সব শিরদাঁড়া বিক্রি হয়না আজো,
সবাই এখনো নেয়না মেকআপ মুখে।
সব কবিদেরই রব নেই সাজো সাজো,
প্রভুর কথায় স্পন্দন বাড়ে বুকে।
সবাই এখনো ছাড়েনি কবিতা লেখা,
নুপুর ছন্দে ফুলের সুবাস পেয়ে,
সব কবিরাই শিবির বদল ক’রে,
চাতকের মতো থাকে না আকাশে চেয়ে।
কারো দরকার নিয়মিত মাসোহারা,
কেউ বা শুধুই নীল বাতি দেয়া গাড়ী,
কেউ কেউ দেখি প্রতিবাদী হতে চায়,
অনুদান চাই, তাই হাতড়ায় দাড়ি!
সব গীতিকার স্তব গায় নাতো গানে,
গানস্যালুটের দরকার নেই তার,
সব শিল্পীরা বিকোয় না এ বাজারে,
মূল্যবোধের হয়নি তো হাহাকার।
সব নৌকোই নোঙর ফেলেনি পাড়ে,
সব মাঝিরাই ফেলে না তো হাহুতাস ,
তলানিতে ঠেকা শিক্ষা সবার নেই,
অনেকেই বোঝে এটা নয় মধুমাস।
উচ্ছিষ্টকে প্রসাদের ভক্তিতে,
হাঁটু গেড়ে বসে ঠেকায়নি যারা মাথা,
তাদের জন্য শুধু ঠাঁই কারাগার,
রাষ্ট্রদ্রোহে ধড় হতে পারে কাটা।
কত ধড় কেটে আলাদা করবে প্রভু?
যোগান দেব যে প্রতিদিন অবিরাম।
সব শিরদাঁড়া বিকোয় না এ বাজারে,
ভুলিনি শহীদ, জানি রক্তের দাম।
কবিতাটি খুবই প্রাসঙ্গিক।আমাদের ভাবনাকে উস্কে দেবে, নিজেদের শিরদাঁড়া সোজা রাখতে জানার মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বাস্তববাদী কবিতা, মন ছুঁয়ে গেল।