হঠাৎ সেদিন সমীরদা আমার চেম্বারে এসে হাজির, সঙ্গে নিজের ছেলে এবং মেয়ে। অনেক সমস্যা তাদের। চামড়ায় ফেটে যাবার মতো দাগ, ঘাড়ের কাছটা কালো। সমীরদা বললেন, এই বয়সে এদের ব্লাড সুগার বেড়ে গেছে, প্রেশারও বেশি। তখন আমার কুড়ি বছর আগেকার কথা মনে পড়ে গেল।
সমীরদা হলেন গাইনিকোলজিস্ট। বছর কুড়ি আগে একবার তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। দু-টি ফুটফুটে দুরন্ত যমজ বাচ্চা, বছর পাঁচেক বয়স, সারা বাড়ি জুড়ে হুল্লোড় করছে। এক সময়ে বৌদি ফ্রিজ খুললেন। বিশাল সেই ফ্রিজের আর্ধেকটা জুড়ে কোল্ড ড্রিংকসের বড়ো বড়ো বোতল। গ্লাসে ঢেলে আমাকে দেবার সময়ে জিজ্ঞেস করলাম, এত লিমকা থাম্বস আপ খায় কে? বৌদি বললেন, বাচ্চারাই খায়। আর খায় চিপস, খায় চকোলেট, আইসক্রিম। ভাত রুটি? “মোটে খেতে চায় না, আমরাও জোর করি না।”
বাচ্চাদের অভ্যাস বদলায়নি। তাই ত্রিশ বছর বয়সে তারা স্থূল, সুগার-প্রেশার বেশি। গায়ের চামড়ায় ফাটা ফাটা দাগ, যাকে চলতি কথায় বলে স্ট্রেচ মার্ক, আর ঘাড়ের কালো দাগ হল অ্যাকান্থোসিস নিগ্রিক্যানস। এসব রোগ নিয়ে আজ কথা বলব না, বলব কেবল কোল্ড ড্রিংকস আর মোটা হবার ব্যারাম নিয়ে।
রোগা আর মোটা মানুষ
রোগা বা কম পুষ্ট মানুষ কিছু কম নেই। রাষ্ট্রসংঘের হিসেবে বিশ্বে ৭০ কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত বা কম-পুষ্টির শিকার। কিন্তু বিশ্বজোড়া খাদ্যের অভাব অপুষ্টির কারণ নয়। রাষ্ট্রসংঘের সংস্থা ‘ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন’ তথা ‘ফাও’ বলছে, “আমাদের প্রত্যেককে খাওয়ানোর মতো পর্যাপ্ত খাদ্যেরও বেশি আছে। পৃথিবীতে এখন খাদ্যের প্রকৃত ঘাটতি নেই। খাদ্য যথেষ্ট আছে, অপুষ্টি হয় রাজনৈতিক কারণে।” ‘ফাও’ বলেছে, ৯৭ কোটির ওপর ভারতীয় যথাযথ পুষ্টিকর খাদ্য কিনে খেতে অক্ষম, ফলে এদেশের ১৬.৩ শতাংশ মানুষ কম-পুষ্টির কারণে রোগা।
কিন্তু গরিব মাত্রেই রোগা নন। যথাযথ খাদ্য না জুটলেও, কেবল ক্যালোরি ঘাটতি মিটলে মানুষের ওজন স্বাভাবিক হতে পারে, এমনকী বেশিও হতে পারে। ভারত সরকারের ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে-৫ (২০১৯-২০২০) রিপোর্ট জানাচ্ছে, এ দেশে স্থূলত্ব দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্কদের চারজনের মধ্যে একজনের ওজন বেশি। অন্যদিকে কম-পুষ্টির কারণে প্রাপ্তবয়স্কদের পাঁচজনের মধ্যে প্রায় একজনের ওজন কম, বা উচ্চতা অস্বাভাবিক রকমের কম। কম-পুষ্টি গরিবের প্রায় একচেটিয়া অসুখ, কিন্তু অতি-পুষ্টি তথা মোটা হবার ব্যামো বড়োলোকের একচেটিয়া অসুখ নয়। সংখ্যাতত্ত্বের কথা ছেড়ে আমাদের আশপাশে তাকালেও সেটা বোঝা যায়। আমাদের বাড়ির পাশের বস্তির মানুষজন ঘরের সামনের দোকান থেকে প্যাকেটের মিষ্টি বিস্কুট, পটেটো চিপস আর দু-মিনিটের নুডলস কিনে বাচ্চাদের হাতে দেন, কিংবা দেন টাকা। সকাল-বিকেল টিফিন বানানোর সময় তাদের নেই। জাঙ্ক খাদ্য খেয়ে এদের বাচ্চারা অনেকেই বেশ গোলগাল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার ওয়েবসাইটে বলছে, পৃথিবীতে মোট ৭৯০ কোটি মানুষের মধ্যে ১০৪ কোটি স্থূল, আর মোটা মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। স্থূলত্ব একটি রোগ। স্থূল মানুষদের ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার, মানসিক অসুখ, চর্মরোগ, সবই বেশি হয়। কোভিড-১৯ রোগের সময়ে আমরা দেখেছি, স্থূলকায়দের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় তিনগুণ। অর্থাৎ স্থূলত্ব বিপজ্জনক।
