পাঁচশো দিন । চাকরিহীন।
জীবন থেকে দু’সাল ঋণ।
বেকার থাকার, হতাশ হবার পাঁচশো দিন ।
স্বপ্নগুলো মটাশ ভাঙার পাঁচশো দিন।
বাচ্চা কোলে, ঝড়বাদলে
হকের দাবির চাবি চাওয়ার পাঁচশো দিন।
নিজের ঘামে, নিজের নামে ,
রুজির খোঁজে পাঁচশো দিন।
রাষ্ট্র জুড়ে নাকডাকা-তে ,
বারণ, ওদিক নেই তাকাতে,
তবুও কারা তাকায় চোখে,
বক্কা ফাঁপায় আর না ঠকে
বলছে কারা,
যোগ্যতাকে মান করে সব চাকরি দিন,
সেই বেকারের বেগার খাটার,
বেকার কাঁদার পাঁচশো দিন।
পাঁচশো রাত। আকাশ ছাদ।
রাষ্ট্র যখন ঘুমিয়ে কাত,
পেটের ভাতের জন্য লড়ে হাজার হাজার যোগ্য হাত।
পাঁচশো রাত, নেই বরাত,
কেউ দেখে না অশ্রুপাত,
হাতের ওপিঠ চোখ মুছে নেয়,
রাত্রি জাগার পাঁচশো রাত।
রাষ্ট্র বলে আইন দায়ী,
তার নাকি আর নেই উপায়ই,
আইন দেখেন লাইন ছাড়া রাষ্ট্র কাদের দিচ্ছে সাথ,
পিষছে যাঁতায়, পুলিশ লাথায়,
স্বপ্নবিহীন পাঁচশো রাত।
ভাঁড়ের থেকে ভিক্ষা না,
খাদের দিকে শিক্ষা না,
দিক-কানা এই রাজনীতিতে দিকটা যাদের ঠিক জানা,
তারাও চুপ , মুখ-কুলুপ,
রাজার দিকেই ঘাড়টি কাত,
শিরদাঁড়া এক আপদ বিশেষ , আপোষ করেই যাক নিপাত.
রাজনীতিহীন, কাজ-ভীতিহীন,
কাজহীনেদের পাঁচশো রাত,
হার ছাড়া আর নেই হারাবার,
একলা সাঁতার এই পারাবার,
তবুও যারা হাল ছাড়েনি, সেই ছিনেদের পাঁচশো রাত।
পাঁচশো রাত। পাঁচশো দিন ।
যোগ্য মানুষ কর্মহীন।
সমর্থনের আশাও ক্ষীণ।
তবুও নিজের অধিকারের হক দাবীতে বিরামহীন।
খবর-কাগজ ছাপছে না,
চ্যানেল বলে মাফ দে না,
তবুও ওরা ছোটায় ঘোড়া, শিরদাঁড়ারা কাঁপছে না।
জিতবে না কি মানবে হার,
এখন সেটা নয় দেখার,
আজকে সবাই থমকে খানিক সেই লড়াইয়ে স্যালুট দিন
স্বয়ং রাজার বিরুদ্ধতায় দাঁড়িয়ে কিছু অর্বাচীন।
পাঁচশো রাত। পাঁচশো দিন।
সেই তুলনায় কিসসা কোটি’র এই তো হলো পাঁচ ছদিন।