Skip to content
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Search
Generic filters
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Generic filters

দ্রোহকাল- ১

FB_IMG_1726945577998
Dr. Aindril Bhowmik

Dr. Aindril Bhowmik

Medicine specialist
My Other Posts
  • September 22, 2024
  • 8:28 am
  • No Comments

আমি খুপরিজীবী চিকিৎসক। আমার ভাই ও বোনেরা যখন ন্যায় বিচারের দাবিতে রাস্তায়, আমি খুপরি থেকে খুপরিতে ঘুরে রোগী দেখছি। সুযোগ পেলেই দু একটা মিছিলে পা মেলাচ্ছি, স্লোগানে গলা মেলাচ্ছি।

উত্তাপ বুঝতে পারছি। তিলোত্তমা বোন যে আগুন জ্বেলে দিয়ে গেছে সেই উত্তাপ টের পাচ্ছি। নিশ্চিত জানি সেই আগুনে জ্বলে পুড়ে ধ্বংস হয়ে যাবে ক্ষমতাবান অত্যাচারীরা।

এই সময় তাই খুপরির দিনলিপি লিখে রাখি। যে বিদ্রোহের সময় আমরা বেঁচেছিলাম, গান গেয়েছিলাম- সেই দ্রোহের দিনলিপি লিখে রাখি।

খুপরিতে রোগী দেখছি। একটি ছোট্ট ফুটফুটে মেয়েকে নিয়ে বাবা ঢুকলেন। মেয়েটি সবে কলেজে ভর্তি হয়েছে।

জিজ্ঞেস করলাম, কী হয়েছে?

বাবা বললেন, আর বলবেন না ডাক্তারবাবু। জটিল সমস্যা। চার পাঁচদিন ধরে কিছু খেতে পারছে না। খেলেই বমি করে দিচ্ছে।

পেটে ব্যথা আছে? জ্বর আছে? পেচ্ছাপ সাদা হচ্ছে?

সব ঠিক আছে। সমস্যা শুধু খেতে গেলে। আর ঘুম হচ্ছে না। একেবারেই হচ্ছে না।

আমি মেয়েটিকে বললাম, হঠাত করে এমন শুরু হলো?

মেয়েটি বলল, হ্যাঁ, হঠাত করেই। জেল থেকে বাড়ি আসার পর এমন হচ্ছে।

অবাক হয়ে বললাম, জেল থেকে মানে?

চার তারিখ বারাসাতে রাত দখলের আন্দোলন ছিল। সেখানে রঙ তুলি নিয়ে ছবি আঁকতে গেছিলাম। হঠাত পুলিশ এসে আমাদের গ্রেফতার করে। নানা রকম ধারায় কেস দেয়। দু রাত জেলে কাটিয়ে জামিন পেয়েছি। তারপর থেকে খেতে বসলেই জেলের ভেতরের বিশ্রী গন্ধটা নাকে আসছে।

ওষুধ পত্র লিখে দিলাম। ভিজিট দিতে গেলে বললাম, মা, তুই একজন চিকিৎসকের বিচারের দাবীতে জেল খেটে এলি, তোর কাছ থেকে কিছু নিলে আমাদের বোনের কাছে অপরাধী হয়ে থাকব।

সেদিন বিকালে আমাদের মধ্যমগ্রাম স্কুলের প্রাক্তনীদের ডাকে মহামিছিল। আরতি হলের সামনে মিছিল শুরুর আগে শিল্পীরা আঁকছেন। দেখি সেই ছোট্ট মেয়েটাও আঁকতে বসে গেছে। লাল হলুদে মেশানো আগুন। তাঁর মধ্যে একটি মেয়ে গলার শির ফুলিয়ে চিৎকার করছে। দক্ষ হাতে কাগজে বিদ্রোহ ফুটে উঠছে। এ মেয়ের কোনো ওষুধ লাগবে না। ওর রোগ নিজে নিজেই সেরে যাবে।

কদিন পরে আরেকটি রাত দখলের দিনে তাড়াহুড়ো করে চেম্বার করছি। শেষ করেই জমায়েতে সরাসরি চলে যাব। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আজই বলেছেন, উৎসবে ফিরে আসুন। তাঁর কথা শিরোধার্য করেই তড়িঘড়ি মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিবাদের উৎসব। ঢাক, ঢোল, কাঁসর, ঘণ্টা সব কিছু হাজির। আজ সারা রাত প্রতিবাদের গান হবে, নাচ হবে। ঢাকের তালে স্লোগান উঠবে আমাদের বোনের খুনের সাথে যারা জড়িত তাদের বিচার চেয়ে।

একজন বয়স্ক মহিলা দেখাতে এসেছেন হাঁটু ব্যথা নিয়ে। বাঁ পা মাটিতে ফেললেই তাঁর মুখ যন্ত্রণায় কুঁচকে উঠছে। তিনি বললেন, বাবা, একটা ইনজেকশন দিয়ে ব্যথাটা কমিয়ে দাও শিগগিরি। নড়াচড়াই করতে পারছি না।

ভালো করে দেখে বললাম, অকারণে ইনজেকশন দিয়ে লাভ নেই। বেশি ব্যথার ওষুধ খেয়েও লাভ নেই। দু চারটে ব্যায়াম করুন। এই ওষুধ গুলো খান। ব্যথা আস্তে আস্তে কমবে। আর সিঁড়ি ভাঙবেন না। ভারী জিনিস বইবেন না। হাঁটু মুড়ে মাটিতে বসবেন না।

