করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হুহু করে। আগামী কয়েকদিনে হয়তো আরো অনেক নতুন মানুষ আক্রান্ত হবেন। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একটা সার্বিক চিত্র অনেকে জানেন না বলে কেউ অতি নিশ্চিন্ত, কেউ অধীর। 20শে এপ্রিল 2020 এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে সারা দেশের সার্বিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। (Geetanjali Kapoor et al. Princep University, 20th April, 2020). সারা দেশে 69265 টি হাসপাতাল আছে , পশ্চিমবঙ্গে আছে 2263 টি। দেশে মোট সরকারি বেড 713986টি, বেসরকারি বেড 1185242। পশ্চিমবঙ্গে মোট হাসপাতাল বেড 113535টি। প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বেড এর মধ্যে ধরা নেই। ধরলে মোট বেড দাঁড়াবে 144000 র কাছাকাছি।
দেশে মোট ICU বেডের সংখ্যা 94961। পশ্চিমবঙ্গে এই সংখ্যা 5677।
দেশে মোট ভেন্টিলেটর 47481 (5%), পশ্চিমবঙ্গে 2838 টি (5.9%).
এই সব হাসপাতালে মোট শয্যার কত শতাংশে অক্সিজেনের ব্যবস্থা আছে তার তথ্য আমাদের কাছে নেই। কোভিডের শতকরা দশ শতাংশের যদি অক্সিজেন দরকার হয় তাহলে অদূর ভবিষ্যতে দেশবাসী কত অসহায় হয়ে উঠবে তা বোঝা দুষ্কর নয়।
দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা অপ্রতুল। দেশের স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়বরাদ্দ না বাড়লে শক্তিশালী চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে উঠবে না।
কর্মরত অবস্থায় বর্তমানে 25জন চিকিৎসক কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন। তার মধ্যে ছয় জনের অবস্থা খুব গুরুতর। ইতিমধ্যে কয়েকজন ডাক্তার মৃত। স্বাস্থ্যকর্মীদের অনেকে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন। কয়েকজন ইতিমধ্যে মারা গেছেন।
ডাক্তার বা স্বাস্থ্য কর্মী বেড দিতে না পারলে তাদের দায়ী করা সহজ। একটা দুর্বল পরিকাঠামো নিয়ে তাঁরা অসম যুদ্ধে সামিল।
এখন পরস্পর দোষারোপ করে লাভ নেই। সবাই মিলে একসাথে ভালো থাকার লড়াই চালাতে হবে। এর জন্য দরকার যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মানা। মহামারি রুখতে সবাই এক এক জন কোভিড-যোদ্ধা। যিনি নিজেকে সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে পারছেন , তিনি আদতে সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন।