হাইকোর্টের নির্দেশে (অনুরোধে) আরজি কর মেডিকেল কলেজের আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রী ও জুনিয়র ডাক্তারদের 6 জন প্রতিনিধির সঙ্গে স্বাস্থ্য ভবনে আজ বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব, বিশেষ স্বাস্থ্য সচিব এবং মেডিকেল শিক্ষার অধিকর্তা।
আন্দোলনকারীরা প্রথমে তাদের মূল দাবি অর্থাৎ কলেজের প্রিন্সিপালের অপসারণ নিয়ে কথা শুরু করলে আধিকারিকরা মূল সমস্যাগুলো নিয়ে আগে আলোচনা করতে চান। আলোচনার পর তাঁরা বলেন এইসব দাবিগুলো মেনে নেওয়া যায়।
তাদের বক্তব্য ছিল হাইকোর্টের অনুরোধে তাঁরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে বসেছেন, আন্দোলনকারীদের ক্ষোভ হাইকোর্টের কাছে পৌঁছে দেওয়াই নাকি তাদের কাজ।
প্রিন্সিপালকে নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষোভ আলোচনায় উঠে আসে। আধিকারিকরা নাকি বলেন যে এমন হয়ে থাকলে তা বাঞ্ছনীয় নয়। কিন্তু তিনি স্বাস্থ্য দপ্তরের মুখ হলেও প্রিন্সিপালকে অপসারণ করা নাকি তাঁর ক্ষমতার মধ্যে নয়।
কিভাবে অপসারণ হতে পারে তার উত্তরে মুখ ফসকে তিনি বলে ফেলেন সরকার যদি চায়।
” … অতএব যাঁদের উচিত ছিল জেলের দারোগা বা ড্রিল সার্জেন্ট বা ভূতের ওঝা হওয়া, তাঁদের কোনমতেই উচিত হয় না ছাত্রদিগকে মানুষ করিবার ভার লওয়া। ছাত্রদের ভার তাঁরাই লইবার অধিকারী, যাঁরা নিজের চেয়ে বয়সে অল্প, জ্ঞানে অপ্রবীণ ও ক্ষমতায় দুর্বলকেও সহজেই শ্রদ্ধা করিতে পারেন, যাঁরা জানেন শক্তস্য ভূষণং ক্ষমা, যাঁরা ছাত্রকেও মিত্র বলিয়া গ্রহণ করিতে কুন্ঠিত হন না।”–না আর জি কর নিয়ে নয়, প্রায় এক শতক আগে রবীন্দ্রনাথের লেখা। ( ছাত্রশাসনতন্ত্র, শিক্ষা, জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৬)
জেলের দারোগা বা ড্রিল সার্জেন্ট বা ভূতের ওঝা-কে কলেজের শাসন ভার থেকে সরাতে সরকারকে চাওয়ানোর জন্য আর জি করে আন্দোলন জারি থাকবে বলে জানালেন ছাত্র-ছাত্রী ও জুনিয়র ডাক্তাররা।