না কাঠির মতো দুটো ঠ্যাং। বরং গল্প হত। গল্প হত। গ-ল্প…হতেই থাকত।
এরই মাঝে কখনো কখনো উর্দিধারী আসতো। ততদিনে নাম জেনে গেছি তারও; – করিমুল হাসান। বাড়ি, এদিকেই। ময়নাগুড়ি। মন্ত্রীসাহেবের অনেকগুলো গাড়ির মধ্যে একটার ড্রাইভার। মোবারককে দেখতে আসত, আবার ময়নাগুড়িতে বাপ-মাকেও দেখে যেত একই ঢিলে। গল্পও করত টুকটাক– অ্যারা লোক ভালো। বুঝলেন কিনা! ভালোবাসে ভাইজতাকে খুব। আপনার কথাও খুব বলে। আপনি সার, ভালো লোক। ভালো ডাক্তার। অ্যারার ভরসা খুব আফনের উপর।
এ ভাবেই চলছিল। একদিন, দুইদিন,..এগারো মাস, দেড় বছর। তারপর ঠিক এক বছর সাত মাসের মাথায়…সময়টা মনে আছে কারণ তখন শীত পড়েছিল জব্বর… আর কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাচ্ছিল না জলপাইগুড়ি থেকে দিগন্তে…অতএব তখন জানুয়ারি…আর মোবারক তো এসেছিল আগের আগের বছর ঘোর বর্ষায়…। তো ওই তখন, এক বছর সাত মাস নাগাদ, যখন মোবারকের চিকিৎসা বাকি আছে আরো মাস কতক….উর্দিধারী এসে বললো– মোবারককে নিয়ে যাইতেসি সার। অর মায়ের শরিল ভালো নাই। কয়দিন পরেই দিয়া যাবোনি।
চলে গেল মোবারক। চিন্তাক্লিষ্ট মনে হলো না যদিও ব্যাটাকে খুব একটা। বরং লালচে ঠোঁটের হাসি হেসে বললো, আম্মির এরম লেগেই থাকে। নিকাহ দিবে আমার। আমি জানি। মেয়ে দেখতে ডাকসে। শরিল খারাপ…মিথ্যা কথা। যাই?
যদিও মোবারক ফেরত এলো ঠিক তিনদিনের মাথায়। গভীর রাতে, ওকে ভর্তি করে গেল উর্দিধারী। দাঁত বের করা কুত্তা সামলে, ঝড়ের বেগে, স্কুটার চালিয়ে, মিনিট পনের পরে পৌঁছালাম যখন হাসপাতালে, ভোরবেলা, সেই উর্দিধারীও তখন উধাও। মুন্ডু গলিয়ে দেখে এলাম মোবারক কাঁদছে কুরআন আঁকড়ে ধরে। ‘সিডেটিভ’ অ্যাডভাইজ করে এলাম। ঘাঁটালাম না আর সে রাতে।
পারিও নি। ঘাঁটাতে। আর কখনোই। মোবারক এরপর মন খুলে কথা বলেছিল একদিনই স্রেফ। ওই দ্বিতীয়বার ভর্তি হওয়ার পরেরদিন রাউন্ডে। – আম্মির জমি নিয়ে নিয়েছে জানেন! ওই শালার সিদ্দিক। আমি তো নিজের ভাতিজা না, মা কাজ করত হুজুরের ঘরে। তাও হুজুর নিজ্ ভাতিজার মত ভালোবাসে আমায়। ওই হারামখুর আলম সিদ্দিক হুজুরকে বলেছে যে আমার টিবি তাই আম্মিরও নাকি টিবি। কাজ ছাড়িয়ে, জমি নিয়ে নিয়েছে তাই। আম্মি টেশনের ধারে থাকে এখন। হুজুর কিন্তু ভালো। হুজুর ভালো। আমি ঠিক হয়ে যাই। বলেছে জানো দাদা, ব-লে-ছে– রোগ সেরে গেলেই শাদী দিবে আমার। ভোট তো! তাই ! ভোট হয়ে গেলেই আম্মি আর আমি জমি পাব আবার। শাদী হবে। এসো।
ব্যাস। ঐটুকুই। মোবারক এরপর চুপ হয়ে গেল মোটের ওপর। আর কথাবার্তা হত না সেরকম। বরং, “কী পড়ছিস রে?” বললে কুরআন জড়িয়ে কাঁদত,– এই যে দ্যাখেন , এই যে আয়াতে লিখেছে, আল্লাহ কাউকে বরদাস্ত করার সালাহিয়তের থেকে বেশি তকলিফ দেয় না। দ্যাখেন। বরদাস্ত আমার যে হচ্ছে না সার, আল্লাহ জানে। জানে খুদা। ঠিক কিনা?
