মার্ক্স লেনিন বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে শাসক শ্রেণীর একটা গোষ্ঠীর হাত থেকে অন্য গোষ্ঠীর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরকে বিপ্লব বলে না, যদি একটা শ্রেণীর হাত থেকে আরেকটা শ্রেণীর হাতে ক্ষমতা যায় যেমন সামন্ত প্রভু থেকে বুর্জোয়াদের হাতে বা বুর্জোয়া থেকে প্রলেতারিয়েতদের হাতে তাকেই বিপ্লব বলে। গোষ্ঠী থেকে গোষ্ঠীতে ক্ষমতা হস্তান্তর যদি সামরিক/সশস্ত্র হয় তবে তাকে অভ্যুত্থান বলে যার একটা নাম ক্যু দে ত।
বাংলাদেশে কোনো বিপ্লব হয় নি। শাসক গোষ্ঠীর একটা স্বৈরাচারী অংশ ক্ষমতা ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। ক্ষমতা কাদের হাতে যাবে তাই নিয়ে নানান জল্পনা থাকতেই পারে। কিন্তু এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার যে ওই দেশের শ্রমিক কৃষক শ্রেণীর হাতে ক্ষমতা যাচ্ছে না এ যাত্রা। কারণ তারা অর্থাৎ তাদের রাজনৈতিক দল এই আন্দোলনের নেতৃত্বে নেই। কয়েকজন রিক্সাওয়ালা মিছিল করলেন বা রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছাত্রদের মিছিলকে স্যালুট করলেন এটা দেখে আবেগে চোখে জল আসতে পারে কিন্তু এটা ভেবে নেওয়ার কারণ নেই যে আদৌ তাদের কেউ আন্দোলনের নেতৃত্বে আছেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জায়গায় আছেন।
একজন স্বৈরাচারী, দুর্নীতিগ্রস্ত, স্বজন পোষণকারী শাসকের পলায়ন দেখে উল্লসিত বাম বন্ধুদের কাছে আবেদন, ইউফোরিয়ায় ভুগবেন না। পরে বেশি কষ্ট পাবেন আশাভঙ্গের বেদনায়। যেকোন দেশের মতোই বাংলাদেশের মেহনতি মানুষের মুক্তির পথ, আর পাঁচটা দেশের শ্রেণী সংগ্রামের পথের মতই দীর্ঘ জটিল, আঁকাবাকা, কোনো শর্টকাট নেই। তাঁরা তাঁদের পথ তাঁদের মতো করে বুঝে নেবেন। এদেশের বামপন্থীরা ওই দেশের মেহনতি মানুষের লড়াই এর প্রতি আগেও সলিডারিটি দেখিয়েছে, পরেও দেখাবে। কিন্তু যে বা যাঁরা ক্ষমতায় আসছেন, তাঁরা ক্ষমতাচ্যুতদের তুলনায় বেশি শ্রমিক বান্ধব, বেশি কৃষক বান্ধব, বেশি ধর্মনিরপেক্ষ, বেশি প্রগতিশীল এমন কোনো প্রমাণ কেউ দিতে পারলে আজ রাতটা অন্তত একটু আনন্দে কাটাতে পারতাম। বোধ হয় সেটা হল না।
ইউফোরিয়া আমার কপালে নেই। লেখা শেষ কেবল “স্বাধীন” বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ভারতের অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির একটা প্রবাদ প্রতিম শ্লোগান মনে করিয়ে দিয়ে যাই, “ইয়ে আজাদী ঝুটা হ্যায়, জব তক ইনসান ভুখা হ্যায়। ” বাংলাদেশের একটি রিক্সা চালক ভাইও যতদিন খালিপেট আধাপেট ঘুমোতে যাবে, ততদিন স্বাধীন শব্দটা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকবে।
সহমত।স্বাধীনতার মানে এতোদিনের একজন সফল প্রধানমন্ত্রীকে সামান্য এক কোটার ইস্যুতে ফলস ছাত্রবিপ্লব দেখিয়ে খুন খারাপীর সুইসাইডিয়াল এপ্রোচ বানিয়ে তাকে দেশ থেকে চলে যেতে বাধ্য করা। তাড়ানো ,তারপর নানারকম নোংরা কালচার ওদের কখনও শেখাবে না; উদ্বূদ্ধ করবে না ওদের পাশের পাশাপাশির এইরকম একটা দেশ তাদের প্রতিবেশীর একেবারে লাগোয়া একটা রাজ্য তাদেরই একটা ভেঙে দেওয়া বঙ্গদেশ।একজন হেরে যাওয়া ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রীকেও কতটা শ্রদ্ধা জানাতে পারে। আর তিনি তাঁর যোগ্যও সর্বোপরি কতখানি সততায় সমৃদ্ধ যে কপদর্ক শূন্য জমাপূঁজি রেখে তিনি চলে গেলেন আনত আভূমি স্যালুট নিয়ে আপামর ভারতবাসীর কাছে।।
লেখাটা খুব পরিষ্কার ঝরঝরে হয়েছে।
পড়েছি কিন্ত মনের অবস্হা ভালো ছিলো না।
এখন বুদ্ধদেব বাবুর বই দুটো একটা পড়ার মতলবে আছি ।বিশেষ করে দুটো বই তো বটেই সংগ্রহ করব।
‘ফলস্ ছাত্র বিপ্লব ‘এইজন্যই যে ওখানের মৌলবাদীদের দ্বারা খুব সংগোপনে প্ররোচিত এই তথাকথিত কোট আনকোট কোটা।আমার তো এরমই মনে হয়েছে এবং এটাই সত্যি।এবার হাসিনার স্বৈরাচারীতা বহুল বিপুল পরিমাণ ভোটে জেতা এসব তো আছেই। একটা গোটা মৌলবাদী দেশের এই ঝামেলার কেবল একতরফা অল্প কথায় ব্যাখা তো করা যায় না।
আরে তুমি কেমন মানুষ বলোতো সমুদ্র! আমাকে প্রোফাইল থেকে সাফ করে দিয়ে কী দারুণ সমস্ত লিখছো।
মন খারাপ হয় না একটা বলো!
আর দুনিয়ার সে যেন মনে হচ্ছে কমেন্টের বন্যা।
তোমার ওয়াল তো আর পেচ্ছাপ খানা নয়।যে সব লাল পিঁপড়েরা আনাগোনা করবে।
এমনিতেই আমার ওরকম অভ্যেস নেই বা সে বুকের দমও নেই যে তোমার ফেবু একাউন্ট দেখি।
এর মধ্যে একদিন কি ফুরফুরে লাগছিল মন টা।
ভাবলাম ঠিক পারব ফেস করতে লুকিয়ে তোমার পান্ডুলিপি। কিন্ত……
কী অবাক লাগলো!মনে হলো যাঁর এতো ধন সম্পত্তি।আর পদপ্রার্থীর অভাব নেই তাঁর এমন কাঙাল পনা।
এতো ফলোয়ার এতো লাইক ওয়েলিং!
ভালোবাসা প্রিয়।💕🙏
এখানে একা একা ।ঠিক তেমন যোশ আসে কই।