আসছে বছর হয়না যেন আর।
কত লোকে এই বছরে মুখ দেখেনি মা’র,
কতকটা তা রোগের ভয়ে,কখন যাবে কার যে হয়ে,
কিন্তু আরো বড় কারণ পকেট গড়ের মাঠ,
যেটুক আছে সাফ করে দেয় রোজের বাজারহাট।
ভাইরাসে ভাই ত্রাস এমনই, শান্তি পগারপার,
আসছে বছর না হয় এমন আর।
মাস্ক খোলা কি আসছে বছর হবে?
পণ্ডিতেরা বলতে পারেন আসবে টিকা কবে,
তার আগে তো বেকার আশা, হোক ব্যথা কান, জ্বলুক নাসা,
পরান যতই যাক না জ্বলে এত্ত নিয়ম মেনে,
পরান রাখার উপায় এখন শুধুই ব্রেক দ্য চেনে।
মাস্ক স্যানিদের প্রতাপ জারি রইবে সগৌরবে,
দুগগা জানেন এসব জুলুম কতবছর হবে।
আসছে বছর কিছু ব্যাপার থাক।
এই বছরে জলদি এত থামলো কাঁসর ঢাক,
একদম সেই ছোট্টোবেলার মতো, ভাসান যখন চারদিনে বাধ্যত,
লাগামবিহীন দশ বারোদিন মহোৎসবের নামে,
আসছে বছর থেকে যেন সেসব হুজুগ থামে।
রাজনীতি আর না ঢাকা দেয় দুগগাপুজোর শাক,
আসছে বছর থেকে পুজো চারটে দিনই থাক।
আসছে বছর কি হবে কে জানে!
কোভিড এসে বদলে গেছে এখন বাঁচার মানে,
বেহেড খরচ জামাকাপড় কেনায়, বাইক গাড়ি ই এম আইয়ের দেনায়,
ওসব করার বুকের পাটা থাকবে কি আর কারো,
রোজনামচায় অজানা ভয় দাগ কেটে যায় গাঢ়।
সন্দিহান আর রুগ্ন বর্তমানে,
স্বপ্ন খোয়া গেছে পেটের টানে।
আসছে বছর কি হবে, কেউ জানে?