অক্সিজেনের অফ সিজনে মরলো কিছু মানুষজন,
রাজামশাই দিলেন বলে, মোটেই সেটা নয় কারণ।
গ্যারান্টি কই বাঁচতো ওরা লাগিয়ে দিলে অক্সিজেন?
ভাগ্যে ওদের মরাই ছিলো, অক্সি তো স্রেফ প্রক্সি দেন।
সবাই জানে, বাতাস জুড়ে অক্সিজেনের রমরমা,
শ্বাস টানলেই হুস করে তা ফুসফুসময় হয় জমা।
সামান্য এই সহজ কাজই পারলো না যেই বোকার দল
মরাই তাদের ঠিক হয়েছে, যেমন কর্ম তেমনি ফল।
কিছু লোকে ঠ্যাঁটার মতো সহজ ব্যাখ্যা বুঝছে না,
দেশদ্রোহের কায়দা এসব রাজার লোকের খুব চেনা।
যা কিছু হয় সবকিছুতেই দেখবে ওরা রাজার দোষ,
এমন ব্যাপক হ্যাটা করে, নাম যেন তাঁর নন্দ ঘোষ।
বিশ্ব মাঝে এ দেশ সেরা পিটছে ঢেঁড়া সবদিকে,
দেশপ্রেমের কোরাস ধুয়োয় বাকি সবার রব ফিকে
সব বরাহ বলছে তবু সরবরাহ কম নাকি,
অক্সিজেনের অভাব হয়েই বেরিয়ে গেছে দম বাকি।
পোস্টমর্টেম বললো কোথাও অক্সিবিহীন মরলো কেউ?
শবের সাথে প্রমাণগুলোও সব নিয়েছে নদীর ঢেউ।
প্রমাণ যদি না থাকে তো দোষটা কেন দাও শুনি?
পেয়াদা ওই তৈরি আছে, ডাকবো নাকি এক্ষুণি?
তোমরা যারা ভাবছো কেন হুড়োতাড়ায় অক্সি প্ল্যান্ট,
তলিয়ে তারা ভাবছো না কেউ, ভীষণ বোকা ইগনোরান্ট।
ওসব ছিলো আগে থেকেই নিখুঁত পরিকল্পনায়,
হিংসুটে আর দুষ্টুরা ঝাল মশলা ঢালে গল্পটায়।
পাঁচ হাজারের সিলিন্ডারের উঠলো যে দাম চল্লিশে,
সবই গুজব, মন্দলোকের গুলের যত জল মিশে।
অক্সিজেনের অভাব হওয়ার গল্পগুলো সব ঝুটো
শুনলে দিও কানে আঙুল, পড়লে বোজো চোখদুটো।
গঙ্গা বেয়ে শবের সারি? ধ্যাত্তেরি, ও খড়কুটো…