An Initiative of Swasthyer Britto society

  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Close
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Close

প্যানিক অ্যাটাকঃ হঠাৎ ক্ষণস্থায়ী শ্বাসকষ্ট? শরীর অবশ?

IMG_20200122_002208
Dr. Dipankar Ghosh

Dr. Dipankar Ghosh

General Physician
My Other Posts
  • January 22, 2020
  • 1:16 pm
  • One Comment

তখন ভরা ভর্তি দুপুর। খটখটে সূর্য আকাশ জুড়ে চমকাচ্ছে। আমাদের দীর্ঘনাসা ইন্দ্রলুপ্তযুক্ত আধবুড়ো ডাক্তার ছাতপাখার তলায় টেবিলে মাথা রেখে ঝিমুচ্ছেন। ওঁর সুন্দরী পিসিমা কানে যন্ত্র গুঁজে গানে মগ্না। এমন সময়ে পাংশুমুখে হতদরিদ্র একটি পরিবারের তিন জন এসে দুয়ারে উপস্থিত। এঁদের মধ্যে একজন মধ‍্যবর্তী যিনি কৃশদেহী, তিনি ঘর্মাক্ত কলেবর, চোখ শিবনেত্র হয়ে আছে। বাকি দু’জন কোনোক্রমে রোগীকে নিয়ে হাতুড়ে ডাক্তারের ঘরে শুইয়ে দিলেন।

“ভয়ানক শ্বাসকষ্ট, বুকে ব‍্যথা, শরীল অসাড় হৈয়ে যাচ্ছে ছার…।”

কপাল ও ঘাড়ের ঘাম নোংরা গামছায় মুছতে মুছতে বাকি দু’জনের বেশি বয়স্কজন যিনি তিনি বললেন – “পেরায় দিন‌ই – দিনে রেতে ঝ‍্যাখন ত‍্যাখন এরম হয় – চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় – কত ডাক্তার, কত বদ‍্যি, ওঝা-গুনিন – সব কৈরেছি, শ‍্যাষে হুই দশতলা হাসপাতালে ভর্তি রেখেছিনু, দু’ বিঘাখানেক জমি আছিল, বিক্রি করে হাসপাতালের ত্থেকি ছাড়িয়ে এনেছি…।”

কমবয়স জন মাথা নিচু করে বলে, “সব রকম পরীক্ষানিরীক্ষা করায়ে নিছে ছার, শ‍্যাষে বলল হার্টের ভিত্রে তার ঢুকায়ে কী য‍্যান করবে, তাই স‌ই দিয়ে নিয়ে আইছি, এ বার আপ্নেই ভরসা।”

ডাক্তারের মনে হল ছেলেটা বলল, এখন এলাহি (আল্লাই) ভরসা। বুড়ো হাতুড়ে বড়ো সংকুচিত হলেন। কতটুকুই বা ওঁর ক্ষমতা? ওঁর নিজের মা-বাবা তো ওঁর অধীনে ভর্তি থেকেই মারা গিয়েছেন। ওঁর ক্ষমতায় কুলোলে তো মরতেই দিতেন না।

একটুক্ষণ দু’চোখ বন্ধ করে তার পর আবার দরিদ্র পরিবারটির দিকে তাকালেন। রোগী দেখার বিছানায় শায়িত রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাসের হার মিনিটে চোদ্দো। কপালভর্তি বিন্দু বিন্দু ঘাম। মুখে অসম্ভব ভয়ের ভাব। হাতুড়ে ডাক্তার ওঁর হাতটা আলতো করে ধরলেন। নাড়ি চুয়াত্তর। হাতুড়ে নিজের রংচটা পায়াভাঙা চেয়ারে আসীন হলেন। যখন উনি স্বাধীনভাবে চিকিৎসাব‍্যবসা আরম্ভ করেন তখন ওঁর দক্ষিণা ছিলো দশ টাকা – আজ বহু বছর পর বহু গুণ বেড়েছে – তার কিছু তো প্রতিদান ওঁকে দিতেই হবে।

