হাত নিয়ে বাঙালি বিশেষজ্ঞ। সে বুর্জোয়া মালিকের কালো হাত ভেঙ্গে দেয়, বাসে সহযাত্রীর সাথে হাতাহাতি করে, দুর্বলের ওপরে হাত তোলে আর সবলের সামনে হাত জোর।
এই বাজারে তার নতুন চিন্তা হাত ধোবে না হাত ঢাকবে?
ভাইসব, ভাইরাস থেকে নিজেকে বাঁচাতে আপনিও কি গ্লাভস পরছেন? ভাবছেন, যাক বাবা, আর চাপ নেই।
আপনার এই ভাবনা কিন্তু ভুল। আসলে হাতের ওপর এই রঙ বেরঙের গ্লাভস গুলো ফ্যাশন হিসেবে ভালো, কিন্তু করোনার সাথে লড়তে পারবে না। স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীদের দেখার সময় গ্লাভস পরে ঠিকই কিন্তু দ্বিতীয় রোগী দেখার আগে তা বদলে নেয়। কিন্তু আপনি তো মশাই সেই সকালে বেরনোর সময় একটা গ্লাভস পরে নেন আর সারাদিন সেটাই পরেই বিভিন্ন জায়গায় টোটো করেন। অনেকে আবার দিনের পর দিন ওই এক গ্লাভস পরেন। কোনও ধোয়ার বালাই নেই। ফলে গ্লাভসগুলো জীবাণুর আঁতুড়ঘর হয়ে ওঠে। আর সেই হাত যখন কোনো দরজা, কলিংবেল, মোবাইল বা মুখে লাগে সংক্রমণের আশঙ্কা কত বাড়তে পারে তা অনুমান করতে পারছেন তো? করোনাকে হাত ধরে ঘরে ঢোকাচ্ছেন!
কাজেই সবার গ্লাভস পরার দরকার নেই, ওটা শুধু মনের শান্তি, গলায় মাস্ক ঝোলানোর মতো। তার থেকে হাত ধোয়ার দিকে নজর দিন। বারবার সাবান দিয়ে হাত কচলে কচলে ধুলেই অনেক নিরাপদে থাকতে পারবেন। আর কচলানো তো আমাদের মজ্জায়। পাটাকেও একদম অবহেলা করবেন না, বাইরে থেকে ফিরে এসে ভালো করে পা ধুয়ে নিতে হবে।
এবার হাত পা গুটিয়ে ঘরে বসে থাকার দিন শেষ হল, পথে নামি, না হলে পথে বসতে হবে। করোনাকে হাতের সামনে যদি একবার পেতাম না, তাহলে…..
Right sir.