৩১শে আগস্ট ২০২১
২৯শে আগস্ট ২০২১ রবিবার রাত ১১-৩০টায় মারা গেলেন ডা অবন্তিকা ভট্টাচার্য। কমিউনিটি মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক ডা ভট্টাচার্য ১৫দিন এস এস কে এম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বার্ন নিয়ে। নিজের গায়ে স্পিরিট ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন তিনি।
প্রায় চল্লিশের এক জনস্বাস্থ্যবিদকে কে বা কারা আত্মহত্যায় প্ররোচিত করল?!
জানা যায় ৮ বছর তিনি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সহকারী অধ্যাপকের পদে কাজ করার পর একই পদে তাঁকে বদলী করা হয় নবনির্মিত ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে, যেখানে প্রথা অনুযায়ী তাঁকে শহরের কোন মেডিক্যাল কলেজে বদলী করার কথা।
তাঁর স্বামী স্ত্রীরোগবিদ, পোস্টিং ছিল মুর্শিদাবাদে, জলপাইগুড়িতে ট্রান্সফার করা হয় তাঁকে। তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিশ বেছে নেন।
এক দিকে যোগ্য প্রার্থীর নিয়মমাফিক ট্রান্সফার পোস্টিং হচ্ছে না, অন্যদিকে বিধায়ক-মন্ত্রীর যোগ্যতাহীন ছেলে-মেয়ের প্রথম পোস্টিং হচ্ছে রাজ্যের এক নম্বর সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে! ট্রান্সফার পোস্টিং এর জন্য লক্ষ লক্ষ টাকার হাতবদল হয় স্বাস্থ্যভবনে এমনটা শোনা যায়।
ডা ভট্টাচার্য এই অন্যায় অবিচারকে সহ্য করে বেঁচে থাকতে পারলেন না।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম মনে করে রাজনৈতিক সংরক্ষণ অবশ্যই আছে, কিন্তু এই মৃত্যুর জন্য দায়ী স্বাস্থ্য দফতর ও স্বাস্থ্য প্রশাসনে সব স্তরে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও স্বজনপোষণ।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম ট্রান্সফার পোস্টিং এর স্বচ্ছ নীতি চায়, যাতে অবন্তিকা ভট্টাচার্যের মতো কোন চিকিৎসককে আর যেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে না হয়।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম ডা: অবন্তিকা ভট্টাচার্যের পরিবারের জন্য যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবী জানায় এবং দুর্নীতিমুক্ত, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ মুক্ত স্বাস্থ্য প্রশাসন নিশ্চিত করে আইনি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভাবে চলার দাবী জানায়।
অন্যথায় রাজ্যের চিকিৎসকরা সুবিচারের দাবিতে পথে নামতে বাধ্য হবেন।
West Bengal Doctors Forum
গভীর শোক প্রকাশ করছি, ও ডাক্তার সমাজের কাছে তুমুল আন্দোলনের আশা রাখছি।