ভেসে চলেছি তীর থেকে অকূলে।ভেসে চলেছি এক অদ্ভুত নিস্তব্ধ সাগরে। বহমান স্রোতের ঢেউয়ে ঢেউয়ে দুলতে দুলতে।পাশে ভেসে যায় মৃতদেহের সারি-দেখতে দেখতে মনে হয়-আমিও কি ঐ দলের একজন?নিঃসাড়, নিস্পন্দ।
কে যেন-পড়তে থাকে সাহিত্য-ধীর লয়ে কবরের মতোন শীতল, সে সব লেখা।মৃত্যুর কোনও খবর নেই।যদি মৃতদেহদের থেকে একটা হাত এসে শ্বাসরুদ্ধ করে’ দেয়- অর্থহীন-অসম্পৃক্ত সেই সব পাঠ; যদি সেই শীতল হাত-ইস্পাত আঙ্গুলে কন্ঠনালী টেনে বার করে আনে-তাহলে কি লেখক তুমি মৃত্যু দেখতে পাবে?
পদাতিক পায়ের তলায় পড়ে থাকা আধমরা হাত যদি শক্ত হাতে রুদ্ধ করে গতি; তাহলে কি দেখতে পাবে সেই লোকটাকে?
আমৃত্যু শিখরে ওঠা মানুষ ভুলে যাই শিখরের শেষে অবরোহন। লেখক তোমার লেখায় মৃত্যু নেই, তোমার লেখায় মৃত্যু নেই-তোমার লেখা কেবল ফ্ল্যাটবাড়ির চার দেওয়ালের মানুষগুলোর গভীর মনস্তাত্ত্বিক গল্প। বাকিদেরও প্রেম আছে-গরীবগুর্বোদেরও দ্বন্দ্ব আছে, তীব্র আবেগ, শরীর,ক্ষিধে, কাম, জন্ম মৃত্যু। তাদের কথা লিখছো না অথচ মরা মানুষের চামড়ায় কলম দিয়ে তুমি লিখছো শৌখিন রোজনামচা। তোমার নিজেকে ঘেন্না হয় না গো?