ব্রেনোলিয়ার গল্প। না না, ভুল বুঝবেন না।ওরা বলিউড, টলিউডের বিয়ে করা হিরো হিরোইন নয়। আমার আপনারই মতো। শুধু অল্প একটু সাহেবি। কিন্তু মনে প্রাণে ভীষন বাঙালি। বন্ধুদের সাথে ইমপোর্টেড হুইস্কি খায়, কিন্তু চিয়ার্স বলে না, উল্লাস বলে। রবীন্দ্রসঙ্গীতের সাথে সালসা নাচে। ব্রেনির আসল নাম বেণীমাধব। ঠাকুরদা বাংলার অধ্যাপক, তিনি নাম রেখেছিলেন। স্কুলে মাধব খসে গেল, বেনী হয়ে গেল ব্রেনি। যেমন আনন্দরূপ হয় আন্ডি। আসলে স্কুলেই আমরা প্রথম বুঝি আন্ডির মধ্যেই জীবনের সব আনন্দ। সেই ব্রেনি বিয়ে করলো জেনিলিয়াকে। সেই থেকে ওরা ব্রেনোলিয়া।
আসল কথায় আসি। ওরা আমার পেশেন্ট। এসেছে কন্ট্রাসেপটিভ নিয়ে জানতে। সব বোঝালাম। ন্যাচেরাল, কন্ডম, পিল, ইনজেকশন, কয়েল।
সব শুনে ব্রেনি বললো, আই প্রেফার এনিথিং ন্যাচেরাল। ঠিক সময় উইথড্র। সেলফ কন্ট্রোল।
অ! আমি জিজ্ঞেস করলাম,তুই ব্রেকফাস্ট কী করিস?
গ্রীন টি, নো চিনি। আই প্রেফার ন্যাচেরাল। খাওয়াটা একদম সেল্ফ কন্ট্রোলে রাখি।
আর ডেজার্ট খাস না?
ইয়েস ডক। আই লাভ ওয়াফেল উইথ মেপেল সিরাপ,সাথে ডবল স্কুপ ভ্যানিলা আইসক্রিম।
আমি চুপ, এই রকম সেল্ফ কন্ট্রোল থাকলে আমার ব্যবসা ভালই চলবে।
গল্পটা কাল্পনিক। আসলে আজ আমি কল্পনার সাথে ব্রেকফাস্ট করলাম। চিনি ছাড়া কফি, শেষে প্যানকেক। দোষ আমার নয়, সব জিনের খেলা। আমার দাদুও লুকিয়ে মোড়ের দোকান থেকে গরম রসগোল্লা খেয়ে আসতো। সাথে আমিও। সেই বিজ্ঞাপন ছিলো না, দাদু খায় নাতি খায়… আর অষ্টমীর দিন ঠাকুর দেখতে গেলে হাতে একটা টাকা দিতেন। আসলে স্মৃতি আর মনখারাপের ওপর আমার কোনো সেলফ কন্ট্রোল নেই।