পরিষ্কার করেই বলছি ফের লকডাউন আমরা কেউই চাই না!
লকডাউন সর্বরোগহর নয়, এমনকি করোনা কিলারও না!
লকডাউন একটা আপৎকালীন প্রক্রিয়া যার মধ্যে দিয়ে একটা দেশ প্রস্তুত হয়!
এই মারীর সূচনাকালে রাজ্যে বা দেশে যথেষ্ট পরিমানে পিপিই, মাস্ক, স্যানিটাইজার, কোভিড বেড, অক্সিজেন সিলিন্ডার, ভেন্টিলেটর, একমো মেশিন ছিল না! এই লকডাউন, সময় কেনার একটা পরীক্ষিত প্রক্রিয়া!
এখন আমাদের করোনার সঙ্গে লড়ার ওই প্রযুক্তি গুলি আছে,চিকিৎসাকর্মীরা আজ একবছর আগের তুলনায় অনেক বেশি প্রশিক্ষিত, অভিজ্ঞ! সরকারী বেসরকারী ব্যবস্থাগুলিও প্রস্তুত, এমনকি এসে গেছে প্রতিষেধক টিকা!
তাই প্রায় পাঁচলক্ষ সক্রিয় রোগী থাকা সত্ত্বেও লকডাউনের খাঁড়াটা এইবার ঠিক সেভাবে আর ঝুলছে না!
কিন্তু যেটা খুব দরকার সেটা হলো জনমানসে সচেতনতা।
মাস্ক, স্যানিটাইজেশন আর ফিজিক্যাল ডিস্ট্যানসিং আর এটা মনে রাখা যে ভ্যাকসিন নেওয়া মানেই অতিমানব হয়ে যাওয়া নয়!
দ্বিতীয় ডোজের ২-৩ সপ্তাহ পরে শরীরে প্রতিষেধক অ্যান্টিবডি তৈরী হয়, তখন করোনা হলেও বিপদ কম হবার কথা!
তবে এই মুহূর্তে অপেক্ষাকৃত তরুণতর রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি, অত্যন্ত দ্রুত ছড়িয়ে পড়া, আর গত বছরের তুলনায় কিছু ভয়ঙ্কর রোগলক্ষণ চিন্তায় রাখছে চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের!
আসুন সবাই মিলে সক্রিয়ভাবে ঠেকিয়ে দিই এই এগিয়ে আসতে থাকা বিপুল দ্বিতীয় তরঙ্গ!
সকলকে দোলের শুভেচ্ছা ।