ভারতে করোনাভাইরাস মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ চলছে, প্রবল ও দ্রুত গোষ্ঠী সংক্রমণ ও তার ফলে বহুসংখ্যক পজিটিভ রোগী ও হাসপাতালে বেডের অভাব।
এই পরিস্থিতিতে existing resource-এর optimum utilization সবচেয়ে জরুরী। বেশিরভাগ রোগী asymptomatic, এদের জন্য দরকার home isolation, সঙ্গে pulse oximetry, এবং রোগীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে পরিস্থিতি মনিটর করা, বাড়ির লোককে বুঝিয়ে দেওয়া যে কি কি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে chest CT-এর মাধ্যমে lung condition দেখে admissible কিনা, সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
যাদের respiratory symptom আছে, তাদের oxygen দিতে হবে। ভারতে এই মুহূর্তে অক্সিজেন তৈরির সর্বোচ্চ ক্ষমতা দিনে 7127 টন। বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে দিনে 4000 টনের কাছাকাছি। সুতরাং অক্সিজেন আছে, এ নিয়ে আতঙ্কিত হবেন না। তবে এটাও মাথায় রাখা প্রয়োজন যে অক্সিজেন production-এর মতোই গুরুত্বপূর্ণ হলো অক্সিজেন distribution network।
Distribution network কাজ না করলে অক্সিজেন থেকেও লাভ নেই। এই মুহূর্তে সরকারের একটা বড় কাজ হলো এই distribution network ঠিক রাখা।
ICU bed / ventilator – ভারতে 2019-এ 95,000 ICU বেড ছিল, ভেন্টিলেটার ছিল 48,000। এর মধ্যে ভেন্টিলেটারের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল, 60,000 নতুন ভেন্টিলেটারের অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে একটা অংশ এখনও পর্যন্ত কিন্তু install করা সম্ভব হয়নি, ফলে ঐ লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ হয়নি। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে ভেন্টিলেটারের অভাব নিঃসন্দেহে একটি চিন্তার বিষয়। এছাড়াও গ্রামীন অঞ্চলে শহরের তুলনায় ICU bed/ ventilator অনেক কম, এটাও উদ্বেগজনক বিষয়।
Remdesivir – ইদানীং এই ওষুধটির অভাব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সরকার এই antiviral drug টির এক্সপোর্ট বন্ধ করেছে। এই মুহূর্তে মাসে 39 লাখ ডোজ Ramdesivir তৈরি হচ্ছে দেশে। এই ওষুধটি ব্যবহার করার নির্দিষ্ট প্রোটোকল আছে, রুটিন প্রতিটি রোগীর ক্ষেত্রেই এই ওষুধ ব্যবহার করা হয় না। প্রতিটি হাসপাতাল যদি strictly নির্দিষ্ট প্রটোকল মেনে চলে, তাহলে artificial scarcity আটকানো সম্ভব হবে।
শেষ কথা হলো vaccination। এখানে মনে রাখতে হবে বিভিন্ন vaccine-এর success rate 70-90%, অর্থাৎ individual basis এ vaccine নেওয়ার পরেও করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই vaccine নেওয়ার পরেও mask, social distancing চালিয়ে যেতে হবে।
আবার সামগ্রিকভাবে চিন্তা করলে vaccination অত্যন্ত জরুরী, কারণ 70-90% success rate হলেও vulnerable population এর সংখ্যা কমে আসবে, যা দ্বিতীয় ওয়েভকে কাটিয়ে ওঠার জন্য জরুরী।
এখন vaccine এর সাপ্লাই যা আছে, তাতে 45 বছরের বেশি বয়সের মানুষদের দিতেও shortage তৈরি হচ্ছে, ফলে সব বয়সের মানুষের সার্বিক টীকাকরণ, যেটা এই মুহূর্তে প্রয়োজন, সেটা করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে প্রোডাকশন বাড়ছে, নতুন vaccine পারমিট পেয়েছে, বেশকিছু কোম্পানি একসঙ্গে কাজ করছে, ফলে হয়তো কিছুদিন পরে সার্বিক টীকাকরণ সম্ভব হবে।
এই মুহূর্তে প্রয়োজন মাথা ঠান্ডা রেখে, রোগীর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী বাড়িতে বা হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করা, বিভিন্ন হাসপাতালের মধ্যে সমন্বয় রেখে বেডের যথোপযুক্ত ব্যবহার, অক্সিজেন নেটওয়ার্ক ঠিক রাখা, প্রটোকল মেনে চিকিৎসা করা। সেইজন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার, হাসপাতাল কতৃপক্ষ, ডাক্তার ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করতে হবে।
আর সাধারণ মানুষের জন্য যেটা করার আছে, এবং সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হলো নিজের রোজগার, অর্থাৎ অর্থনৈতিক কার্যকলাপ ও অন্য অতি প্রয়োজনীয় কাজকর্ম ছাড়া বাকি সব কাজ আরো কিছুদিন বন্ধ রাখুন।
রাজনৈতিক সভা, সমাবেশ, ধর্মীয় বা সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার সময় ভবিষ্যতেও পাবেন, মহামারী কেটে যাওয়ার অপেক্ষা করুন।