Skip to content
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Search
Generic filters
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Generic filters

#আত্মহত্যার পরে

IMG_20200616_213607
Dr. Dipankar Ghosh

Dr. Dipankar Ghosh

General Physician
My Other Posts
  • June 17, 2020
  • 8:03 am
  • 4 Comments

সত‍্যকাম ভরা সন্ধ্যায় আম গাছটার তলায় বাদুড়ে ঠোকরানো আমগুলোর সঙ্গেই অচেতন পড়ে ছিলো। পচা আম- বৃষ্টিতে পাতা পচা আর দেশী মদের গন্ধে চারপাশ ম ম করছে। না এই সত‍্যকাম জবালপুত্র নয়- অতিরিক্ত মদ‍্যপানে চাকরি থেকে বিতাড়িত এক স্কুল মাস্টার।

সামনের পথ দিয়ে বহু লোক গেছে। মাস্কের ওপরে নাকে রুমাল চাপা দিয়ে। হেরে যাওয়া মাতালের গন্ধ সহ‍্য করা খুব মুশকিল। ব‍্যাঙ্কের চাকরি শেষ করে কৃষ্ণা একটু গভীর সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছিলো। ঐ রাস্তা দিয়েই। আগে সত‍্যকামের সঙ্গে প্রতিদিন বাসে দেখা হতো। সত‍্যকাম একটা সাদামাটা আটপৌরে সংসারী মানুষ। বাস স্টপেজে হয়তো দুটো কথাও হতো। ও জানে সত‍্যকামের বৌ গরিমা। কৃষ্ণা একলাবাসী– অবিবাহিতা। পড়ে থাকা অচেতন একটা মানুষ দেখে কৃষ্ণা এগিয়ে গেলো। পচা পাতা পায়ে দলে– আধখাওয়া আমে হোঁচট খেয়ে। আরে এ তো চেনা লোক! অসাড়ে পড়ে আছে। কৃষ্ণা দ্বিধা করলো। ভাবলো। তারপর রাস্তায় ফিরে এসে একটা রিক্সা ডাকলো।

লক ডাউনে রাস্তা অন্ধকার। চমৎকার ঝকঝকে আকাশে বৃহস্পতি জ্বলজ্বল করছে। বাড়িতে বাড়িতে টিভি– প্রতিটি বাড়িতে একপাল সম্মোহিত বিচ্ছিন্ন মানুষ বহু বার দেখা সিনেমায় নিবদ্ধদৃষ্টি বসে আছে।

“দিদি, ইনি তো ইস্কুলের ম‍্যাস্টর ছিলেন। মাল খাউয়ার জন‍্যি চাকরি গ‍্যাছে …” রিক্সাওয়ালা বকতে বকতে চলে।

কৃষ্ণা ঘামতেল-মাখা কপালে আঁচল বোলায়। লক ডাউনের মৃদু হাওয়ায় ওর ঝুরো চুল উড়ে যায়।

“আসলে কী হলো জানো দিদি?” মধ‍্যবয়সিনী কৃষ্ণা এপাড়ার বহুদিনের বাসিন্দা- কার‌ও দিদি – কার‌ও বা মাসি। “ম‍্যাস্টরের বৌ বহুকাল হল ছেড়ে চলে গেছে। শুনেছি ম‍্যাস্টরের নাকি ক্ষ‍্যামতা কম…” রিক্সাওয়ালা দম ন‍্যায়।

দুজনে মিলে সত‍্যকামের এলিয়ে পড়া দেহটা বিছানায় শুইয়ে দ‍্যায়। রিক্সাওয়ালার ভাড়া মিটিয়ে কৃষ্ণা একটুখানি বসে– এক গেলাস জল খায়– তারপর পাশের পাড়ার ওর এক বান্ধবীকে ফোন করে। সুজাতা। সে ডাক্তার। সুজাতা আধঘণ্টা পরে এসে পৌঁছয়।

“শোন কৃষ্ণা এটা শুধু মদের ওভারডোজ নয়– খুব সম্ভব ভদ্রলোক অন‍্য কোনও কিছুও খেয়েছেন– বাই দ‍্য ওয়ে ইনি সেই স্কুল টিচার না?”

