Skip to content
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Search
Generic filters
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Generic filters

সাধারণের গল্প ৪

FB_IMG_1697989830117
Dr. Aindril Bhowmik

Dr. Aindril Bhowmik

Medicine specialist
My Other Posts
  • October 27, 2023
  • 8:02 am
  • No Comments

প্রতিটি মানুষের জীবনে গল্প থাকে। ভালোবাসার গল্প, ভালোবাসা হারিয়ে ফেলার গল্প, লড়াইয়ের গল্প, খিদের গল্প, হেরে যাওয়ার গল্প, উত্তরণের গল্প। এগুলো আমাদের অজানাই থেকে যায়। দুয়েকটা গল্প অকস্মাৎ যখন আমাদের সামনে অভিনীত হয়, আমরা হতবাক হয়ে যাই।

অনেকবছর আগের কথা। তখন মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি ডিপার্টমেন্টে ইন্টার্নশিপ চলছে। সবে ডাক্তার হয়েছি। সবকিছুতেই চরম উৎসাহ। সারাদিন হাসপাতালেই পড়ে থাকি। পিজিটি দাদারা, হাউসস্টাফ দাদারা যা করতে বলে সে সব করে নিজেকে ধন্য মনে করি।

রক্ত টানা, চ্যানেল করা, ক্যাথেটার পরানো, রাইলস টিউব পরানো শিখে গেছি। ছোটো খাটো কাঁটা ছেঁড়া দিব্যি সেলাই করে দিচ্ছি। এমনকি এমারজেন্সিতে সাধারণ সমস্যা নিজেই চিকিৎসা করে বাড়ি পাঠাচ্ছি।

একদিন বিকাল বেলায় একটি চৌদ্দ বছরের মেয়ে “হেড ইনজুরি” নিয়ে ক্যাজুয়ালটি ব্লকে (সিবি টপ) ভর্তি হল। সিটি স্ক্যান হয়েছে। মেয়েটির মাথার মধ্যে সামান্য রক্ত জমেছে। মেয়েটির জ্ঞান আছে। তবে বমি করছে।

হাউসস্টাফ দাদা দেখে বলল, ‘বাঁ হাতটাও তো একেবারেই নাড়তে পারছে না। মনে হচ্ছে কনুইটা ভেঙ্গেছে। তুই নীচে নিয়ে এমারজেন্সি থেকে একটা এক্স রে কর। যদি ফ্র্যাকচার থাকে তাহলে একেবারে অর্থোপেডিক্সের কাউকে দেখিয়ে আনবি। প্লাস্টার করতে হলে একেবারে করিয়ে আনবি। মাথায় যেটুকু হেমারেজ হয়েছে তার জন্য মনে হয়না বড় সমস্যা হবে। আমি নিউরো সার্জারিতে একটা রেফার লিখে রাখছি।’

মেয়েটির বেড জোটেনি। সিবি টপের বারান্দার মেঝেতেই ভর্তি ছিল। মেয়েটির বাবা একটু দূরে বিষণ্ণ মুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হত দরিদ্র চেহারা। তাঁকে ডেকে নিলাম। ওয়ার্ডের এক দাদাকে ডাকলাম। একটা ট্রলি লাগবে।

লিফটে নামতে নামতে মেয়েটির বাবাকে বললাম, ‘কী করে এমন হলো?’

মেয়েটির বাবা বলল, ‘ও উঁচু থেকে পড়ে গেছে?’

‘উঁচু মানে? পাঁচিল থেকে নাকি ছাদ থেকে পড়েছে?’

‘না না, দড়ি থেকে পড়ে গেছে?’

অবাক হয়ে বললাম, ‘দড়ি থেকে পড়ে গেছে মানে?? দড়ির উপর ও কী করছিল?’

মেয়েটির বাবা বললেন, ‘রুহানা দড়ির উপর ব্যালেন্সের খেলা দেখায়। আমি আর মেয়ে মিলে খেলা দেখাই। ও দড়ির উপর ভল্টও খেতে পারে। আজ যে কী হলো…? কী করে যে পড়ে গেল? অন্যমনস্ক হয়ে গেছিল একটু।’

এতক্ষণে আহত মেয়েটির অত্যন্ত রংচঙে তাপ্পি দেওয়া ফ্রকটা পরে থাকার কারণ বুঝলাম। বললাম, ‘দড়ি থেকে পড়ে এমন হয়ে গেল? কত উঁচুতে দড়ি টানিয়েছিলেন?’

