বিশ্ব জুড়ে স্থূলতা বাড়ছে। মোটা হবার রোগ ডেকে আনছে ডায়াবেটিস, অস্টিয়োপোরোসিস, হৃদরোগ, স্ট্রোক, এমনকি কয়েক ধরনের ক্যানসারকেও। কোটি কোটি মানুষ আজ এই সব দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতায় ভোগেন। ডাক্তারদের ভাষায় এগুলোকে বলে জীবনযাত্রা-জনিত রোগ।
এদের অনেকগুলো বেশি বয়সের রোগও বটে। মানুষের আয়ু বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব রোগ বাড়া স্বাভাবিক, কিন্তু সেটাই এসব রোগের বাড়বাড়ন্তের একমাত্র ব্যাখ্যা নয়। পাশ্চাত্য ধাঁচের সমাজে কম বয়সীদের মধ্যেও এসব রোগের প্রকোপ বাড়ছে। ২৮-৩০ বছর বয়সে স্থূলত্ব, উচ্চ রক্তচাপ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, হৃদযন্ত্রের রোগ আজ বিরল নয়।
.
জীবনযাত্রা-জনিত রোগগুলো দীর্ঘস্থায়ী, চিকিৎসাও ব্যয়সাপেক্ষ। ভারতে সর্বজনীন বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। এদেশের অজস্র মানুষকে এই রোগগুলো ধনে-প্রাণে মারছে।
.
এদের চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন নতুন ওষুধ বেরোচ্ছে, অথচ রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে, কারণ ওষুধে রোগ সারে না। ওষুধগুলো সারা জীবন খেয়ে যেতে হয়, ওষুধ কোম্পানিরা ভারি খুশি। তা সত্ত্বেও রোগের ক্ষতি কিছুটা হয়েই যায়। অসুখ হওয়া আটকানো দরকার, এবং তা সম্ভবও।
.
কী করে? সে পথ বড়ো সহজ নয়। এই বইমেলায় আমার বইটি সে নিয়ে। “আধুনিক মহামারির নেপথ্যে—আপনার ডাক্তার যে কথা বলেন না”। বা, যে কথা বললেও তেমন লাভ হত না, কারণ কেউ শুনতে চায়নি।
.
বইমেলায় বইটি পাবেন নির্ঝর-এর স্টলে, Sanjib Mukhopaddhay । স্টল নম্বর ৬৬৯, নয় নম্বর গেটের কাছে। সেখানকার ছবি দিলাম। এ ছাড়া পাবেন প্রণতি প্রকাশনী স্টল নম্বর ১২৫ Aindril Bhowmik এবং মুক্তচিন্তা পাবলিকেশন, স্টল নম্বর ৪৯৩, Science & Rationalists’ Association of India