যে কোনও ভালো কাজে, সত্যিকারের ভালো কাজে ডাক দিলে মানুষ তাতে সাড়া দেয় এটা বরাবর দেখেছি। নিজেকে ছাপিয়ে ভালো কিছু করার একটা স্বাভাবিক আকুতি আছে মানুষের মধ্যে। করোনা মহামারী মোকাবিলার শুরুর দিনগুলোতে এমনটা দেখা গিয়েছিল। সবাই কেবল জানতে চাইছিলেন যে এই মহামারীর মোকাবিলায় দায়িত্ব পাওয়া বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণ পাওয়া কর্মীদলের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ হিসেবে তারা কি করতে পারেন এই মোকাবিলায়। স্বেচ্ছায় তাঁরা অংশীদার হতে চাইছিলেন।
পুজো শুরু হওয়ার কিছু আগে থেকে যে প্রচার চলছিল, যে আবেদন ছিল ভিড় না করার, জনগণ তাতে আশাতীত ভাবে সাড়া দিয়েছেন। প্রতি বছর মন্ডপ থেকে মন্ডপে ভিড় বাড়ানোর প্রতিযোগিতা হয়, ফলাও করে তার ফলাফল ঘোষণা হয় গণমাধ্যমে। এবার তার উল্টো। কোন জায়গা কত ফাঁকা, তার প্রতিযোগিতা। নিজের ও অন্যদের কথা ভেবে এবছর আনন্দ ফুর্তির রাশ টানার যে পরীক্ষায় জনগণকে ফেলা হয়েছিল তাতে তাঁরা সসম্মানে পাশ করেছেন, অন্ততঃ প্রথম দুটো দিন। পরীক্ষা এখনো শেষ হয় নি। আরো দুটো দিন বাকি আছে। এ এক কঠিন পরীক্ষা। তারা সেটাও ভালোভাবেই পাশ করবেন, তাদের ওপর এই ভরসা আছে, বিশ্বাস আছে।
এ পরীক্ষার মার্কশিট টাঙ্গানো যাবে না, স্মৃতিতে যত্ন করে জমিয়ে রাখতে হবে বাকি জীবনটা। পরে যখনই কখনো মনে সংশয় হবে কঠিন কাজের সামনে দাঁড়িয়ে, পারবো কি পারবো না, তখন স্মৃতি থেকে ধুলো ঝেড়ে আবার বের করে দেখবো ওই মার্কশিট।
আমরাও পারি। পারতে আমাদের হবে। আমরাই পারি।
অভিনন্দন।