রোগীদের অধিকার কি কি আর কি ই বা তাদের কর্তব্য–সে বিষয়ে 2019 এর দোসরা জুন কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এক নির্দেশিকা জারি করেছেন। সে বিষয়ে জানাচ্ছেন ডা পুণ্যব্রত গুণ।
সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট–সরকারি এবং বেসরকারি, সবেতেই রোগীদের এইসব অধিকার পাওয়ার কথা।
১। তার রোগের প্রকৃতি এবং কারণ, প্রস্তাবিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা, সম্ভাব্য ফলাফল, সম্ভাব্য জটিলতা এবং আনুমানিক খরচ সম্পর্কে যথাযথ জানবার অধিকার রোগী ও তার পরিজনদের আছে।
২। যে পরিষেবাগুলো দেওয়া হচ্ছে সেগুলোর খরচ সম্পর্কে জানবার অধিকার আছে। ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্টের পরিষ্কার দেখা যায় এমন কোন জায়গায় স্থানীয় ভাষা এবং ইংরেজিতে সেই খরচগুলো প্রদর্শন করতে হবে।
৩। চিকিৎসার নথিপত্র, রোগীর রেকর্ড, পরীক্ষার রিপোর্ট এবং বিস্তারিত আইটেমাইজড বিল পাওয়ার অধিকার আছে।
৪। নির্দিষ্ট কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা চিকিৎসা (যেমন অপারেশন বা কেমোথেরাপি)-র আগে ইনফর্মড কন্সেন্ট অর্থাৎ ভালো করে জেনে সম্মতি দেওয়ার অধিকার আছে।
৫। যে হাসপাতালে চিকিৎসা হচ্ছে সেখান থেকে নথিপত্র এবং তথ্য নিয়ে রোগীর পছন্দের দ্বিতীয় কোনো চিকিৎসকের কাছে মতামত নেওয়ার অধিকার আছে।
৬। চিকিৎসার সময় গোপনীয়তা, মানবিক মর্যাদা এবং প্রাইভেসির অধিকার আছে।
৭। একজন মহিলা রোগীকে যখন পুরুষ চিকিৎসক শারীরিক পরীক্ষা করছেন তখন একজন মহিলার উপস্থিতিতে তা হওয়ার অধিকার আছে।
৮। এইচআইভি আছে কি নেই তার ওপর কোন ভেদ ভাব চিকিৎসায় বা আচার-আচরণে থাকা যাবে না।
৯। সম্ভব হলে রোগীর অধিকার থাকবে বিকল্প কোন চিকিৎসা পদ্ধতি বেছে নেওয়ার।
১০। কোন কারণেই হাসপাতাল মৃতদেহ আটকে রাখতে পারবে না।
১১। সুপারিশ করা হয়েছে যে কোন হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ট্রান্সফারের আগে বা ছুটি হওয়ার আগে রোগীর দায়িত্ব থাকবে পূর্বনির্ধারিত খরচ মেটানোর।
১২। রোগীর অসুখ বা পরিস্থিতি, এইচ আই ভি সংক্রমণ থাকা না থাকা, অন্য কোন রোগ থাকা না থাকা, ধর্ম, জাত, লিঙ্গ (উভলিঙ্গ সহ), বয়স, যৌন ঝোঁক, ভাষা, ভৌগলিক উৎস বা সামাজিক উৎসের ভিত্তিতে চিকিৎসায় ভেদভাব করা যাবে না।
১৩। চিকিৎসার নথিপত্র ডিজিটালাইজ করার আগে রোগীকে জানিয়ে তার সম্মতি নিতে হবে।