মফস্বল শহরে সবাই মোটামুটি সবাইকে চেনে। সবাইকার কুৎসা সবাই খুব উপভোগ করে। আসলে হেরে যাওয়া আর স্বপ্ন-অসম্পূর্ণ একদল মানুষ অন‍্যের পতনে একটা অনৈসর্গিক আনন্দ পায়। এই লক ডাউনের বাজারে একটু রাত হলেই কোনও যানবাহন পাওয়া মুুু আরেকটা ভ‍্যান গাড়ি ডেকে সত‍্যকামকে বন্ধ হয়ে থাকা দোকান বাজার পার করে নিয়ে যাওয়া হলো কাছের একটা নার্সিং হোমে। পুলিশ কেস। বন্ড স‌ই। একটুও দ্বিধা না করে সুতোয় বাঁধা কলম দিয়ে কৃষ্ণা স‌ই করে দিলো।

তারপর স্টম‍্যাক ওয়াশ আরও কতো কি সব চললো।

রবিবার ডাক্তারবাবু বাড়ির লোককে দেখা করতে বলেছেন। কৃষ্ণা সত‍্যকামের বাড়ির ঠিকানায় এর মধ্যে দুবার গেছে। কিন্তু একটা জং পড়া তালা আর শ‍্যাওলা ধরা দেওয়াল ছাড়া কিছুই দেখতে পায়নি। সত‍্যকাম ওর বৌয়ের যে ফোন নম্বরটা দিয়েছে তাতে কেউ সাড়া দিচ্ছে না। বাকি নম্বরগুলোয় সবাই ব‍্যস্ত– সময় নেই।

একজন বললো “টাকার প্রয়োজন হলে হসপিটাল বিল কতো হয়েছে জানালে কিছু টাকা পাঠিয়ে দেবো” শুধুমাত্র টাকা নিয়ে কি মানুষ বাঁচে?

এই সব ভাবতে ভাবতে কৃষ্ণা তিনতলার কোণার রুমে সত‍্যকামের বিছানার পাশে একটা টুল নিয়ে বসলো। পাশের জানালা দিয়ে দূরের সবুজ দেখা যাচ্ছে। নারকেল কলাগাছের ভিড়। মধ‍্য আষাঢ়ে আকাশে এক কোণায় ঘন কালো মেঘ ঘনিয়ে আসছে। সত‍্যকাম অন‍্যমনে জানালায় চোখ মেলে বসে আছে। আজ অনেক ফিটফাট। দাড়ি কামানো। গায়ে পাউডারের গন্ধ। মা যখন হাসপাতালে ছিলো তখনও কৃষ্ণা এই গন্ধটা পেতো।

নার্সদিদি একটা হুইল চেয়ার নিয়ে এসে সত‍্যকামকে বসালো। শূণ্য প্রাণ সত‍্যকাম একটা কথাও না বলে সেটায় বসলো।

নার্সদিদি বললেন “আসুন দিদি, ডাক্তার বাবুর চেম্বারে যাই”

এক তীক্ষ্ণনাসা ডাক্তার। কাঁচা পাকা চুল তাঁর। একটা বড়ো বিদ‍্যাসাগরী টাক‌ও আছে। সরু লম্বা লম্বা আঙ্গুলগুলো টেবিলে দাগ কাটছে।

“বসুন”

জড়ভরতের মতো সত‍্যকাম ওনার সামনের চেয়ারে বসলো। কৃষ্ণা পাশেরটায়।

“বাড়ির কাউকে পাওয়া গেলো?”

