আজ শুরু করি একটা কবিতা দিয়ে। মূল কবিতাটি ইংরেজিতে লেখা। কবিতার মোট চারটি স্তবক। প্রত্যেক ভাষারই একটা নিজস্ব চলন আছে তাকে মান্যতা দিতেই হয়, না হলে রসভাণ্ড অপূর্ণ থাকে। যাক্ কবিতাটির তৃতীয় ও চতুর্থ স্তবক দুটো তুলে ধরি।
……… Standing atop these breezy hills,
Sight of breath – taking wonder- Neelakurinji!
Singing a song of joyful melody,
Sensational flowers that dance in your heart.
Neelakurinji ! I watched your purple blue dance,
Standing, stretching, turning, twirling,
Spreading, sprawling along the Munnar hills,
Sprightly dance of purple blue windy mountains!
ড: গীতা রাধাকৃষ্ণ মেনন তাঁর লেখা কবিতায় উচ্ছ্বসিত হয়ে যার কথা বলেছেন সেই নীল রঙের কুরিঞ্জি এখন,সদ্য ধস বিধ্বস্ত কেরালায় নতুন অতিথি হয়ে এসেছে। প্রবাসে থাকা কোনো আত্মজন দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর নিজের বাড়িতে ফিরে এলে যেমন আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায় তাঁর একান্ত সুজন পরিজনবর্গ, কেরলের মুন্নারের মানুষজনের বুঝি এখন তেমনই মনের অবস্থা। তাঁদের সকলের প্রিয় নীলা আজ দীর্ঘ বারো বছর পর আবারও ফিরে এসেছে তাদের একান্ত প্রিয় মুন্নারের পাহাড় আর উপত্যকা আলো করে।
নীলাকুরিঞ্জি – বিজ্ঞানীরা অবশ্য তাকে চেনেন Strobilanthes kunthiana নামে। তামিল আর মালয়ালম ভাষী মানুষদের কাছে ওর নাম কুরিঞ্জি , আর কর্ণাটকের কন্নড় ভাষায় কথা বলা মানুষরা তাকে ডাকে গুরিগে বলে। দক্ষিণের এই তিন রাজ্যের অন্তর্গত পশ্চিমঘাট পর্বতমালার শোলা অরণ্য ভূমির অনন্য আবাসিক কুরিঞ্জি আদতে হলো Acanthaceae পরিবারের এক গুল্ম সদস্য।
মজা হলো এই যে প্রতি বারো বছরের ব্যবধানে একবার পাঁপড়ি মেলে তার অপরূপ বর্ণশোভায় আচ্ছন্ন করে ফেলে নীলগিরির পার্বত্য ঢালের বিস্তির্ণ পরিসর। হাওয়ায় মাথা দুলিয়ে সে আমন্ত্রণ জানায় তার গুণমুগ্ধ ভক্তদের। দীর্ঘ বারো বছর ধরে অপেক্ষায় থাকে নীলগিরির পাহাড়তলি। এই নীলাকুরিঞ্জির নামেই যে পরিচিতি পেয়েছে দক্ষিণের এই পর্বত। এমন দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে ফোটার জন্য কুরিঞ্জির নাম ঠাঁই পেয়েছে পৃথিবীর বিরলতম ফুলেদের তালিকায়। বিস্তির্ণ অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই গুল্মের দুটি ফুল ফোটার সময়ের ব্যবধান ঠিক ১২ বছর।
দক্ষিণের দুই রাজ্য তামিলনাড়ু ও কেরালার সাংস্কৃতিক যাপনের সঙ্গে বহু বহু বছর ধরে জড়িয়ে আছে কুরিঞ্জি । সুপ্রাচীন তামিল সঙ্গম সাহিত্যে জমিকে তাদের চরিত্র অনুযায়ী পাঁচ ভাগে ভাগ করার কথা বলা হয়েছে। এগুলো হলো পার্বত্যভূমি বা কুরিঞ্জি , মুল্লাই বা বনাঞ্চল, মারুথাম বা কৃষিভূমি, নেইথাল বা উপকূল ভাগ এবং পালাই বা মরুভূমি। তামিল বিদ্বানদের অভিমত যে শোলা বাস্তুতন্ত্রের অন্তর্গত পাঁচটি বিশেষ ধরনের উদ্ভিদ প্রজাতির নামানুসারেই এই ভূমি বিভাজনের পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁদের পূর্বজরা। নীলগিরি ও তার সহযোগী পর্বতের বিসারি তরঙ্গায়িত ভূমিভাগ জুড়েই দেখা যায় কুরিঞ্জি ফুলের বিপুল বর্ণময় শোভা। দক্ষিণ পশ্চিমঘাট পর্বতমালার পার্বত্য বর্ষাবনের আবাসিক পেলিয়ার উপজাতীয় মানুষেরা কুরিঞ্জি ফুলের বারো বছরের ব্যবধানে একবার ফোটার সময়কে তাঁদের বয়স গননার কাজে ব্যবহার করেন। কি আশ্চর্য সহবন্ধন মানুষ আর প্রকৃতির!
