Skip to content
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Search
Generic filters
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Generic filters

জুনিয়র ডাক্তারদের সফল গণ কনভেনশন এবং আগামী দিনগুলির সম্ভাবনা

ABHAYA LIGHT 1
Dr. Jayanta Bhattacharya

Dr. Jayanta Bhattacharya

General physician
My Other Posts
  • October 29, 2024
  • 7:40 am
  • 7 Comments

জুনিয়র ডাক্তারদের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল – দাবী না মেটা পর্যন্ত আমাদের ফিরে আসার জন্য পাড়ে কোন নৌকো বাঁধা নেই – No Boat to Return। আপাতত আন্দোলনের চাপে পড়ে সরকারের তরফে কিছু দাবী মেটানো শুরু হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারেরাও কাজে ফিরে এসেছেন। ২৬.১০.২০২৪-এ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকে মহা গণসম্মেলন (জুনিয়র ও সিনিয়র ডাক্তাররা এবং সংবেদী নাগরিক সমাজের এক উল্লেখযোগ্য অংশ) বিপুলভাবে এই সম্মেলন বা সমাবেশ যাই বলুন না কেন সফল করে তুলেছেন। সবাইকে অডিটোরিয়ামে জায়গাও দেওয়া যায়নি। জায়ান্ট স্ক্রিন লাগাতে হয়েছে।

এর আগে বিভিন্ন সময়ে আমার লেখায় কিছু পর্যবেক্ষণের কথা লিখেছি। সেকথাগুলোর কয়েকটি জায়গা আরেকবার ঝালিয়ে নেওয়া যায়।

এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল এ জায়গাগুলো। রাজনৈতিক দল এবং ঝান্ডা ছাড়া মানুষের বিশুদ্ধ আবেগ এবং পবিত্র ক্রোধকে রাষ্ট্র সবসময় ভয় পায়। চায়, একে বারংবার সহিংস হবার পথে ঠেলে দিতে। সফল না হলে একে প্রশমিত করার জন্য গণতন্ত্রের তথাকথিত চারটি স্তম্ভই কাজ করে – বিভিন্ন স্তরে, বিভিন্ন মাত্রায়। সে কাজ করা শুরু হয়েছে, এবং করবেও। আমাদের রাস্তা ধর্ণায় বসে থাকা, পথে নেমে বন্ধু এবং সাথীকে চিনে নেওয়া। নাগরিক সমাজের বিপুল অংশগ্রহণ আমাদের নতুন ‘Human Bondage’ তৈরি করেছে। অজানা অচেনা প্রত্যন্ত গ্রামের প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষ এ আন্দোলনের সাথে জুড়ে যাচ্ছে। আড়ে-বহরে “অভয়া”-র জন্য বিচার চাওয়ার অবয়ব ক্রমাগত বড়ো হচ্ছে।, দীর্ঘ হচ্ছে। আরও গভীরতায় প্রবেশ করছে।

আমাদের কাছে অজানা শিশু-কিশোর-কিশোরী-যুবক-যুবতী-মাস্টার মশাই-দিদিমণি-দাদা-বৌদি-ভাইদের আমরা জড়িয়ে ধরছি – যেন আরও বেঁধে বেঁধে থাকতে পারি আমরা।

বিশ্বখ্যাত সঙ্গীত Imagine-এর গায়ক এবং লেখক জন লেনন ১৯৬০-এর দশকের উত্তাল সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছিলেন – “When it gets down to having to use violence, then you are playing the system’s game. The establishment will irritate you – pull your beard, flick your face – to make you fight. Because once they’ve got you violent, then they know how to handle you. The only thing they don’t know how to handle is non-violence and humor.”