চেম্বার শেষ করে তড়িঘড়ি চৌমাথায় গিয়ে দেখি ঢাক বাজছে ‘আই ওয়ান্ট জাস্টিস’এর তালে তালে। কয়েকজন মহিলা ধুনুচি নিয়ে নাচছেন। তাঁদের মধ্যে সেই বয়স্ক মহিলা, যিনি হাঁটু ব্যথার জন্য একটু আগে আমাকে দেখিয়ে এসেছেন। তিনি আমায় দেখে লজ্জা টজ্জা পেয়ে নাচ থামিয়ে দিলেন। আমি পালিয়ে ভিড়ে মিশে গেলাম। বেশ বুঝতে পারছিলাম, মানুষের মনে যখন দ্রোহ জেগে ওঠে, তখন সে নিজের প্রতিবন্ধকতা সহজেই পার হয়ে যায়।

গতকাল এক পুলিশ অফিসার এসেছেন দেখাতে। প্রেশার সুগার বাড়তির দিকে।

জিজ্ঞেস করলাম, এতো বাড়ল কী করে?

বললেন, ডাক্তারবাবু, গত একমাস ধরে যা চাপে আছি। যা গালি খাচ্ছি। সুগার প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকবে কী করে?

ওষুধ পত্র লিখে দেওয়ার পর যাওয়ার সময় বললেন, একটা জিনিস অদ্ভুত লাগছে- অপরাধের সাথে একাধিক চিকিৎসক যুক্ত। অথচ সাধারণ মানুষ চিকিৎসকদের হিরোর আসনে বসিয়েছে। তাঁদের সমর্থনে রোজই একাধিক মিছিল হচ্ছে। মাঝখান থেকে গালি খেয়ে মরছি আমরা, পুলিশেরা।

বলতে ইচ্ছে করছিল, আমাদের জুনিয়ার ভাই বোন গুলোর মতো এতজন সৎ, মেরুদণ্ডওয়ালা জুনিয়র পুলিশ ডিপার্টমেন্টে থাকলে আপনারাও গালি খেতেন না। পুলিশের মধ্যে থেকেই যদি নগরপালকে সরানোর আওয়াজ উঠত, পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ঘুঘুর বাসা ভাঙার দাবি উঠতো- তাহলে সাধারণ মানুষও আপনাদের সাথে থাকত।

পুলিশ অফিসার বেরিয়ে যাওয়ার পর আরও একবার জুনিয়ার ভাই বোন গুলোর জন্য গর্ব হলো। নিজের পেশার জন্যও গর্ব হলো। এই পেশাটাকে দিন দিন যেন আরও বেশি ভালোবেসে ফেলছি।

পোস্টারের লেখা: মেহেদী হাসান রহমান Mehedi Hassan Rahaman

PrevPreviousছিন্নভিন্ন
Nextগল্পের ত্রয়োদশ অধ্যায়Next
5 1 vote
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত পোস্ট

হাসপাতালের জার্নাল: পাপী পেটের কেচ্ছা

May 18, 2025 No Comments

দশচক্রে ভগবান ভূত একটা প্রচলিত বাগধারা। উল্টোটাও কখনও ঘটে। সাক্ষী আমি নিজেই। ঘটনা প্রায় পঞ্চাশ বছর আগের। বলি শুনুন। আমার বাবাকে একদা ভর্তি করেছিলাম সার্জারি

স্বাস্থ্যের সত্যি মিথ্যে ৮: কুলেখাড়া শাকের খাদ্যগুণ

May 18, 2025 No Comments

আগে যে সব খাদ্যকে হেলাফেলার দৃষ্টিতে দেখা হতো, ইদানীং সে সব খাদ্য আবার মানুষের খাদ্য তালিকায় ফেরত আসছে। শুধু ফেরত আসছে তাই নয়, একেবারে হই

ভাষা সন্ত্রাসী মানুষের বন্ধুত্ব আমার সত্যিই দরকার নেই

May 18, 2025 No Comments

অনেক বছর আগে, একবার এক সদ্য কিশোরকে নিয়ে তার মা দেখাতে এসে বললো,’ডাক্তারবাবু, আপনি একটু বারণ করুন তো, ও খুব খারাপ ভাষা ব্যবহার করছে, স্কুল

যেখানে দেখিবে চোর

May 17, 2025 No Comments

যেখানে দেখিবে চোর… দেখিবে পশ্চাতে ওর ঠিকঠাক আছে কি না লজ্জাবস্ত্রখানি। নাকি ঘোমটা দিতে গিয়ে… উন্মুক্ত হয়েছে ইয়ে চোর রাণী ছুঁড়ে দিচ্ছে ভাতা-র আট আনি।

অন্ধকারের দিকে

May 17, 2025 No Comments

টিভিতে একটা চেনা বিজ্ঞাপন, মেয়ের কলেজে অ‍্যাডমিশন ,খরচ ভীষণ .. হঠাৎ করেই মনে পড়ে যায়, টাকা তো রয়েছে এক জায়গায়, অমুক ব‍্যাংকে জমার খাতায় পড়ে

সাম্প্রতিক পোস্ট

হাসপাতালের জার্নাল: পাপী পেটের কেচ্ছা

Dr. Arunachal Datta Choudhury May 18, 2025

স্বাস্থ্যের সত্যি মিথ্যে ৮: কুলেখাড়া শাকের খাদ্যগুণ

Dr. Aindril Bhowmik May 18, 2025

ভাষা সন্ত্রাসী মানুষের বন্ধুত্ব আমার সত্যিই দরকার নেই

Dr. Amit Pan May 18, 2025

যেখানে দেখিবে চোর

Dr. Arunachal Datta Choudhury May 17, 2025

অন্ধকারের দিকে

Arya Tirtha May 17, 2025

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

554880
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

wpDiscuz

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

[wppb-register]