আজ বাসন্তীর সোনাখালি এলাকার কাছে নাপিতখালি গ্রামে স্বাস্থ্য শিবির হল। মাতলা নদীর শাখানদী হোগল তার পাশে গ্রাম। বাঁধ ভেঙে যে জল ঢুকেছিল তা এখনো শুকোয় নি, নোনা জলে চাষের জমি নষ্ট হয়েছে অনেকটা জায়গা জুড়ে। এখনো রাস্তা ঘাটের অবস্থা প্রচন্ড খারাপ। তাছাড়া আজ প্রচন্ড বৃষ্টিতে স্বাস্থ্য শিবির শুরু করতেও বেশ দেরি হয়।
SSU-WBDF এর মেডিকেল টিমে ছিলাম আমি দেবাশিস হালদার, ডা শুভাশিস চক্রবর্তী , সাফিনা বেগম (SSKM থেকে গাইনি পিজি শেষ করে বিজয়গড় হাসপাতালে আছে দিদি এখন) আর আপন সামন্ত( মেডিকেল ছাত্র)। এছাড়া অডাক্তার ভলান্টিয়ার হিসেবে ছিল শ্রীপর্ণা, ঊর্মি, মিজানুর আর ফাহিমা।
স্থানীয় ‘সুন্দরবন উন্নয়ন নিকেতন’ এর ইকবাল দা সবটার ব্যবস্থা করেছিলেন। ওঁরা ওখানে একটা স্কুল চালান, সে স্কুলের সবুজ শাড়ির দিদিমনিরা রোগীর নাম এন্ট্রি থেকে নানা কাজে সমানতালে হাত লাগালেন।
প্রচন্ড বৃষ্টি সত্ত্বেও রোগী দেখলাম ১৪২ জন, তাতে বিকেল পাঁচটা বাজল ওখানেই। এর পরেও ওখানে স্বাস্থ্য শিবির করার কথাবার্তা প্রাথমিক ভাবে হল।
রিপোর্টটি লিখেছেন ডাক্তার দেবাশীষ হালদার।