And how many ears must one man have. Before he can hear people cry? Yes, and how many deaths will it take ’til he knows. That too many people have died? The answer, my friend, is blowin’ in the Wind The answer is blowin’ in the wind
আজ অনিকেত, আগামীকাল হয়তো আরেকজন এবং তারপর….
ওরা কাজের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা চেয়েছে, কিন্তু বধির প্রশাসনকে বলতে হয়েছে দাবীর চেহারায়।
ওরা যাতে আর কোন আপনার আমার ঘরের সন্তান “অভয়া” না হয় এজন্য স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত, সক্রিয় স্বাস্থ্যকাঠামো চেয়েছে। বধির, নির্লিপ্ত, অনুভূতিশূণ্য প্রশাসনকে জানাতে হয়েছে দাবীর আকারে।
ওরা কলেজে কলেজে গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধিত্ব চেয়েছে। নিস্পৃহ সরকারকে জানাতে হয়েছে দাবী হিসেবে। ওরা রোগীদের হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরে মরার হেনস্থা কমানোর জন্য এই ডিজিটাল যুগে “সেন্ট্রাল রেফারাল” পদ্ধতিকে চালু করতে বলেছে। কিন্তু আবার বলছি, বলতে হয়েছে দাবীর চেহারায়।
ওরা মেডিক্যাল সাম্রাজ্যের অস্তিত্ব ও উপস্থিতি বেআব্রু করেছে। আমাদের চোখের সামনে উন্মোচিত করেছে ব্যবহৃত রক্তমাখা গ্লাভস, সিরিঞ্জ, সূঁচ, মাস্ক সহ সমস্ত মেডিক্যাল বর্জ্যপদার্থ কিভাবে আবার হাসপাতালেই ফেরত আসে। ওরা উন্মোচিত করেছে লক্ষ লক্ষ টাকার কারবারি “হুমকি সংস্কৃতি”র উলঙ্গ চেহারা। ওদের আন্দোলনের অভিঘাতে প্রকাশ্যে এসেছে কিভাবে মর্গ থেকে মৃতদেহের চোরাকারবারি হয়, এমনকি শোনা যায়, পর্নোগ্রাফিও।
বলতে হয়েছে? ১০ দফা দাবীর আকারে। কেন? যদি নাগরিকদের প্রতিটি পদক্ষেপ প্রশাসন তথা ” বিগ ব্রাদার্স”দের নজরদারির আওতায় থাকে, তাহলে অনেক বছর ধরে কুৎসিততম দুর্নীতি নজরদারি এড়িয়ে যায় কী করে? নাকি সবকিছুই পারস্পরিক সহযোগিতা আর বোঝাপড়ার ভিত্তিতে চলে?
আজ প্রায় আপামর নাগরিক সমাজ দেখতে চাইছে – “রাজা তোর কাপড় কোথায়?” তারা সমস্বরে, এক অভাবিতপূর্ব সমমর্মিতায় বলছে, জুনিয়র ডাক্তাররা আমাদের সন্তান – আমরা তোমাদের সাথী। পাশে আছি, সাথে আছি, হাত বাড়িয়ে আছি, পা মিলিয়ে আছি, শ্লোগানে আছি, গানে আছি, কবিতায় আছি, ইতিহাস সৃষ্টিকারী তোমাদের প্রতিবাদের উৎসবে আছি – উৎ-শবে নয়।
সর্বভারতীয় স্তরে ডাক্তারদের তরফে এদের দাবী ভারতব্যাপী কর্মবিরতির কথা চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। পশ্চিমবাংলার নাগরিক সমাজের একাংশও সরকার এবং প্রশাসনকে একই স্পিরিটে চিঠি দিয়েছে।
We want Justice শ্লোগান দেবার অপরাধে নবীন ছাত্রদের পুলিশি হেফাজত হয়েছে। বিচার? নীরবে নিভৃতে অশ্রুমোচন করছে। মনে পড়ছে, স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধর্ণায়, অবস্থানে “আমি তোমাদের হিসেবে” বলেছিলেন, “লক্ষ্মী ভাইবোনেরা তোমাদের হাত জোড় করে অনুরোধ করছি, কাজে যোগ দাও”। আমরণ অনশনের সময় প্যান্ডেল তৈরি করতে, বায়োটয়লেটের ব্যবস্থা করতে বাধা দিয়েছে। এমনকি জলের গাড়িও আসতে বাধা দিয়েছে পুলিশ – রাজ্য সরকারের একান্ত অনুগত। সামান্য মিনিডোর গাড়ির দরিদ্র চালকদের পুলিশি কেস দিয়েছে।
এগুলো সবই কী “লক্ষী ভাইবোনেরা”র প্রতিধ্বনি বা প্রতিস্বর? আমরা বুঝতে পারছি না। গণ্ডগোল পাকিয়ে যাচ্ছে।
আজ থেকে শুরু হোক সমস্ত নাগরিক সমাজের এক অহিংস, সত্যানুরাগী, চোয়ালকষা লড়াই। আমাদের সন্তানসম জুনিয়র ডাক্তারদের বাঁচাতেই হবে। ওরা যেগুলো বারবার দাবী করেছে সেগুলো এতই সহজ, স্বচ্ছ এবং স্পষ্ট যে, কেন করা যাবেনা এটাই আশ্চর্যের বিষয়। এগুলোর ওপরেই তো একটি জনমুখী আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা দাঁড়িয়ে থাকে। এগুলোই আধুনিক চিকিৎসার ভিত্তি।
আজ থেকে আবার শুরু হোক মানুষের চাহিদা হিসেবে এই কথাগুলো মানুষেরই নতুন পথচলা – অনশন মঞ্চ থেকে।
This fight will last for days and we have to fight this battle together by holding hand to hand. May the truth will come out some day and our sister gets the justice.🙏🏼
একদম ঠিক লিখেছেন ওদের আন্দেলোন প্রাসংগিক
The DNA of the society needs to be bioengineered