একটা সময় ছিল যখন তামিলনাড়ু রাজ্যের অন্তর্গত নীলগিরি পার্বত্যাঞ্চলের এক বিশাল অংশ জুড়ে দেখা মিলতো কুরিঞ্জি ফুলের। কিন্তু বাগিচা কৃষির ব্যাপক সম্প্রসারণ ও বসতি স্থাপনের জন্য আজ সেই এলাকার সংকোচন হয়েছে অনেকটাই। কেরালায় কুরিঞ্জির দেখা মিলবে ইদুক্কি জেলার আনামালাই পর্বতের ওপর, পালাক্কাড জেলার আগালি পাহাড়ের ঢালে এবং মুন্নারের ইরাভিকুলাম ন্যাশনাল পার্কে। এগুলো সবই পশ্চিমঘাট পর্বতমালার অংশ বিশেষ।
এছাড়াও কর্ণাটকের পূর্বঘাট পর্বতমালার অন্তর্গত শেভরয় পর্বতে, বেল্লারি জেলার সানদুরু পাহাড়ের ঢালে দেখা মিলবে এই আশ্চর্য ফুলের। বাবাবুদান পাহাড়ের ওপরেও দেখা গেছে এই নীলাকুরিঞ্জির বর্ণিল উপস্থিতি। ঊনবিংশ শতাব্দীতে উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা প্রথম এই বিশেষ প্রজাতির গুল্মের সন্ধান পান কেরলের বিখ্যাত সাইলেন্ট ভ্যালিতে। কুরিঞ্জি ফুলের বিজ্ঞানসম্মত নামের সাথে যুক্ত kunthianus শব্দটি এসেছে কেরলের কুন্থি নদী থেকে , যেটি প্রবাহিত হয়েছে সাইলেন্ট ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কের মধ্য দিয়ে। উদ্ভিদ বিজ্ঞানে Acanthaceae বর্গের প্রায় ২৫০ টি প্রজাতির গুল্মের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে সারা দুনিয়ায়।এর মধ্যে প্রায় ৪৬ টি প্রজাতির দেখা পাওয়া যায় আমাদের দেশে। ৩০ থেকে ৬০ সেন্টিমিটার লম্বা কুরিঞ্জি গুল্মটি জন্মাতে পারে ১৩০০– ২৪০০ মিটার পর্যন্ত উচ্চতায়।
বিগত ১৯ শতকের গোড়া থেকেই কুরিঞ্জি ফুল নিয়ে উন্মাদনা শুরু হয়। ইংরেজদের উদ্যোগে শুরু হয় এই ফুলের প্রস্ফূটিত জীবনের নথিভুক্তিকরণ ও চিত্রায়নের কাজ। তথ্যসূত্র অনুযায়ী ১৮৩৮ সাল থেকে প্রতি ১২ বছরের ব্যবধানে এই ফুলের তথ্য সংগ্রহ করা চলেছে লাগাতার ভাবে। তারমানে ১৮৫০, ১৮৬২, ১৮৭৪, ১৮৮৬, ১৮৯৮, ১৯১০, ১৯২২, ১৯৩৪, ১৯৪৬, ১৯৫৮, ১৯৭০, ১৯৮২, ১৯৯৪, ২০০৬, ২০১৮ – এই দীর্ঘ সময় ধরে অবিচ্ছিন্নভাবে তথ্য সংগ্রহ করে চলেছেন উদ্ভিদ বিজ্ঞানী এবং অরণ্য প্রশাসকরা। পৃথিবীর আর কোনো ফুলকে নিয়ে এমন দীর্ঘ সময়ের উন্মাদনা দেখা গেছে কিনা তা জানা নেই। এমন কৃতিত্বের দাবিতে হয়তো ভাগ বসাতে পারে হল্যান্ডের টিউলিপ, জাপানের চেরি ফুল এবং হিমালয়ের রডোডেনড্রন।
কেন এমন দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে নীলাকুরুঞ্জি পাঁপড়ি মেলে? এ প্রসঙ্গে উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা কী বলেন? অধ্যাপক E.Kunhikrishnan জানাচ্ছেন – উদ্ভিদদের তাদের আয়ুষ্কাল অনুসারে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। এক ও বহু বর্ষজীবী। এক বছর বাঁচে যে সমস্ত উদ্ভিদ, তারা এক বছরেই জীবনচক্র শেষ করে।বীজ থেকেই এদের জন্ম, ফুল ফোটা, বীজ উৎপন্ন করা এবং মারা যাওয়া ,সবকিছুর মেয়াদ এক বছর। অন্যদিকে বহু বর্ষজীবী উদ্ভিদরা কমপক্ষে দুই বছর বা তার চেয়ে বেশি সময় ধরে টিকে থাকতে পারে এবং প্রতি বছর ফুল ফুটিয়ে বীজ উৎপন্ন করে।
বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদদের মধ্যে কোনো কোনো উদ্ভিদ তাদের আয়ুষ্কালের মধ্যে একবারই মাত্র ফুল ফোটায় এবং তারপর মারা যায়। এদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্ম ও বংশবৃদ্ধির কাজ উৎপন্ন বীজ থেকেই হয়। এভাবেই এদের জীবনচক্র অব্যাহত থাকে। এরা monocarpic নামে পরিচিত। অন্যদিকে polycarpic শ্রেণির উদ্ভিদেরা তাদের নির্দিষ্ট সময়ের জীবনে একাধিকবার ফুল ফোটায় ও বীজ উৎপন্ন করে। মনোকার্পিক শ্রেণির উদ্ভিদেরা পূর্ণ পরিণত না হলে ফুল ফোটায় না। তবে কতদিনে তা পরিণত হবে তার সময়সীমা একেক প্রজাতির ক্ষেত্রে একেক রকম।
বাঁশ এবং কুরিঞ্জি এই monocarpic প্রজাতির প্রতিনিধি। বাঁশ গাছ গড়পড়তা ৪০ বছরে পরিণত হয়। তাই বাঁশের ফুল ফোটে প্রতি ৪০ বছরের ব্যবধানে এবং একবারই ফুল ফোটে। এদের বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় plietesials. নীলাকুরিঞ্জি এই শ্রেণির উদ্ভিদ। এই প্রজাতির গুল্মজ উদ্ভিদ পূর্ণ পরিণত হয় ৮ – ১২ বছরের ব্যবধানে। তাই একবার ফুল ফোটার পর এতো দীর্ঘ সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।
নীলাকুরিঞ্জি কেবল তার অপার সৌন্দর্যে মানুষকে মুগ্ধ করেনা , বিপুল ঔষধি গুণ সম্পন্ন এই গুল্মটি বহুদিন ধরে মানুষের জীবনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে যদিও এইটি মানুষের পরিষেবায় এখনও সেভাবে ব্যবহৃত হয়নি। ভিষগদের মতে এই গুল্ম থেকে প্রাপ্ত উপাদানগুলোর মধ্যে বিভিন্ন রোগ যেমন মারণরোগ ক্যানসার, অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি,অ্যান্টিওস্টেরিওআর্থারাইটিক ও অ্যানালজেসিক গুণাবলী বর্তমান রয়েছে। এছাড়াও এটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ভরপুর। প্রতি ৮ বা ১২ বছরের ব্যবধানে একবার ফোটার কারণে এই ফুলের মধু যা পরিচিত কুরিঞ্জিথেন নামে অত্যন্ত মূল্যবান। স্থানীয় মানুষজনের বিশ্বাস এই মধু সর্বরোগহর , বিশেষ করে হৃদযন্ত্রের অবরোধ মুক্ত করতে কুরিঞ্জিথেনের তুলনা মেলা ভার। এই গুল্মের কিছু বিশেষ প্রজাতি থেকে প্রাপ্ত রস হেপাটাইটিস B ভাইরাস, মাম্পস ভাইরাস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের অত্যন্ত কার্যকর প্রতিষেধক। এমনকি সর্প দংশন, বিষাক্ত মাকড়সার দংশন, সেরেব্রোস্পাইনাল ম্যানেন্জাইটিস এবং ভাইরাল নিউমোনিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। চিনা ভেষজশাস্ত্রেও কুরিঞ্জির বহুল গুণাবলীর উল্লেখ পাওয়া যায়।নীলগিরি আলো করে ফুটতে থাকা নীলাকুরুঞ্জি কেরালার মানুষের কাছে এক উদযাপনের উপলক্ষ। বারোটা বছর অজ্ঞাতবাস যাপনের পর্ব শেষ করে যখন পাহাড়তলির শরীর জুড়ে খিলখিল করে হেসে ওঠে হাজারো হাজারো নীলাকুরিঞ্জি, তখন নীলগিরি,আনামালাই, পশ্চিমঘাট, শেভরয় পর্বতে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে মানুষ ও প্রকৃতি।