কৃষ্ণার ম্লান হাসি দেখে বৃদ্ধ ডাক্তার উত্তরটা বুঝে নিলেন। “এই যে স‍্যোশাল মিডিয়ায় সবাই বলছে পাশে থাকুন– হাত বাড়িয়ে দিন– এর পাশে এখন দরকার একজন একান্ত আপনার জন। যে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বলতে পারবে- আমি আছি, তুমি নিশ্চয়ই ভালো হবে– হবেই”

কৃষ্ণা আনমনে আঙ্গুলে শাড়ির আঁচলটা পাকায়। তারপর সোজা চোখে জানতে চায় “এরকম কেন হয় ডাক্তারবাবু? কেন কেউ কেউ জীবনের এইসব ওঠা পড়া মেনে নিতে পারে না … হেরে যায় … পালিয়ে যেতে চায়?”

বুড়ো ডাক্তার উত্তর না দিয়ে সত‍্যকামকে প্রশ্ন করেন “আচ্ছা সত‍্যকামবাবু আপনি মরে যেতে চাইছেন কেন?”

সত‍্যকাম টেবিল-নিবদ্ধ চোখে বলে ওঠে “ডাক্তারবাবু আপনি জানেন তো? ইয়োর ডে’জ আর নাম্বারড– আমারও। প্রতিটা দিন গোণা আছে- যেদিন নম্বরটা লেগে যাবে আপনাকে যেতে হবেই ….” ও একটুক্ষণ ভাবে। একটু যেন দ্বিধা করে
“তাহলে জীবনযাপনের এই অসহ্য কষ্টটা বেশীদিন কেন ভোগ করবো? আমার যাওয়ার দিনটা আমিই ঠিক করে নিলে ক্ষতি কিসের? ….ইচ্ছামৃত‍্যু– ভীষ্মের মতো …” সত‍্যকামের মুখে একটা ক্লান্ত হাসি ফুটে ওঠে।

কৃষ্ণা শিউরে ওঠে। প্রতিটি কথা কী ভয়ানক বাস্তব। কী অসম্ভব যন্ত্রণাসঞ্জাত এই বাক্যবন্ধ। এ মানুষকে কে বাঁচাবে?

“আপনি কতোদিন ধরে এই সব ঘুমের ওষুধ খাচ্ছেন?”

“বহুদিন …. অনেক দিন ধরে …. যখন মাথার মধ্যে অসম্ভব কষ্ট হয় … রাতে বিছানায় থাকতে পারি না … পাগলের মতোন… মনে হয় রাস্তায় গিয়ে গাড়ির সামনে…. বিশ্বাস করুন আমি ঐ ঘুমের বড়ি না খেলে ঠান্ডা মাথায় ক্লাস‌ও নিতে পারতাম না …. তবু ঘুম হতো না … একটা থেকে দুটো…. তারপর আর‌ও বেশী … অনেক অনেক ওষুধ খেতাম … তবুও ঐ কষ্টটা আমাকে … ঐ অস্থিরতা … রাত হলেই মনে হতো চিৎকার করে কাঁদি.. দেওয়ালে মাথা ঠুকি…. সঙ্গে ছিলো মদ … মদ কেনার অতো পয়সা কোথায় পাবো…. কী হবে এভাবে বেঁচে থেকে? প্রতিদিনের এই একঘেয়ে বমি করার মতো করে কাজ উগড়ে দেওয়া…? তারপর এক রাত অস্থিরতা ….কষ্ট…”

সত‍্যকাম টেবিলে মাথা রাখে “আমি একজন স্পোর্টসম‍্যান– হার স্বীকার করে নিচ্ছি, ডাক্তারবাবু – ব্রাজিল যেমন জার্মানির কাছে সাত গোলে হেরে গেছিলো … তেমনি আমি একটা হেরো মানুষ – জীবনের খেলায় গোহারা হেরে গেছি … আমি তাহলে এবার আসি ডাক্তার বাবু?”

