সে এককালে ,
সামাজিকে স্রেফ গ্র্যাজুয়েট পাত্তা পেতো ভীষণ রকম,
সে এককালে,
স্নাতক স্তরে ঢুকতে এবং পাশ করতে বেরোতো দম।
সে এক সময়
বি এ পাশেই বাড়ির সামনে শ্বেতপাথরের ফলক খোদা,
আজকে সেসব হয়না খবর,
সেই গ্র্যাজুয়েট না হয় যদি শবর লোধা।
হয়না খবর ঠিক সেটা নয়,
একটি পেশায় আজও কঠিন হওয়া স্নাতক,
ঢুকবে বলে মুখিয়ে থেকে
দুরুবুকে স্বপ্ন চেপে রেজাল্ট দেখে নিটের চাতক।
যাচ্ছে শোনা দেশে নাকি
কঠিনতায় দুনম্বরে স্থায়ী আসন নিটের বাঁধা,
একনম্বর স্নাতোকোত্তর,
এম ডি এম এস ইত্যাদিতে পাওয়া আরো কঠিন দাদা।
ঢুকলে পরেও রেহাই যে নেই,
রোজের পেষাই এক যুবাকাল নিংড়ে নেবে জীবন থেকে,
পাশ করে শ্বাস যেই ছেড়েছে,
কোথায় যুবক, প্রবীণ মানুষ চমকে ওঠে আয়না দেখে।
কাল অবধি যে কলেজ ছেলে,
আজকে থেকে তারই হাতে মানুষগুলোর জীবনসুতো,
ছিঁড়লে পরেই জবাবদিহি,
চক্কোরে ঘোর লাগিয়ে দেবে আদালতের সমনগুঁতো।
সমস্যা কি জানো ভায়া,
এই বেহায়া পরিস্থিতি ডিগ্রী মেপে বিচার করে জ্ঞানের বহর,
এম বি বি এস পাতিই থাকে,
এম ডি এম এস ইত্যাদিদের খুঁজে বেড়ায় গ্রাম ও শহর।
তফাৎ শুধু চান্স পাওয়াতে,
একটা দিনের এম সি কিউ’র চারটে বেশি পেরেছে কে,
তার ওপরে নানান কোটা,
কে ঠিক জানে এই দেশে আর যায় না মাপা ডিগ্রী দেখে।
সাধারণের এই ধারণায় মুষড়ে পড়ে ,
নিট পাওয়া সেই লড়াকুরা পড়ে আবার,
ফাঁকাই থাকে পি এইচ সিরা,
কোয়াক তখন আসল রাজা হরিপালের বা গোসাবার।
ডাক্তার কম খুবই দেশে, উচিৎ ছিলো
হোক স্পেশালিস্ট এম বি বি এস ট্রেনিং পেয়ে আর ক’বছর,
হয় না সেটা , পরীক্ষাতে বসতে গিয়ে
রোগী ছেড়ে বইয়ের দিকে ফের ফিরে যায় সবার নজর।
কোথায় গেলো সেই ডাক্তার, যার ওপরে
ভরসা করে রোগ সারানোর খুঁজতো উপায় সারা বাড়ি,
এখন সবাই লাইন লাগায়,
ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর অংশে জ্ঞানী হয়ে বসে টানেলে কোন ডিগ্রীধারী।
মেধার কথা সবাই ভোলে,
পরিস্থিতির চাপে এখন এম বি বি এস মানে পাতি অর্ডিনারি।