বণিকের মানদণ্ড চলে এলে বন্ডরূপে রাজদণ্ডটিতে
গণতন্ত্রের ঘোড়া ভোটের অণ্ডে যত থাক তা দিতে,
লাভ কিছু নেই। জনগণ না পটলে ভয় কেন আর,
ভোটে জেতা ঘোড়াদের মূল্যটি ঠিক মত জানা দরকার,
সেই দাম ধরে দিলে বিরোধী প্রতীক থেকে কে কে এদিকে,
একবার সে হিসেব জলবত তরলিত নেওয়া গেলে শিখে
বন্ডের ভাঙানিতে তখন বিজয়ী কেনা বাঁ হাতের খেলা,
এড়ানো সহজ তবে বিপরীতে ছাপ দেওয়া ভোটের ঝামেলা।
বণিকেরা লগ্নী করেন শুধু ব্যবসার লাভ-গুড় খোঁজে,
কার পায়ে ঢেলে দিলে লাইসেন্স বেরোবে সহজে
কার আঙুল-ইঙ্গিতে আয়কর-হানাদার পাবে না ঠিকানা,
সেটা যে জানে না এ পোড়ার দেশে তার বিজনেস মানা।
সুতরাং বন্ড বলো ক্যাশ বলো আধুনিক যা যা হুন্ডির প্রথা
যে দলে ক্ষমতা নেই , সেইদিকে তার স্রোত যাবে না অযথা
বণিক ও রাজাদের এ সমীকরণ হয়তো সভ্যতার সমান প্রাচীন,
দূরতম ভাবীতেও এ নিয়ম পাল্টাবে সেরকম আশা অতি ক্ষীণ।
কাজেই অবাক কেন কার খোপে ধন বেশি গেছে সেটা দেখে?
যাদের মিলেছে কম তাদেরও শাসন এলে সুযোগটা নিতো প্রত্যেকে।
পাওনার খোপে নয়, বরং নজর যাক নজরানা খরচের প্রতি
এত কোটি কোটি টাকা কোন খাতে কিসে হলো গতি,
সে সওয়াল করা দরকারি, এ ভোটের মঞ্চতে হিসেব দেখানো হোক,
হাজার কোটিকে নিয়ে দলগুলো করে কী, তা জানুক এ দেশের লোক।
বণিকের মানদণ্ড বন্ডের ছলে নিয়ে, কোন ঘোড়া কিনছে প্রাপক,
গান্ধারী-পটি খুলে
সে অগণতন্ত্রের দিকে এবারে ফেরানো যাক চোখ।