হ্যাঁ, রাষ্ট্র হিংস্রতাবর্জিত মাটি কামড়ে পড়ে থাকা আন্দোলনের যথেষ্ট মোকাবিলা করার পদ্ধতি এখনও ভালোভাবে শেখেনি – পুলিস, গুণ্ডা, বুলেট এবং লাঠির ব্যবহার ছাড়া। এরা কৌতুকও গ্রহণ করতে পারেনা। এখানে আমরা চার্লি চ্যাপলিনকে স্মরণ করে কৌতুকে পর্যুদস্ত করার কাজ শুরু করতে পারি।

যে যে ঘটনাপ্রবাহ ঘটেছে

ওরা কাজের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা চেয়েছে, কিন্তু বধির প্রশাসনকে বলতে হয়েছে দাবীর চেহারায়।

ওরা যাতে আর কোন আপনার আমার ঘরের সন্তান “অভয়া” না হয় এজন্য স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত, সক্রিয় স্বাস্থ্যকাঠামো চেয়েছে। বধির, নির্লিপ্ত, অনুভূতিশূণ্য প্রশাসনকে জানাতে হয়েছে দাবীর আকারে।

ওরা কলেজে কলেজে গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধিত্ব চেয়েছে। নিস্পৃহ সরকারকে জানাতে হয়েছে দাবী হিসেবে। ওরা রোগীদের হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরে মরার হেনস্থা কমানোর জন্য এই ডিজিটাল যুগে “সেন্ট্রাল রেফারাল” পদ্ধতিকে চালু করতে বলেছে। কিন্তু আবার বলছি, বলতে হয়েছে দাবীর চেহারায়।

ওরা মেডিক্যাল সাম্রাজ্যের অস্তিত্ব ও উপস্থিতি বেআব্রু করেছে। আমাদের চোখের সামনে উন্মোচিত করেছে ব্যবহৃত রক্তমাখা গ্লাভস, সিরিঞ্জ, সূঁচ, মাস্ক সহ সমস্ত মেডিক্যাল বর্জ্যপদার্থ কিভাবে আবার হাসপাতালেই ফেরত আসে। ওরা উন্মোচিত করেছে লক্ষ লক্ষ টাকার কারবারি “হুমকি সংস্কৃতি”র উলঙ্গ চেহারা। ওদের আন্দোলনের অভিঘাতে প্রকাশ্যে এসেছে কিভাবে মর্গ থেকে মৃতদেহের চোরাকারবারি হয়, এমনকি শোনা যায়, পর্নোগ্রাফিও।

বলতে হয়েছে? ১০ দফা দাবীর আকারে। কেন? যদি নাগরিকদের প্রতিটি পদক্ষেপ প্রশাসন তথা “বিগ ব্রাদার্স”দের নজরদারির আওতায় থাকে, তাহলে অনেক বছর ধরে কুৎসিততম দুর্নীতি নজরদারি এড়িয়ে যায় কী করে? নাকি সবকিছুই পারস্পরিক সহযোগিতা আর বোঝাপড়ার ভিত্তিতে চলে?

আজ প্রায় আপামর নাগরিক সমাজ দেখতে চাইছে – “রাজা তোর কাপড় কোথায়?” তারা সমস্বরে, এক অভাবিতপূর্ব সমমর্মিতায় বলছে, জুনিয়র ডাক্তাররা আমাদের সন্তান – আমরা তোমাদের সাথী। পাশে আছি, সাথে আছি, হাত বাড়িয়ে আছি, পা মিলিয়ে আছি, শ্লোগানে আছি, গানে আছি, কবিতায় আছি, ইতিহাস সৃষ্টিকারী তোমাদের প্রতিবাদের উৎসবে আছি – উৎ-শবে নয়।

