বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে, ৫ বছরের নীচে বাচ্চাদের মাস্ক পরার কোনও দরকার নেই। যদিও সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এর মতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য ২ বছরের বেশি বয়সী যে কোনও শিশুকে মাস্ক পরানো জরুরি। বিশেষত, শিশুর খুব নিকট কারোর করোনা হয়ে থাকলে শিশুর সুরক্ষার জন্য অবশ্যই পরানো দরকার। সেক্ষেত্রে নজর রাখতে হবে শিশুর মাস্ক যেন নিরাপদে থাকে।
- কোনও শিশুর যদি শারীরিক গঠনগত অথবা শ্বাসযন্ত্রজনিত কোনও সমস্যা থাকে তাহলে সেই শিশুদের মাস্ক পরানো চলবে না। অন্যথায় তাদের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
- দুই বা তিন লেয়ার যুক্ত মাস্কই শিশুদের জন্য উপযুক্ত। এন ৯৫ মাস্ক শিশুদের পরানো চলবে না।
- মাস্কে যাতে বারবার হাত না দেয় ও পড়ার সময় হাত ভালভাবে পরিষ্কার করে নেয় সে বিষয়েও সতর্ক করতে হবে।
- শিশু চশমা পড়লে খেয়াল রাখতে হবে তা যাতে মাস্কের ওপর থাকে। নয়তো কাচ ঘেমে গিয়ে দেখায় সমস্যা হতে পারে।
- কোনও শিশুর ক্যানসার বা সিস্টিক ফাইব্রোসিস থাকলে তাদের চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে মেডিক্যাল মাস্ক পরাতে হবে।
- সাধারণ শিশু যাদের কোনোরকম শারীরিক সমস্যা নেই তাদের জন্য নন মেডিক্যাল বা কাপড়ের মাস্কই যথেষ্ট। তবে এই মাস্কে যাতে নাক, মুখ ও চিবুক ঠিকমতো ঢাকা পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- খেলাধুলোর সময়ে শিশুকে মাস্ক পরানো চলবে না। দৌড়ানো বা লাফালাফি করার সময় মাস্ক পরা থাকলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
- বাইরে থেকে আসা যে কোনও লোকের যাঁদের থেকে অসুখ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে তাঁদের থেকে শিশুকে দূরে রাখা দরকার।
- মাস্ক পরানোর পাশাপাশি শিশুকে হাত ধোয়ারও প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। এছাড়া অকারণে চোখে, নাকে ও মুখে যাতে হাত না দেয় সে বিষয়েও সচেতন করতে হবে।
- শিশুদের ফেস শিল্ড পরানো চলবে না।
ছবি: Vanshika