শেষের দিকে হিস্টেরিক হয়ে গেল মোবারক। গোলাপী, হ্যাঁ হ্যাঁ, বলেইছি তো আগে যে নীলচে ভাব কাটিয়ে মোবারক সুস্থ হয়ে উঠেছে ততদিনে অনেকটাই… সেই গোলাপি ঠোঁটে সিকনি মাখিয়ে কান্নাকাটি করত। – আমি গুনাহ করেছি সার। আমি…আপনি জানেন না… নাইট ফলস হয় আমার…আল্লাহ সেই গুনাহর জন্য এমন করছে। আমি ঠিক হব না আর। দেখেন আপনি। দেখেন।
মেলেনি যদিও। মোবারকের এসব আজাইরা কথাবার্তা। মৌমাছি-ওয়ালা এক মার্চ মাসের শেষের দিকে মোবারক সুস্থ হয়ে গেল পুরোপুরি। ব্যাকটেরিয়া কালচার রিপোর্ট এলো– “নেগেটিভ।” ফোন করেছিলাম তাই মন্ত্রীমশাইয়ের পি.এ কে সোৎসাহে। বলেছিলাম, নিয়ে যান।
কেউ আসেনি। মোবারক যদিও ততদিনে আবার আল্লাহর উপর বিশ্বাস ফিরে পেয়ে গেছে। হাসতে শিখেছে। বলতে শিখেছে– ইদ, আলহামদুলিল্লাহ আম্মি আর চাচা-হুজুরের সাথে মানাবো। তারপর নিকাহ। আল্লাহ মাফ করে দিয়েছে আমায়, বলেন?
তবুও কেউ আসেনি। এলো, ইদের ঠিক পাঁচ দিন আগে। হ্যাঁ। সেই একই উর্দিধারী। আর মুবারক চলে গেল। প্রায় ‘নেই’ হয়ে যাওয়া কোমরে ওর ততদিনে মাংস গজিয়েছে ইঞ্চি আধেক। খিঁচে বেঁধে পরেছিল সেই কোমরে মোবারক, আশ্চর্য জিন্স-প্যান্ট। আর ফুল হাতা জামা। গাড়িতে উঠতে উঠতে বলে গিয়েছিল– শাদীর ইনভাইট করব সার। আসবেন।
বলাই বাহুল্য সে “শাদী” হয়নি। বরং ইদের ঠিক পরের দিন চামসে মুখে হাজির হয়েছিল করিমুল হাসান। সেই যে… সেই উর্দিধারী। আউটডোর টাইম ততক্ষণে শেষ। কুবো পাখি ডেকে ডেকে আহ্বান জানাচ্ছে দমকা দুপুর ঘূর্ণিকে। আর মনখারাপ ধেয়ে আসছে ” গৈরিক বরণে বালুকার উড়নী গায়।”
এমত সময়েই ঠিক বসেছিল করিমুল মাথা নিচু করে সামনের টুলে। – মোবারক ফাঁসি দিছে সার। কাল। ইদের দিনে। অ্যারা লোক ভালো না। অ্যারার কথার ভরসা নাই। মন্ত্রী মানুষ। ….আপনি অনেক করছেন সার। এটা রাখেন। বিদেশি।
করিমুলের এগিয়ে দেওয়া বস্তুটি, সিগারেট। মামুলি ব্রান্ডের। বাংলাদেশি। এ জিনিস আমি কস্মিন কালেও খাওয়ার কথা ভাবতে পারি না যদিও। তবুও খেলাম। খেতে হলো। করিমুল বললো, একটা খান। সার। খান না। আমার সামনেই খান। দ্যাখি। আপনি সিগারেট খাচ্ছেন। খান।
হসপিটাল নিয়মবিধি সেই আচানক-দুপুরে আর স্মরণে আসেনি আমার। সব ভুলে সম্মোহিতের মত আগুন দিয়ে টান মেরেছিলাম সস্তা নেশায়। পাতা পোড়ার মত শব্দ হচ্ছিল, ঘুঘুর ডাক আর মনকেমন ছাপিয়েও–পটপট। আর জিভের ডগায় চেপে বসছিল ঘাসের মত পরাজিত বিস্বাদ। এবং করিমুল কমবখত একটুও মনকেমনের সুযোগ না দিয়ে, বলেই যাচ্ছিল নাগাড়ে –অ্যারের কথা আর কী বলব সার! গ্যারেজ করে দিছল মোবারককে, এঠে। বুঝি নাই আমিও ফাস্টে। এখন বুঝছি। অ্যারা অ্যারমই। কিন্তু অ্যাই মোবারক ক্যান বেকুবের মতো যে… দ্যাখেন তো…। ক্যান যে এমন করলো চ্যাংড়া! আমিও সার সে চাকরি ছেড়ে দিছি। ভালো লাগে না।…আপনি খান সার। খান। আহঃ, আপনি এই যে সিগারেট টানতেছেন, ধোঁয়া… কী সৌন্দর্য দ্যাখেন। দ্যাখেন তো! ক্যাম্ সৌন্দর্য!
ইদ হলেই আমার জিভে সেই পোড়া ঘাসের সৌন্দর্য-স্বাদ অনুভূত হয়। অনেকদিন হয়ে গেল। যে স্বাদ, উপবাস ভঙ্গের আরাম দেয় না কিছুতেই।
(নাম, উপাধি, স্থান…সকলই পরিবর্তিত)