শত রাজনৈতিক প্রত্যাশা, চাপ, এবং চুপিসারে আন্দোলনের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর অনুপ্রবেশের সমস্ত চেষ্টা এবং আন্দোলনের মুল কাঠামোর মাঝে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন জুনিয়র ডাক্তারেরা একটি দুর্লঙ্ঘ্য পারচীর তুলে দিয়েছে। ফলে বৃহত্তম সর্বভারতীয় দলের ক্ষোভ, রাগ, ক্রোধ পুঞ্জীভূত হয়েছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের তরফে শুরু হয়েছে বল্গাহীন আক্রমণ – ব্যক্তিগত স্তরে, সাংগঠনিকভাবে এবং “social diatribe” হিসেবে। এবং যারা এ ধরনের আক্রমণ করছে তাদেরই সাংসদ সংসদে কাঁচের বোতল ভেঙ্গে আক্রমণ করতেও পিছপা হননি।

এবার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ওদের শেষ মিটিং (যার লাইভ স্ট্রিমিং-ও হয়েছিল) একটু স্মরণ করা যাক। তোমাদের প্রতিনিধি মাননীয়ার কথা থামিয়ে দিয়ে শিষ্ট ভাষায় অনুত্তেজিত স্বরে সরাসরি জিজ্ঞেস করেছে – “ম্যাডাম, আমরা কি ধর্ষকের পক্ষ নেব?”। সরকারের এ উত্তর জানা নেই। বরঞ্চ উল্টোটা জানে, ক্ষমতার পাপচক্র রক্ষা করার জন্য সমস্ত দাগী অপরাধী, গুণ্ডা এবং ধর্ষকদের আড়াল। করতে হয়। তোমরা সেটা বেআব্রু করে দিয়েছ।

মিটিং চলাকালীন আমরা দেখেছি, ঘটনার সত্যতা জানানোর কিভাবে কলেজের অধ্যক্ষকে এক ধমকে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়। একটি সংবাদপত্রের খবরের শিরোনামও হয়েছে “‘না জানিয়ে ৪৭ জনকে সাসপেন্ড, এটা থ্রেট কালচার নয়?’ আর জি করের অধ্যক্ষের কাছে জবাব চাইলেন মমতা”। ছাত্রদের সামনে অধ্যক্ষের এরকম অপমান কোথায় বাজতে পারে, ভেবে দেখুন? প্রকৃতপক্ষে “হুমকি সংস্কৃতি”র গর্ভগৃহে বসেই আমরা ঠাণ্ডা গলায় হুমকি শুনলাম। একে অনেকেই বলছেন, ফ্যাসিস্ট আচরণ।

অভিযুক্ত কাকে বলে? এ বিষয়ে আমাদের এতদিন অব্দি যা ধারণা ছিল (যে সঠিক আভিধানিক এবং আইনি ধারণার বশবর্তী হয়ে জুনিয়র ডাক্তার বোনটিও “ভুল” ব্যাখ্যা করেছিল) সে ধারণা যে ঠিক নয়, এ কথা আমরা বুঝতে পারলাম। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, যার আইনি ডিগ্রিও রয়েছে বলে জানি, আমাদের জানালেন যে, আইনি ব্যাখ্যা অনুযায়ী অভিযোগ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত কেউ অভিযুক্ত নয়। অল্পবয়সী বোনটি যখন দৃঢ় স্বরে প্রত্যুত্তরে জানালো যে অভিযোগ প্রমাণ হলে সে দোষী, তার আগে অব্দি অভিযুক্ত, এরপরে আর আইনি ব্যাখ্যার লড়াই স্থায়ী হলনা। কেন? “ভগায় জানে”।
আন্দোলন শুরু হবার সময়ে প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সম্ভবত না জুনিয়র ও সিনিয়র ডাক্তাররা, না নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধ-বৃদ্ধা নির্বিশেষে আপামর মানুষ অনুমান করতে পারেননি এ আন্দোলনের ব্যাপ্তি কতদূর অব্দি পৌঁছতে পারে। ওদের জন্ম দেওয়া সামাজিক সন্ত্রাসের মুখোমুখি মোকাবিলা করার সাহস সামজিকভাবে সংক্রামিত হয়েছে। ভয়ের আচ্ছাদন গত আড়াই মাস ধরে সামাজিক মননে অপসৃত হয়েছে। কলকাতা শহরে, শহরতলিতে এবং জেলাগুলোতেও সামাজিক সাহসের আলো জ্বলে উঠেছে।