দেশ বিদেশের নানা প্রান্তের মানুষেরা এসে ভিড় জমায় কেরলের মুন্নার সহ অন্যান্য প্রান্তে। ট্যুরিস্টদের আসা যাওয়াকে ঘিরে পর্যটন শিল্পের ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়। রাজকোষে জমা হয় বিপুল রাজস্ব। ট্যুর অপারেটরদের নিরন্তর প্রচারের ফলে এই সময় কেরলের প্যাকেজ ফুলেফেঁপে ওঠে।২০১৮ সালে দক্ষিণ ভারতের কাশ্মীর নামে পরিচিত কেরালার মুন্নারে ৪.৫ লক্ষ দেশি ও ১.০৮ লক্ষ বিদেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছিল। মুন্নারকে বলা হয় Queen of Kurinji flowers. কর্ণাটকের কোডাগু অঞ্চলেও ভিড় করেছিলেন বিপুল সংখ্যক মানুষ কেবলমাত্র কুরিঞ্জির নীরব আহ্বানে।
তবে এতে অবশ্য অবস্থা হিতে বিপরীত হয়েছে অনেক ক্ষেত্রেই। বিপুল সংখ্যক হুজুগে পর্যটকের ভিড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে নীলাকুরিঞ্জির অপার সৌন্দর্য। মানুষের লাগামছাড়া লোভ একটু একটু করে সংকুচিত করেছে কুরিঞ্জির বিস্তির্ণ প্রাকৃতিক পরিসর। বাণিজ্যিক বাগিচা ফসলের এলাকা বেড়ে গেছে অপরিকল্পিত ভাবে।কুরিঞ্জির এলাকায় মাথা তুলেছে ইউক্যালিপটাস, এ্যাকাশিয়া, পাইন আর ওয়াটেল গাছের দল। পর্যটকদের ফেলে যাওয়া প্লাস্টিকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুরিঞ্জির বেড়ে ওঠা।
অবশ্য সমান্তরাল ভাবে কুরিঞ্জিকে তার নিজস্ব এলাকায় টিকিয়ে রাখতে দেরিতে হলেও শুরু হয়েছে সংরক্ষণ করার কাজ। স্থাপিত হয়েছে Save Kurinji Campaign Council এর মতো সংস্থাও। কুরিঞ্জি হারিয়ে যাওয়া মানে হলো এক আশ্চর্য সৌন্দর্য হারিয়ে যাওয়া। এই সত্যটা হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হবে।
বলছি কথা কানে কানে ……..
২০১৮ সালে শেষবারের মতো নীলাকুরিঞ্জির দেখা মিলেছিল মুন্নারে। হিসেব মতো ২০৩০ এর আগে তাদের দেখা পাওয়ার কথা যদিও নয় , তবুও বলি এই বছরেও তাদের মাথা উঁচিয়ে লোকজন জড়ো করার পর্ব সবেমাত্র শুরু হয়েছে ইডুক্কি জেলার পীরমেডের পারুনথুমপারায়। সবে ফুটতে শুরু করেছে তারা একটি দুটি করে। খুব বড়সড় এলাকা জুড়ে অবশ্য নয়, তবে সময় যতো এগোবে ততই হয়তো বিস্তৃত হবে কুরিঞ্জি সাম্রাজ্যের এলাকা। এই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হতেই নাকি বাক্সপ্যাটরা গুছিয়ে তৈরি হতে শুরু করেছেন অনেকে।
আমি বলি কি! এইবারটা না হয় নাই গেলেন। কুরিঞ্জিরা এই বছর একলা একলাই থাকুক। ওয়েনাড়ের মানুষজনের কথা ভেবে ওদের একলাই থাকতে দিন।
আগস্ট ০৮,২০২৪.
এই বিষয় নিয়েও এভাবে লেখা যায়!!
একদম অন্যরকম ভালো লাগছে। ম্লান এক সময়ের বৃত্তে অম্লান আলোচনা।
বেঁচে থাকুক কুরিঞ্জি নীলগিরির শোভা হয়ে,আর আমাদের মৃতসঞ্জীবনী হয়ে।সঠিক ভাবে সংরক্ষিত হোক,আর একটা সত্যি কথা আমরা কুরিঞ্জি কে একদম বিরক্ত করবোনা।
সেই ভালো।ওরা ফুটুক ওদের মত করে। হাসুক,খেলুক মুখরিত করুক চরাচর।আমার দেখার নামে নাই বা অত্যাচার করলাম।
লেখকের জানার ও পরিবেশনের চরাচর বিস্তীর্ণ।
অসাধারণ লাগলো লেখাটি। এই শোভা দেখার ইচ্ছে আবার নতুন করে জাগ্রত হল। 👌