উনি রোগীর দিকে তাকালেন। বহু বদ‍্যি ঘুরে ঘুরে চিকিৎসায় বিশ্বাস তলানিতে। এখন প্রয়োজন র‍্যাপিড ফায়ার রাউন্ড। হাতুড়েকে রোগীর অসুবিধাগুলো বলে দিতে হবে – যাতে বেচারা বোঝেন যে এই বুড়ো ওঁর রোগটা ধরতে পেরেছেন।

হাতুড়ে অর্ধ-নীমিলিত নয়নে বলেন, “আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করব। ‘হ‍্যাঁ’ আর  ‘না’-এ উত্তর দেবেন, ঠিক আছে?” রোগী চোখে চোখে সম্মতিসূচক উত্তর দিলেন।

“আপনার যখন কষ্ট আরম্ভ হয় তখন বুক ধড়ফড় করে?”

“হাত পা অসাড় হয়ে আসে?”

“গোটা শরীর ঘেমে যায়?”

“মনে হয় এক্ষুনি মরে যাবেন?”

“ঘরের ভেতরে থাকতে ভয় হয়?”

“তখন দম আটকে আসে?”

“হঠাৎ করে কখনও ঘুমের মধ‍্যেও এ রকম হয়?”

রোগীর বাড়ির লোক হড়বড়িয়ে ওঠে, “ও ডাক্তারবাবু, এরমটা তো বহু দিন হৈছে গো – মাঝরেতে সে কী ক‍্যাঁচাল – অক্সিজেন দ্দেয়েও কমে না… সেই সালাডা রাত সেই ঠায় হাসপাতালের গাছতলায় – বাড়ির মানুষটার বড় কষ্ট গো – দ‍্যাহো না যদি একটু সারায়ে দিতি পারো… যা চাও তাই দেবোই গো।”

হাতুড়ে খসখস করে একটা পাতায় কী যেন লেখেন – “যান, এটা একপাতা নিয়ে এসে একটা জিভের তলায় দিয়ে দিন – আমি আধঘণ্টাটাক পরে দেখব” – বলে গটগটিয়ে ওঁর পরম বন্ধু হাবুল সাহার পানের দোকানে গিয়ে মনোজকে দু’টো চা বলেন। সেই মাত্র তখন হাবুলবাবুকে শীতল পানীয়ের কোম্পানি থেকে একটা মস্ত ফ্রিজ দিয়ে গিয়েছে। হাবুলবাবুর ছোট্ট দোকানে সেটা বসাতে গিয়ে বেচারার টাকে ঘাম জমেছে। দু’জনে এক কাপ করে চা পান করে হাতুড়ে উদ্‌গার তুলতে তুলতে খুপরিতে ফেরেন। শীর্ণকায় ছিন্নপোশাক বয়স্ক রোগী তখন অন্তত সত্তর ভাগ সুস্থ।

হাতুড়ে একটা মজারু হাসি হাসেন – “কী মশয়, কেমন বোধ করছেন?”

রোগীর ঠোঁট-চিবুক বেয়ে হাসি গড়িয়ে পড়তে থাকে, “হ‍্যাঁ অনেকটা ভালো… কিন্তু বড্ড মাথায় যন্তন্না – ঠিক ব‍্যথা নয় যন্তন্না।”

হাতুড়ে রোগীর প্লাস্টিকের প‍্যাকেট থেকে একটা সাদা কৌটো (সর্বিট্রেট জাতীয় ওষুধের) বার করে বলেন, “এটা খেয়েছেন তো? এই ওষুধে কখনও কখনও মাথাব্যথা হয় – তাতে কোনো ক্ষেতি নেই – সেরে গেলে কমে যাবে।”

হাতুড়ের ব‍্যবস্থাপত্র নিয়ে যাওয়ার সময় রোগীপার্টির বাচ্চা ছেলেটা প্রশ্ন করে, “আচ্ছা এই রোগটা কী ডাক্তারবাবু?”