কিন্তু সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হল – (১) আমাদের সন্তানসম জুনিয়র ডাক্তারেরা একটি অতি শীলিত, দৃঢ় এবং প্রত্যয়ী সামজিক যুক্তিবোধের জন্ম দিয়েছে, যুক্তি এবং শিষ্ট বিতর্কের সীমানা কোন সময়েই অতিক্রম করেনি, (২) এর পরিণতিতে অগণন মানুষের অংশগ্রহণের মাঝেও নিঃসারে এই শিষ্ট যুক্তির প্রয়োগ ও পরিণতিতে অনুশীলনের সূচনা করেছে। আজকের অশিষ্ট, কদর্য, ক্লেদাক্ত সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রতিবেশে এ এক জীবন্ত সামাজিক যুক্তির প্রতিরোধ।

এটুকু প্রাপ্তি আমাদের ইতিহাসের মহাফেজখানায় চিরকালীন স্থান করে নেবে – এ আমাদের বিশ্বাস। তবে একটি প্ররোচনার ব্যাপারে সয়াবিকে সতর্ক থাকতে হবে। রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনের অপ্রাপ্তি পূরণের ক্ষেত্র হিসেবে যেন আমরা এদের আন্দোলনকে বেছে না নিই। তেমনি এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কোন রাজনৈতিক দল তৈরি করার স্বপ্নবিলাসকে আমরা যেন আমল না দিই। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন অব্দি ওদের ওপরে আরও জানা-অজানা নানা পথে বিভিন্ন আক্রমণ নেমে আসবে। নাগরিক সমাজের দায়িত্ব ওদেরকে আগলে রাখার।

সম্ভাব্য আগামী সম্ভাবনাগুলো

জুনিয়র ডাক্তারেরা বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন তুলেছেন, শহরের এই বড়ো হাসপাতালগুলোর ওপরে এত চাপ কেন? কোথায় গেল আমাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং জনস্বাস্থ্যের প্রাণবন্ত উপস্থিতি? ভোর কমিটি (জোসেফ ভোরকে নেতৃত্বে রেখে ১৯৪৩ সালে তৈরি এবং ১৯৪৬ সালে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে চিকিৎসাব্যবস্থার কেন্দ্রে স্থাপন করার জন্য সুপারিশ করেছিল) সহ বিভিন্ন সময়ে একের পরে এক সরকারি কমিটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে জনস্বাস্থ্যের কেন্দ্রে স্থাপন করতে বলেছে। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার তরফে বলা হয়েছে – “All people, everywhere, have the right to achieve the highest attainable level of health. This is the fundamental premise of primary health care (PHC). Primary health care is a whole-of-society approach to effectively organize and strengthen national health systems to bring services for health and wellbeing closer to communities.”

জনস্বাস্থ্যের দর্শন একটি ভিন্ন অবস্থান। এটা কোন মেডিক্যাল শিক্ষার প্রচলিত বুদবুদের বাজার নয় (অর্থনীতির ভাষায়) বা এর মাঝে রাজনৈতিক দল বা রাষ্ট্রের মতো কোন লুকনো শিক্ষাক্রম নেই। এখানে সবকিছুই অবারিত খোলা এবং মানুষ ও সমাজের প্রতি সৎ দায়বদ্ধতাই একমাত্র ভিত্তি। নিজের নিজের সমাজ, সংস্কৃতি, ধর্মীয় বিশ্বাস, দৈনন্দিন জীবন-চর্যা এবং সর্বোপরি পড়শি-চেতনা ধরে আছে ভারতের মতো আরো বহু দেশের অসমসত্ত্ব বিপুল জনসমস্টিকে।

