টিভিতে একটা চেনা বিজ্ঞাপন, মেয়ের কলেজে অ্যাডমিশন ,খরচ ভীষণ .. হঠাৎ করেই মনে পড়ে যায়,
টাকা তো রয়েছে এক জায়গায়,
অমুক ব্যাংকে জমার খাতায় পড়ে দুই সাল ধরে,
কিন্তু অ্যাকাউন্ট ইনঅ্যাক্টিভ…
আহা কি সহজ সমাধান হলো ভিডিও কে আই সি করে!
কিন্তু.. কলেজ পড়াতে অ্যাকাউন্টটা ফাঁকা.. এতটাই বেশি যদি প্রয়োজন টাকা,
ঠিক নয় সেটা, ভুল দিকে যায় তবে আগামীর চাকা!
রেডিওতে এক অ্যাড দেয় প্রায়ই,
খুব একটা যেটা নয় সুখদায়ী, বাচ্চাটি স্কুলে নতুন এক ক্লাসে,
উঠে গেছে বেশ ভালোভাবে পাশে,
বাবা ও মা’য়ের কথোপকথন… বই, ড্রেস সবই ‘নিউ’ প্রয়োজন,
অমুক কোংএর আছে গোল্ড লোন,
সুতরাং চিন্তা কী!
সত্যি কি নেই, স্কুল যেতে সোনা বন্ধকী,
এরকম যদি দিনকাল,
সফরে শিখর নয়, খাদে যেতে নিচু-মুখ সে পথের ঢাল।
যদি দেখো সম্প্রতি দশ-বারো ফলাফলগুলো,
কত যে স্টুডেন্ট আজ নব্বই ছুঁলো,
ইয়ত্তা নেই, একদা একটি দুটি থেকে আজ সংখ্যাটা পৌঁছেছে বেশ কয় লাখে,
এত এত এত এত নাইন্টি ঝাঁকে সকলে কি তুমুল মেধাবী?
এত আই কিউ বেড়ে গেলো কী উপায়ে মাঝে মাঝে ভাবি,
আরো যেটা ভাববার কথা, পঁচানব্বই ভাগ তারা ‘স্টুডেন্ট’, ‘ ছাত্র-ছাত্রী বেশ কম,
গেরামে-গঞ্জে ছাড়া আর কটাই বা বেঁচে আছে বঙ্গীয় মাধ্যম,
ইংরাজি ও প্রাইভেট, তাই হলে তবেই নম্বরখনি..
তার মানে.. মেধার সত্ত্ব আজ কিনে নেয় ধনী।
কাট টু বিকাশ-ভবন, অথবা আদালত.. অথবা গান্ধীমূর্তি-পাদদেশ,
যোগ্য-অযোগ্য-যোগ্য হয়েও অযোগ্য.. নানাবিধ
নাম নিয়ে যুব-সমাবেশ,
ওখানে সকলে শিক্ষক হতে চাইছেন সরকারি স্কুলে,
অবহেলা করে করে যাদেরকে দিতে চান সরকারই তুলে,
মিড ডে মিল-এর জন্য পারেননি এখনো পুরোপুরি,
বাকি সব সুযোগ কমিয়ে তাই ছাত্রের সংখ্যাকে শূন্যে নামানো জরুরি,
ঝাঁপ ফেলবার তবে মাপসই ছুতো মিলে যাবে,
ফেলো কড়ি মাখো তেল-এ সবটা লাভের গুড় প্রাইভেট খাবে।
সুতরাং.. পুলিশ পেটাবে,
সুতরাং.. রক্ত বেরোবে
সুতরাং.. নথি হাওয়া হবে,
সুতরাং.. চাকরির আশাগুলো ক্রমেই পেছোবে।
সরকারই চান না যে সরকারি শিক্ষকপদ,
নানা ভাবে চলবেই সেটা করা রদ।
শিক্ষার আগামী ক্রমে ধনীদেরই হাতে চলে যায়..
এ বাংলা ছেড়ে দিয়ে
বিদ্যাসাগর দেখো গেছেন কোথায়।
‘আমাদের সর্বনাশ হয়ে গেছে’ .. বহুদিন আগে বলে গিয়েছেন শ্রী তারাপদ রায়।