সত‍্যকাম কুঁজো শরীর আর কালি পড়া চোখ নিয়ে উঠে দাঁড়ায়। কাঁপা কাঁপা হাতদুটো জোড় করে নমস্কার করে।

ডাক্তার মুখ থেকে মাস্ক নামিয়ে হাসেন “যেতে তো হবেই সত‍্যকাম – ছুটি হয়ে গেছে – ঐ যে কার একটা গান আছে না? পেয়েছি ছুটি বিদায় দেহ ভাই? যাবার বেলায় এক কাপ চা তো খেয়ে যান.. আর আপনার এই আত্মীয়টি একটা প্রশ্ন করেছিলো কেন এরকম হয়? ওটার উত্তর দেওয়া বাকি আছে তো … চা পান করতে করতে আমরা একটু কথা বলি?”

ডাক্তারের বিষণ্ণ চোখদুটিতে কৌতুক খেলা করে । এই করোনাকালে একমাত্র এই ডাক্তারবাবুই আসছেন– রোগী দেখছেন। সেক্ষেত্রে এনার কথা ফেলাও যায় না।

“উষা, তিনটে চা দিবি মা?” ডাক্তার সহকারীকে হাঁক পাড়েন। “আমাদের এখানে কিন্তু সব‌ই গুঁড়ো চা – দুধ চিনি সহ …”

কৃষ্ণা বলে ওঠে “এমা তাতে কী? আমাদের সব চলে”

‘আমাদের’ কথাটা বলে কৃষ্ণা নিজেই কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে।

চায়ে চুমুক দিয়ে বৃদ্ধ বলতে আরম্ভ করেন “আমাদের মানুষদের মধ্যে অনেক রকম মানসিকতা দেখা যায়– রগচটা বদরাগী নরম সরম স্নেহপ্রবণ প্রভৃতি। এগুলোর অনেকগুলোই হর্মোন রিলেটেড। অক্সিটোসিন বেশী বেরোলে স্নেহপ্রবণ আবার ভেসোপ্রেসিন বেশী বেরোলে বদরাগী, আবার অনেক ক্ষেত্রে মাথার ঘিলুর কোনও কোনও জায়গা এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। ওসব কথা থাক– একি সত‍্যকাম চা তো জুড়িয়ে গেলো– নাও নাও শুরু করো .. এখানে তো আমরা আর দারুর বোতল দিতে পারবো না ….” সত‍্যকাম হেসে চায়ে চুমুক দেয়।

“আমাদের ভালো লাগা আনন্দে থাকা এগুলো সেরেটোনিন নামে আমাদের নার্ভের একটা রাসায়নিক যার ডাক্তারি নাম নিউরো ট্রান্সমিটার তার ওপরে নির্ভর করে। এটা যদি একেবারে টৈটুম্বুর হয়ে থাকে তাহলে ঘুম থেকে উঠে সূর্য উঠলেই মনে হবে আঃ কী চমৎকার সকাল… সমস্ত দুঃখ সহ‍্য করাটা সহজ হয়ে যাবে”

সত‍্যকাম কৃষ্ণা দুজনেই ঘাড় নাড়ে।

“যত আমরা চাপের মধ্যে থাকবো ততোই আমাদের ভালো রাখার জন্য নার্ভগুলো সেরেটোনিন খরচ করবে। হ‍্যাঁ আবার তৈরিও হবে” বৃদ্ধের চোখ সত‍্যকাম আর কৃষ্ণার মুখে ঘুরতে থাকে।

“যতটা খরচ হয় আবার সেটা তৈরি হয়ে যায় … আমি কিন্তু খুব সহজ করে বলছি … এখন বয়স যত বাড়বে ততই নানা চাপে চিন্তায় সেরেটোনিন বেশী বেশী খরচ হবে। আবার যারা ভয়ানক চাপের মধ্যে দিয়ে জীবন কাটায় তাদের সেরেটোনিন যেমন তাড়াতাড়ি খরচ হয় তেমনই উৎপাদন‌ও কমে আসে …..”