এই বিশেষ অবস্থান বুঝতে না পারলে মেডিক্যাল কলেজের প্রশিক্ষণ শেষ করা মাত্র জনস্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী চিকিৎসক হয়ে ওঠা যায় না। মুক্ত বাজারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক দর্শন, বিশেষ করে এর উপজাত social psyche, এ দুয়ের প্রভেদ মুছে দিতে বদ্ধ পরিকর। স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য পরিষেবা সমার্থক নয়। তেমনি সমার্থক নয় চিকিৎসা এবং নিরাময় – এ দুটি শব্দবন্ধ। চিকিৎসকেরা রোগির নিরাময় চান, কেবলমাত্র চিকিৎসা নয়।

দানবীয় বহুজাতিক কোম্পানী এবং হিংস্রতম, আগ্রাসী কর্পোরেট পুঁজির কাছে মানুষ শব্দটির ততক্ষণই মূল্য আছে যতক্ষণ সে মুনাফা দিতে পারে। এজন্য ব্যক্তির ব্যক্তিসত্তা, দেহ ও মন থেকে অসুস্থতাকে বিযুক্ত করে দেখে কেবলমাত্র অসুখের জন্য সমস্ত ওষুধ ও প্রযুক্তি তৈরি হয়ে চলছে সর্বোচ্চ মুনাফার জন্য, মেডিক্যাল শিক্ষাক্রমও বিপুল্ভাবে প্রভাবিত হয়।

এসমস্ত কিছুকে মূল থেকে উৎসাদন করার জন্য এদের যাত্রা শুরু হয়েছে। আমরা ওদের এ যাত্রার বিশ্বস্ত সহযোগী হয়ে থাকব নিশ্চয়ই।

PrevPreviousব্যাজটা সামলে রেখো
Nextদ্রোহকালের দিনলিপি: গল্পের চতুর্বিংশ অধ্যায়Next
3.5 2 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
guest
7 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Indranil Sen
Indranil Sen
8 months ago

যাহারা বলিতেছেন, গান গাহিয়া, কবিতা আবৃত্তি করিয়া কি বিপ্লব হয়? দুর্ভাগ্যবশত তাহারা জন্মসূত্রে বিকৃত বদ্ধি, সম্ভবত ইহাদিগের পিতৃপুরুষ গণও একই ভাবে বলিয়া ছিল, আনন্দমঠ পড়িয়া আর চরকা চালাইয়া কি দেশ স্বাধীন হয়? আসলে এই প্রাণীগুলি জানেই না বিপ্লব সর্বাগ্রে আসে চেতনায়, ক্রমশ তাহা পরিব্যপ্ত হয় মানব অস্তিত্বের প্রতিটি স্তরে ও একসময়ে সর্বব্যাপী দাবানলের আকার ধারণ করে। বাস্তিল দুর্গের পতন শুরু হইয়া গিয়াছে এই প্রজন্মের চেতনয়, এইবার শুধুমাত্র গর্ভবাসের কাল গণণা!

0
Reply
Rajib Banerjee
Rajib Banerjee
8 months ago

ভালো লাগল, তবে প্রশ্ন অনেক আছে।
গ্রামীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন কি স্থায়ী চিকিৎসক, নার্স, সকল স্তরের স্বাস্থ্য কর্মী ও রোগ নিরূপণের ন্যূনতম যন্ত্রপাতি ছাড়া সম্ভব? এবং আজকের মুনাফাখোর কর্পোরেট রাষ্ট্রকে কি আদৌ সেই কাজ করতে দেবে?
তবে একথা ঠিক রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে একাজ হয়ত শুরু করা যাবে, কিন্তু সমাপ্ত করা যাবে কি? কারণ ক্ষমতার মোহ এমনই যে ক্ষমতায় টিকে থাকার লোভে ঐ কাজ সমাপ্ত করা হবে না। তাই আমার মনে হয় জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হলে আজ বাংলা ও ভারতে লোভহীন, মোহহীন একটি রাজনৈতিক শক্তির উৎপত্তি সময়ের দাবি। একে মেনে ও মনে গেঁথে নিয়ে কিছু ভাবা দরকার।