হাতুড়ে চমৎকার গাম্ভীর্য নিয়ে বলেন, “লেখা আছে… তবু বলি এটার নাম প‍্যানিক অ্যাটাক – দুশ্চিন্তা, হতাশা থেকে এই রোগটা হয় – এই রকম হয়তো আর হবে না – তবে হলে ওই পাতা থেকে একটা বড়ি জিভের তলায় দিয়ে দেবেন, তার পর ভালো নার্ভের ডাক্তার মানে নিউরোসাইকিয়াট্রিস্ট দেখিয়ে নেবেন।”

রোগীপার্টির বয়স্কজন জিজ্ঞেস করেন, “হ‍্যাঁ ডাক্তারবাবু, এই পিকনিক অ্যাটাক এটা …মানে ওই বড়ো হাসপাতালের ডাক্তাররা জানেন না?”

হাতুড়ে অন‍্যমনস্ক ভাবে সুন্দরী রিসেপশনিস্টকে হাঁক পাড়েন, “অ পিসিমা আয় রে, এ বার ঝাঁপ বন্ধ করি।”

PrevPreviousএক ইন্টার্নের প্রসূতিকক্ষের স্মৃতি
Nextতাহাদের কথা কি সব সময় অমৃতসমান?Next

One Response

  1. Swarnendu Banerjee says:
    February 6, 2020 at 10:55 am

    Abaar “Panic Attack ” ???

    Reply

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সম্পর্কিত পোস্ট

পুস্তকালোচনাঃ ডা নন্দ ঘোষের চেম্বার

January 24, 2021 No Comments

বই– ডা. নন্দ ঘোষের চেম্বার (প্রথম সংস্করণ) লেখক– ডা. সৌম্যকান্তি পন্ডা প্রকাশক– প্রণতি প্রকাশনী মুদ্রিত মূল্য– ১০০ টাকা ––––––––––––––––––––––––––––––––––––––– ১) অন্ধকারের রাজ্যে —— একদিকে চিকিৎসা

ডা ঐন্দ্রিল ভৌমিকের প্রবন্ধ ‘কর্পোরেট’

January 24, 2021 No Comments

ডাঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়

January 24, 2021 No Comments

একটি সুইসাইড নোট- “হার্ট অ্যাটাকের অপেক্ষায় ক্লান্ত দিন যাপন শেষ হোক এবার।” লিখেছিলেন ভারতবর্ষের প্রথম এবং বিশ্বের দ্বিতীয় নলজাতক শিশু বা টেস্টটিউব বেবীর সফল স্রষ্টা।

বহন

January 23, 2021 No Comments

কাঁধে ব্যথা। শেষ ৬ মাসে ব্যথাটা বেড়েছে। বয়স হচ্ছে। ঠান্ডাও পড়েছে। কিন্তু এ ব্যথাটা ঠিক সেইরকম নয়, একটু অন্যরকম। অনেকক্ষণ কাঁধে কিছু বয়ে নিয়ে গেলে

বাঁশরি

January 23, 2021 No Comments

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বদেশ চিন্তায় আধারিত নাটক। অভিনয়ে অমর চট্টোপাধ্যায় ও ময়ূরী মিত্র।

সাম্প্রতিক পোস্ট

পুস্তকালোচনাঃ ডা নন্দ ঘোষের চেম্বার

Aritra Sudan Sengupta January 24, 2021

ডা ঐন্দ্রিল ভৌমিকের প্রবন্ধ ‘কর্পোরেট’

Dr. Sumit Banerjee January 24, 2021

ডাঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়

Dr. Indranil Saha January 24, 2021

বহন

Dr. Indranil Saha January 23, 2021

বাঁশরি

Dr. Mayuri Mitra January 23, 2021

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

292731
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।