মুশকিলটা হলো আমি কিছুই জানি না অথচ লেখার ইচ্ছে প্রবল। কলম সুড়সুড় করে – ফলতঃ অশ্বডিম্ব ছাড়া কিছুই হয় না।
প্লাজমা থেরাপি বা নতুন ভ্যাক্সিন – এখনো অনাগত অথবা ভবিষ্যতের ভাইরাসঘাতী ওষুধের কি হবে কাজ কারবার – সত্যি বলতে কি জানার চেষ্টাও করি না (সত্যি বলতে কী চেষ্টা করলেও বুঝতাম না)। আপাততঃ জানি – করোনায় জ্বর হয়, গায়ে গলায় ব্যথা হয়, গন্ধ ও স্বাদের অনুভূতি চলে যায়। অবশেষে ভয়ানক শ্বাসকষ্ট হয়। রোগী তারপর হয় সেরে যায় নয় সরে যায়।
প্রাথমিক ভাবে করোনাতে জ্বর হলে প্যারাসিটামল, নাকে জল পড়লে ঐ সব অ্যান্টিঅ্যালার্জিক ইত্যাদি দেওয়া হয়। তারপর যদি শ্বাসকষ্ট হয় তাহলে তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। শ্বাসকষ্ট কেন হয় তা নিয়ে প্রচুর প্রচুর কথা আছে সেই সব আমাদের জানা দরকার নেই – আমরা কোনও বিতর্কিত বিষয়ে যাবোই না। এরপরেও শ্বাসকষ্ট থেকে গেলে ভেন্টিলেটরে দেওয়া হবে। এগুলো সবই শুধুমাত্র রোগীকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সাপোর্ট দেওয়া বা সাহায্য করা। এই ভাইরাসের একটা জীবনচক্র আছে সেটা শেষ হলে ভাইরাস চলে যাবে। তখন ঐসব ভেন্টিলেটরের অক্সিজেনের আর কোনও দরকারই থাকবে না। যারা সুগার ইত্যাদি ইত্যাদি অন্যান্য অসুখে ভুগছেন তাঁদের জন্যই ঐসব প্লাজমা থেরাপি অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ পত্র লাগবে। সেটা ষাঠের ওপরে বা দশের নিচের বয়সী নাগরিকদের জন্যে প্রযোজ্য।
দ্বিগুণ হওয়ার সময় নিয়েও একটা চমৎকার সংখ্যাতত্ত্ব চলছে। আমি আবার সংখ্যাতত্ত্ব বুঝি না। আসলে কীই বা বুঝি? আমি শুধু একটা দ্বিগুণের হিসেব দেবো – আপনারা বুঝে নিন।
এক থেকে দ্বিগুণ অর্থাৎ দুই হতে তিনদিন লাগে। চমৎকার না? দুই থেকে চার হতে তিনদিন লাগে। চার থেকে আট হতে তিন দিন লাগল। সংক্রমণের হার বাড়েনি কেননা দ্বিগুণের সময় কমে নি। এই ভাবে আট থেকে ষোল এবার এই ভাবে অবশেষে পাঁচশো বারো থেকে হাজার চব্বিশ হতে তিন দিন লাগল। ক্রমে পঁয়ষট্টি হাজার পাঁচশো ছত্রিশ থেকে একলক্ষ একত্রিশ হাজার বাহাত্তর হতে তিনদিন লাগছে সুতরাং সংক্রমণের হার বাড়েনি কেননা দ্বিগুণের সময় কমে নি। ঠিক তো? এই সহজ সরল হিসেবটা আমি বুঝতে পারছি না। যদি আপনারা একটু …..
সুস্থতার হার এটাও বেশ মজাদার। শেষ দেখলাম সুস্থতার হার আটচল্লিশ শতাংশ। কিন্তু আসলে এই করোনাতে মৃত্যুহার প্রায় তিন শতাংশ। ভারতের হিসেবে এখনও ঠিকই চলছে। তাহলে বাকি সাতানব্বই শতাংশ তো সেরে উঠবেই। এটা তো ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে বলার কিছুই নেই। বরঞ্চ আটচল্লিশ শতাংশটা বেশ কমই বলা যায়। অন্য দিকে বরঞ্চ ভেবে দেখুন ঐ এসি চালানো, গাড়ি চেপে ঘোরা, প্রচুর প্রোটিন আর মাল্টি ভিটামিন খাওয়া আমেরিকা ফ্র্যান্স ইংল্যান্ড – এদের মৃত্যুহার অনেক বেশী।
একটা কথা চুপিচুপি বলে রাখি। ভারতের যে ছয় হাজার মানুষ মারা গেছে তাতে কিন্তু ডাক্তার বা সরকারের কণামাত্রও ক্রেডিট নেই। ওটা পুরোটাই অ্যাডভান্টেজ করোনা।