0
Reply
অরিন্দম
অরিন্দম
Reply to  Rajib Banerjee
8 months ago

“রাজনৈতিক দল এবং ঝান্ডা ছাড়া মানুষের বিশুদ্ধ আবেগ এবং পবিত্র ক্রোধকে রাষ্ট্র সবসময় ভয় পায়।” এইসব মধ্যবিত্ত আদিখ্যেতার ধান্দাবাজী কথাবার্তা বাজারে খাচ্ছে। এবিপি আনন্দ খুশি হবে। আবার লিখেছেন “লোভহীন, মোহহীন একটি রাজনৈতিক শক্তির উৎপত্তি সময়ের দাবি।” ,,, শুনুন জয়ন্ত বাবু রাজনীতি হিমালয়ের ধ্যান নয়। তার প্রাপ্তির আশা থাকে। দয়া করে ধান্দাবাজ হবেন না।

0
Reply
Goutam Guha
Goutam Guha
8 months ago

সহমত

0
Reply
Sourav Kumar Bera
Sourav Kumar Bera
8 months ago

আসাধারন লেখা

জুনিয়র ও সিনিয়র ডাক্তারদের কুর্নিস
🙏🙏🙏

0
Reply
Goutam Dutta
Goutam Dutta
8 months ago

Onoboddo

0
Reply
Jagabandhu Roy
Jagabandhu Roy
8 months ago

খুব ভালো লাগলো লেখাটা ।স্বাগত জুনিয়ার ডাক্তারদের আন্দোলনকে।

0
Reply

সম্পর্কিত পোস্ট

অভয়া মঞ্চের জুন মাসের দিনলিপি

July 9, 2025 No Comments

Memoirs of An Accidental Doctor: তৃতীয় পর্ব

July 9, 2025 No Comments

ন্যাশনাল মেডিক্যালের পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডে জ্বর, খিঁচুনির রোগী ভর্তি হতো খুব। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা হতো তড়কা, যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় febrile convulsions. জ্বর কমার

Memoirs of a Travel Fellow Chapter 4: A Landscape of Burning Coal – Jharkhand stories

July 9, 2025 No Comments

Jharkhand was a brief—but unforgettable—stop on my fellowship journey. Jan Chetna Manch, Bokaro (JCMB)  is a small nonprofit focused on women’s health and empowerment, and it wasn’t even

Memoirs of a Travel Fellow Chapter 3: Hills, Resistance and Hope: Odisha

July 8, 2025 No Comments

For me Odisha is a land of contradictions, and the story starts from a rainy day when I came to Bhawanipatna, Kalahandi, Odisha from Chattisgarh.My

গণতান্ত্রিক পথেই আমরা এতদিন স্বর তুলেছি, আগামী দিনেও তুলব, যতদিন না ন্যায়বিচার পাই

July 8, 2025 No Comments

৭ জুলাই, ২০২৫ ২০২৪ এর ৯ আগষ্ট, কলঙ্কজনক ইতিহাস রচিত হয় এই কলকাতায়,এই বাংলায়। মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক-পি জি

সাম্প্রতিক পোস্ট

অভয়া মঞ্চের জুন মাসের দিনলিপি

Abhaya Mancha July 9, 2025

Memoirs of An Accidental Doctor: তৃতীয় পর্ব

Dr. Sukanya Bandopadhyay July 9, 2025

Memoirs of a Travel Fellow Chapter 4: A Landscape of Burning Coal – Jharkhand stories

Dr. Avani Unni July 9, 2025

Memoirs of a Travel Fellow Chapter 3: Hills, Resistance and Hope: Odisha

Dr. Avani Unni July 8, 2025

গণতান্ত্রিক পথেই আমরা এতদিন স্বর তুলেছি, আগামী দিনেও তুলব, যতদিন না ন্যায়বিচার পাই

Abhaya Mancha July 8, 2025

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

566137
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

wpDiscuz

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

[wppb-register]