‘তা দশ ফুট হবে। ওর থেকে নিচে টাঙালে খেলা ঠিক জমে না। লোকে পয়সাও দিতে চায়না।’

‘দশ ফুট উপরে একটা মেয়েকে দড়ির উপর হাঁটাবেন, আর কোনো সুরক্ষার ব্যবস্থা রাখবেন না। নীচে কিছু পাতেন নি?’

ওর বাবা অবাক হয়ে বললেন, ‘কী আবার পাতব? আমরা যাযাবর মানুষ বাবু। বাপ ঠাকুরদার আমল থেকে আমাদের ঘরের ছেলে মেয়েরা এই খেলা দেখায়। নিচে কিছু বিছিয়ে রাখলে খেলাটা হবে কী করে?’

এক্সরে রুমে ঢুকিয়ে এক্সরে করা হলো। প্লেট নিয়ে ছুটলাম অর্থোপেডিক্সের অনকল রুমে। দেখা গেল হাউসস্টাফ দাদার আশঙ্কাই সত্যি। মেয়েটির রেডিয়াসের উপর দিকে ভেঙেছে। তবে ভাঙা জায়গাটা সরে যায়নি। হাড়ের ডাক্তারবাবু এমারজেন্সিতে এসে প্লাস্টার করে দিলেন।

নিউরোসার্জন দেখে জানালেন, ‘এখুনি কিছু করার নেই। ওষুধপত্র চলুক। দরকার হলে ছুটি দিয়ে দেওয়া যেতে পারে। পরে আউটডোরে এসে দেখাবে।’

দু’দিন বাদে সার্জারির ভিজিটিং প্রফেসর দেখে বললেন, ‘এভাবে বারান্দার মেঝেতে ফেলে রাখার কোনো মানে নেই। ছুটি দিয়ে দাও। একমাস বাদে এসে দেখিয়ে যাবে। ছয় সপ্তাহ বাদে প্লাস্টারটাও কেটে যাবে।’

ছুটি লিখে দেওয়া হলো। কিন্তু ইভনিং রাউন্ডে এসে দেখি মেয়েটি তখনও মেঝের বিছানায় বসে আছে। বাড়ি যায়নি।

জিজ্ঞাস করলাম, ‘কীরে বাড়ি যাসনি কেন?’

মেয়েটি কাঁদো কাঁদো হয়ে জানাল, আজ তার বাবা আসেনি। তাই ছুটিও হয়নি।

বেশ রাগ হয়ে গেল। এইটুকু একটা মেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে পড়ে গেছে। সকালের ভিজিটিং আওয়ার চলে গেল। বিকেলের ভিজিটিং আওয়ার চলে গেল। মেয়েটার বাবা একবারও আসার সময় পেল না। যাকগে- মরুকগে, কাল যদি সকালেও কেউ না আসে ওয়ার্ড মাস্টার অফিসে খবর দেব।

রাউন্ড দিয়ে বেরচ্ছি, দেখি গেটের সামনে গোলযোগ। একটি লোক ওয়ার্ডে ঢুকতে চাইছে, আর সিকিউরিটির ছেলেটি কিছুতেই তাকে ঢুকতে দেবে না। বারবার বলছে ভিজিটিং আওয়ার শেষ হয়ে গেছে। এখন ঢোকা যাবে না।

আমাকে দেখে লোকটি চিনতে পারল। বলল, ‘ডাক্তারবাবু, আপনি একবার বলে দিন না যেন ঢুকতে দেয়। সারাদিন মেয়েটাকে দেখিনি।’

রুহানার বাবা। ভালোমতো ঝাড় দিতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু লোকটির দিকে তাকিয়ে থমকে গেলাম। লোকটি একটি বছর দশেকের মেয়ের হাত ধরে রয়েছে। তারও পরনে ঝলমলে অথচ শতছিন্ন ফ্রক। গম্ভীর গলায় বললাম, ‘আক্কেল কী আপনার? ছোটো একটা মেয়েকে ভর্তি করে সারাদিনে একবারও আসার সময় পান না? আর অসময়ে এসে ঝামেলা করেন। সকালেই আপনার মেয়ের ছুটি লিখে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ছুটি দেওয়ার তো নির্দিষ্ট সময় আছে।’

লোকটি মাথা নিচু করে বললেন, ‘আসলে খেলা দেখাতে গিয়ে দেরি হয়ে গেল?’