বৃদ্ধ একটা সিগারেট বার করে বলেন “উইথ ইয়োর কাইন্ড পারমিশন …” তারপর অনুমতির তোয়াক্কা না করেই খচখচ করে দেশলাই জ্বেলে হুশ হুশ করে ধোঁয়া ছাড়েন।

কৃষ্ণা বলে “ঈস কী বাজে নেশা ….এটা ছেড়ে দেবেন আপনি…. কিন্তু সেরেটোনিন কমে গেলে কী হয়?”

বুড়ো ডাক্তার চায়ের গেলাসে ছাই ঝাড়েন। “হুম গ‍্যুড ক‍্যোয়েশ্চন … প্রথমতঃ ঘুম কমে আসবে …. ভোররাতে ঘুম ভেঙে যাবে এটাকে বলে লেট ইনসমনিয়া। বুক ধড়ফড় করবে – ঘাম হবে …সেক্সুয়াল ইচ্ছে টিচ্ছে একদম চলে যাবে ….পরের দিকে অসম্ভব দুশ্চিন্তা আসবে শুয়েও ঘুম আসবে না – অস্থিরতা আসবে – শুলেই সারা দিনের বা সারা জীবনের কথা বার্তা কাজকর্ম – স‌অঅব মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকবে অর্থাৎ আর্লি ইনসমনিয়াও হবে এবং ফলে যেটা ভীষণ স্বাভাবিক সেই বেঁচে থাকার ইচ্ছেটা আস্তে আস্তে চলে যাবে ..”

সত‍্যকাম ঘাড় নাড়ে। সে সহমত।

কৃষ্ণা অস্ফুটে বলে “বাঁচার ইচ্ছে চলে যাবে ? বুঝলাম না …”

ডাক্তার আরেকটা সুখটান দিয়ে বলেন “প্রথম প্রথম নিজের মৃত‍্যু দৃশ‍্য কল্পনা করে নিজেই চোখের জল ফেলবে – তারপর মৃত‍্যুর পদ্ধতি কল্পনা করবে – এবং সেটাকে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করবে এবং শেষকালে …” ডাক্তার সিগারেটে আরেকটা টান দেন।

সত‍্যকাম এখন আর ওঠার চেষ্টা করছে না দেখে ডাক্তার বলেন “সত‍্যকাম বেঁচে থাকা বড়ো কষ্টের – তাই না? যেমন ক‍্যানসার ছড়িয়ে পড়লে যন্ত্রণায় রোগী মরতে চায় ঠিক তেমনই?”

সত‍্যকাম নিরুত্তর ।

“আর যদি এই যন্ত্রণা কমে যায়? তাহলে? তাহলে যে প্রাণ তোমার মা বাবা দান করেছেন-– ভালবাসায় যত্নে বড়ো করেছেন – তাঁদের সেই দান নষ্ট করার কোনও অধিকার কী তোমার থাকবে? যাও বাড়ি যাও তোমার সব কষ্ট আমি নিয়ে নিলাম। ঠিক সাতদিনের মধ‍্যে তোমার সকাল আবার ছোটবেলার মতো বর্ণময় হয়ে উঠবে – শুধু ওষুধটা ঠিক মতো খাবে … যাও ফিরে যাও”

ওরা একটু এগোতেই বুড়ো পিছু ডাকেন “এই যে মামণি একবার একটা কথা শুনে যাও”

কৃষ্ণা ফিরে আসে।

“আর দ‍্যাখো মা ও যেন আর একা না থাকে ..”

টাকা পয়সা মিটিয়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা গভীর। কৃষ্ণার বাড়িতে একটা ঘুপচি কামরা আছে। যত রাজ‍্যের সব অকেজো জিনিসে বোঝাই। ফিরেই সত‍্যকাম সেই ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে বসে ছিলো। দুজনে এভাবে থাকা সমাজ তো মানবে না। ওকে ফিরে যেতে হবে .. নিজের একলা ঘরে।

একটু পরে কৃষ্ণা দরজা ঠকঠক করে ডাক দিলো “চা করেছি খেতে আসুন…”

