শুঁড়ির উপায় সুরার থেকে, শিক্ষা থেকে লাভটা কার,
পাঠশালা চাই, পানশালা নয় দাবী এমন কোন পাঁঠার?
ব্যা ব্যা করাই শিখবে শুধু বেকার কিছু বই পড়ে,
অত্যাচারের কী মানে হয় অমন অমল কৈশোরে?
শিখছে ঠিকই ধনীর বাছা, বাইজু আছেন স্ক্রিন জুড়ে
হোয়াইট হ্যাটের কোডিংজ্ঞানও ছোট্ট মাথায় দিন পুরে।
অনলাইনেই জ্ঞানের পাহাড়, স্কুলিং ফ্রম হোম আল্ট্রাকুল,
আঁচড়টুকু ফেলবে না তাই বন্ধ স্কুলের হালকা ভুল।
গরীব আবার স্কুল যাবে কি, বাপের মায়ের সঙ্গে যাক,
ইটভাটা আর হাটবাজারে ছিন্ন পোশাক অঙ্গে থাক।
মেয়েগুলো দাও বিয়ে দিয়ে, চোদ্দ ষোলোয় আর কি চাই,
রাষ্ট্র সাজেন দুহাত তুলে কোভিডকালের গৌর নিতাই।
পানশালাতেই মোক্ষ জেনো, ঢাললে গলায় স্বর্গলাভ,
বন্ধ করো সুরার সুধা, সেসব আবার কার প্রলাপ?
আজ বাঙালী খাবার না খাক, বোতল ছাড়া যায় না দিন,
যে দেবে সেই ঢালাও দারু, ভোটটা যাবে তার অধীন।
শিক্ষা দিলেই বুঝবে লোকে, কোনখানে ঠিক ঠকছে সে,
বুঝবে যে গাঁ উজার হবে বাছতে গেলেই ঠগ দেশে।
ঠকতে মানুষ চায় না মোটে, বুঝলে পরেই রাগবে খুব,
স্কুল খুলে সেই বুদ্ধি খোলায় লগ্নী করে কোন বেকুব?
শুঁড়ির তরফ সাক্ষ্য দিতে তৈরি আছেন সব মাতাল ,
বন্ধ করার চেষ্টা হলেই, গুছিয়ে দেবেন গুচ্ছ গাল।
স্কুল কলেজের বন্ধ হওয়ায় প্রতিবাদে যায় না কেউ,
কোন গরীবের স্বপ্ন নেভে খেয়াল কারো নেই আদৌ।
সরস্বতীর আব্রু লোটার লাগছে কাজে জ্বরের ঢেউ।