এত পরিষ্কার! এত নীল, এত সবুজ! এত নিস্তব্ধতা! এত শূন্যতা চারিদিকে!
ও আমাকে জিজ্ঞাসা করল, ‘কেন?’
‘জানি না। শুধু জানি শ্বাস নিতে আর কষ্ট হচ্ছে না অনেকদিন পরে।’
‘জন্ম থেকে কোনোদিন এত পরিষ্কার জল আর বাতাস পাই নি তো, তাই।’
খুশীতে ডগমগ হয়ে ও আর আমি সাঁতরে এপার-ওপার করলাম বেশ কয়েকবার।
কাঁচের মত স্বচ্ছ জল। দু-একটা পাতা-ফুল উড়ে এসে পড়েছে, কি পড়েনি। দু-পাড় নির্জন। আকাশে রোদ্দুর, মেঘ। বাতাসে পাতা ঝরার শব্দ।
গাড়ি নেই, ধোঁয়া নেই। শুধু পাখিদের কলতান।
‘কি হয়েছে? কেন?’
‘মানুষের নাকি কি একটা রোগ হচ্ছে, দলে দলে। তাই লকডাউন।’
‘তাই? সে তো আমাদেরও হয়। দলে দলে মরে গিয়ে মাছ ভেসে থাকে নদীর এপার – ওপার। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি মরে যায় কুয়াশায়। লকডাউন হয় না তো কোনোদিন! শুধু মানুষেরই লকডাউন?’
‘সে তো হবেই! ওরা যে শাসক……..’