সবুজ পাতাটা হঠাৎ সরু লম্বাটে জিভ বের করে সুড়ুৎ করে ফড়িংটাকে গিলে ফেলল। তারপর আস্তে আস্তে পাতাটার রঙ বদলাতে বদলাতে সেটা একটা উজ্জ্বল হলুদ রঙের গিরগিটিতে পরিণত হল।
শিশু দাঁড়কাক খুব অবাক হয়ে বলল– ‘মা দেখেছ, কি ভয়ংকর!’
মা দাঁড়কাক তাকে থামিয়ে দিয়ে ফিসফিস করে বলল, ‘কথা নয়, চুপটি করে বসে দেখতে থাকো।’
এক দল হরিণ নদীতে জল খাচ্ছিল। নদীর পাড় বরাবর ভেসে যাওয়া একটা পোড়া কাঠের টুকরো চোখ ঘুরিয়ে তাদের দেখল আর লাফিয়ে উঠে জলের সবচেয়ে কাছে থাকা হরিণটাকে বিশাল চোয়ালের মাঝে চেপে ধরে জলের নীচে তলিয়ে গেল।
‘শুধু কি শিকারীরা ছদ্মবেশ ধরে?’
‘না না, শিকাররাও ক্যামোফ্লাজ করে। ওই পেঁচা দুটোকে দেখ। বাঁচার জন্য কিরকম কাঠের মত রং ধরেছে!’
‘সবাই কি বাঁচার জন্য ভেক ধরে?’
‘হ্যাঁ। কেউ খিদের হাত থেকে। কেউ শিকারের হাত থেকে।’
‘আর মানুষ?’
‘মানুষও ভেক ধরে, রং বদলায়- বাঁচার জন্য। তবে রাজনৈতিক ভাবে।’