এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সন্তান প্রসবের পরে কোনও মায়ের মৃত্যু খুবই দুঃখজনক। কিন্তু যেটা ভাববার তাহল, ১৮ বছরের ‘প্রসূতি’ মানে তার বিয়ে হয়েছে সাবালিকা হওয়ার আগে। আইনের দিক থেকে যা অন্যায়।
এরপরে আসা যাক আসল তথ্যে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট বলছে, ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সের প্রেগন্যান্ট মেয়েদের জটিলতা এবং মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। ১৯ বছরের কম বয়সের প্রেগন্যান্ট মেয়েদের একলাম্পশিয়া, মানে রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে খিঁচুনি হওয়া এবং পিউএরপারেল এন্ডোমেট্রাইটিস মনে প্রসবের পর জরায়ুতে সংক্রমণ এগুলোর ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। এছাড়া ওই বয়সের মেয়েদের বাচ্চার কম ওজন থাকা, সময়ের আগে বাচ্চা হওয়া এবং প্রসবের সময়ে জটিলতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।
এসব দেখে কি মনে হয় গৃহবধূ রীতা দাস মৃত্যুতে হয়তো চিকিৎসার গাফিলতি থাকলেও থাকতে পারে, কিন্তু সামাজিক গাফিলতি যে ছিল সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
আর একটা কুঁড়ি ফোটার আগেই ঝরে গেল।