অবাক হয়ে বললাম, ‘খেলা…? কিন্তু যে খেলা দেখায় সেই মেয়েই তো আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।’

লোকটি বলল, ‘খেলা বন্ধ রাখা তো মুশকিল। আমরা দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ বাবু। একদিন উপার্জন না করলে খাওয়া জোটা মুশকিল। রুহানা নেই, তাই ওর বোন খেলা দেখাচ্ছে। ও অবশ্য রুহানার মতো অতটা ভালো পারে না।’

কিছু বলতে গিয়ে থমকে গেলাম। মানুষ কতটা অসহায় হলে এভাবে নিজের আত্মজাদের বারবার বিপদে ঠেলে দিতে পারে।

PrevPreviousআট সেকেন্ড
Nextচাকাহিনী ৫: স্বদেশী চা 茶Next
3 1 vote
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত পোস্ট

হাসপাতালের জার্নাল: পাপী পেটের কেচ্ছা

May 18, 2025 No Comments

দশচক্রে ভগবান ভূত একটা প্রচলিত বাগধারা। উল্টোটাও কখনও ঘটে। সাক্ষী আমি নিজেই। ঘটনা প্রায় পঞ্চাশ বছর আগের। বলি শুনুন। আমার বাবাকে একদা ভর্তি করেছিলাম সার্জারি

স্বাস্থ্যের সত্যি মিথ্যে ৮: কুলেখাড়া শাকের খাদ্যগুণ

May 18, 2025 No Comments

আগে যে সব খাদ্যকে হেলাফেলার দৃষ্টিতে দেখা হতো, ইদানীং সে সব খাদ্য আবার মানুষের খাদ্য তালিকায় ফেরত আসছে। শুধু ফেরত আসছে তাই নয়, একেবারে হই

ভাষা সন্ত্রাসী মানুষের বন্ধুত্ব আমার সত্যিই দরকার নেই

May 18, 2025 No Comments

অনেক বছর আগে, একবার এক সদ্য কিশোরকে নিয়ে তার মা দেখাতে এসে বললো,’ডাক্তারবাবু, আপনি একটু বারণ করুন তো, ও খুব খারাপ ভাষা ব্যবহার করছে, স্কুল

যেখানে দেখিবে চোর

May 17, 2025 No Comments

যেখানে দেখিবে চোর… দেখিবে পশ্চাতে ওর ঠিকঠাক আছে কি না লজ্জাবস্ত্রখানি। নাকি ঘোমটা দিতে গিয়ে… উন্মুক্ত হয়েছে ইয়ে চোর রাণী ছুঁড়ে দিচ্ছে ভাতা-র আট আনি।

অন্ধকারের দিকে

May 17, 2025 No Comments

টিভিতে একটা চেনা বিজ্ঞাপন, মেয়ের কলেজে অ‍্যাডমিশন ,খরচ ভীষণ .. হঠাৎ করেই মনে পড়ে যায়, টাকা তো রয়েছে এক জায়গায়, অমুক ব‍্যাংকে জমার খাতায় পড়ে

সাম্প্রতিক পোস্ট

হাসপাতালের জার্নাল: পাপী পেটের কেচ্ছা

Dr. Arunachal Datta Choudhury May 18, 2025

স্বাস্থ্যের সত্যি মিথ্যে ৮: কুলেখাড়া শাকের খাদ্যগুণ

Dr. Aindril Bhowmik May 18, 2025

ভাষা সন্ত্রাসী মানুষের বন্ধুত্ব আমার সত্যিই দরকার নেই

Dr. Amit Pan May 18, 2025

যেখানে দেখিবে চোর

Dr. Arunachal Datta Choudhury May 17, 2025

অন্ধকারের দিকে

Arya Tirtha May 17, 2025

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

554801
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

wpDiscuz

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

[wppb-register]