সত‍্যকাম ধীরে ধীরে দরজা খুলে বারান্দায় চেয়ারে এসে বসে। ম‍্যাক্সি পরা কৃষ্ণার শরীর শিল‍্যুয়েটে থাকে। জোনাকিরা ঝাড়বাতি জ্বালে। ব‍্যাঙ আর ঝিঁঝিঁ পোকার কলতানের মধ্যেই সত‍্যকাম চায়ের কাপে ঠোঁট ঠেকায়। সত‍্যকাম বেঁচে ওঠো।

PrevPreviousবাউনিয়া থেকে বলছি
Next#করোনার দিনগুলি ৪৩Next
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
guest
4 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Pranabesh
Pranabesh
5 years ago

অনবদ্য

0
Reply
দীপঙ্কর ঘোষ
দীপঙ্কর ঘোষ
Reply to  Pranabesh
5 years ago

মঙ্গল হোক

0
Reply
দীপঙ্কর ঘোষ
দীপঙ্কর ঘোষ
5 years ago

ধন্যবাদ

0
Reply
দীপঙ্কর ঘোষ
দীপঙ্কর ঘোষ
5 years ago

ধন্যবাদ ।

0
Reply

সম্পর্কিত পোস্ট

You can commit injustice, by doing nothing

November 11, 2025 No Comments

ছোট স্কুল পড়ুয়া ক্যানিংয়ের মেয়েটি পঁচিশে বৈশাখে রবীন্দ্রনাথের ছবির সামনে ফুল দিয়ে রবীন্দ্রনৃত্য করত। লাল পাড় সাদা শাড়ি পরে। থিয়েটারের দলে হৈ হৈ করে রিহার্সাল

রবীন্দ্রনাথ কয়েদ হয়েছেন বহুদিন আগে

November 11, 2025 No Comments

কেষ্টা দাদাকে মনে আছে আমাদের। সেই গোরু-বালি-কয়লা-পাথরের তৃণ-নায়ক। পরপর ডিয়ার লটারির প্রাইজ জেতা অনুব্রত। বীরভূমের বাঘ…ববি বলেছিল। সে একদা জিজ্ঞেস করেছিল, শঙ্খ ঘোষ কে? শঙ্খ

আবারও আদালতে মুখ থুবড়ে পড়ল রাজ্য সরকার!

November 11, 2025 No Comments

আবারও আদালতে মুখ থুবড়ে পড়ল রাজ্য সরকার! ন্যায়ের পথে আমাদের এই জয় শুধু এক মামলার রায় নয়, বেআইনি বদলি, ক্ষমতার দম্ভ আর গণতন্ত্রবিরোধী রাজনীতির বিরুদ্ধে

Demand for Justice in the Rape and Murder of a Doctor at R.G. Kar Medical College

November 10, 2025 No Comments

Hon’ble Chief Justice, Today, we are compelled to submit this memorandum with deep anguish, sorrow, and concern. Time and again, it has been proven that

সেই সব মা বাবা’রা

November 10, 2025 No Comments

জেমিমার মা হওয়া সহজ না এদেশে। দুহাজার সাল গেছে ছেলে ভালোবেসে, পুত্রবতী ভব বলে আশিস পেয়েছে সব সতী, কন‍্যাবতী হও বলে বর কি শুনেছো? মেয়ে

সাম্প্রতিক পোস্ট

You can commit injustice, by doing nothing

Abhaya Mancha November 11, 2025

রবীন্দ্রনাথ কয়েদ হয়েছেন বহুদিন আগে

Dr. Arunachal Datta Choudhury November 11, 2025

আবারও আদালতে মুখ থুবড়ে পড়ল রাজ্য সরকার!

West Bengal Junior Doctors Front November 11, 2025

Demand for Justice in the Rape and Murder of a Doctor at R.G. Kar Medical College

Abhaya Mancha November 10, 2025

সেই সব মা বাবা’রা

Arya Tirtha November 10, 2025

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

589666
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

wpDiscuz

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

[wppb-register]