শরীর যতটা শক্তি খরচ করে, তার চাইতে বেশি শক্তি বা ক্যালোরি খাদ্যের মধ্যে দিয়ে শরীরে ঢুকলে মানুষ মোটা হতে শুরু করে। এ যেন ব্যাঙ্কে টাকা রাখা। যদি টাকা জমা বেশি হয় আর খরচ তার চাইতে কম হয়, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে টাকা জমবে। বেশিদিন ধরে বেশি ক্যালোরির খাদ্য খেলে, কিন্তু ব্যায়াম ইত্যাদির মাধ্যমে ততখানি ক্যালোরি খরচ না করলে, শরীরে মেদের মধ্যে অতিরিক্ত ক্যালোরি জমবে। যত বেশিদিন ধরে যত অতিরিক্ত ক্যালোরি জমবে, মেদ বা চর্বি শরীরে ততই বাড়তে থাকবে।
মোটা হবার একটা বড়ো কারণ হল বেশি চিনি দেওয়া খাদ্য বা বেশি তেল-চর্বিজাতীয় খাদ্য। রসগোল্লা বা সিঙ্গাড়া জাতীয় খাদ্য এদের দলে পড়ে, আবার নাগরিক নানা ফ্যাশনেবল খাদ্য, যেমন হেলথ ড্রিঙ্কস ও কোল্ড ড্রিঙ্কসও এদের দলে পড়ে। আজ আমরা কেবল কোল্ড ড্রিংকস তথা সফট ড্রিংকসের কথা বলব।
ঠান্ডা পানীয়ের কথা
কী থাকে ঠান্ডা পানীয়ের মধ্যে? সব চাইতে পরিচিত ব্র্যান্ড কোকা-কোলার উপাদান দেখা যাক। এতে থাকে কার্বনেটেড জল। সব ধরনের কোকা-কোলার প্রায় ৯০ শতাংশই হল জল। কার্বনেটেড অংশ হল কার্বন-ডাইঅক্সাইড, তার জন্যেই এই পানীয়তে বুদবুদ ওঠে। এছাড়া থাকে ক্যারামেল রং, ফসফরিক অ্যাসিড, এবং ক্যাফেইন। ক্যাফেইন কফিতেও থাকে। তবে কোকা-কোলার গোপন ফর্মুলার রহস্য হল এর মধ্যে নানা প্রাকৃতিক ফ্লেভারের মিশ্রণ। এছাড়া ক্লাসিক কোকা-কোলাতে থাকে চিনি। কোম্পানির দাবি, ‘কোকা-কোলা জিরো সুগার’ এবং ‘ডায়েট কোক’ চিনিমুক্ত বলে এদের মধ্যে ক্যালোরি হয় শূন্য, নয়তো খুবই কম। এদের মধ্যে কৃত্রিম মিষ্টি থাকে।
এ শুধু কোকা-কোলার একার কথা নয়। সমস্ত ঠান্ডা পানীয়তে এইরকম জিনিসই থাকে। তাদের ফ্লেভার আলাদা হতে পারে, কার্বন-ডাইঅক্সাইড কম বা বেশি থাকতে পারে। ক্যারামেল রং, ফসফরিক অ্যাসিড, বা ক্যাফেইন না থাকতে পারে, তাদের বদলে অন্য নানা ফুড অ্যাডিটিভ থাকতে পারে। চিনি কম বা বেশি থাকতে পারে। এর বাইরে আছে নানা ফলের রস থেকে তৈরি পানীয়, যেমন মাজা ম্যাঙ্গো। তাদের আমরা এখানে হিসেবে আনব না।
এই ধরনের সফট ড্রিংকস বা কোল্ড ড্রিংকস তথা ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে আমাদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির সম্পর্ক নানা গবেষণায় খতিয়ে দেখা হয়েছে। ২০০৭ সালে আমেরিকান জার্নাল অফ পাবলিক হেলথ-এ এমন ৪৪টি গবেষণার সার-সংকলন প্রকাশ করা হয়েছিল। (তথ্যসূত্র ১) এই রকম সার-সংকলনের পারিভাষিক নাম হল মেটা-অ্যানালিসিস বা অধি-বিশ্লেষণ। সেই মেটা-অ্যানালিসিসে দেখা গেছে, যে যত বেশি ঠান্ডা পানীয় খায়, তার তত বেশি অতিরিক্ত ক্যালোরি বা শক্তি খাওয়া হয়ে যায়। ফলে ঠান্ডা পানীয় বেশি খেলে মোটা হবার সম্ভাবনা বাড়ে।
ঠান্ডা পানীয়গুলোতে সাধারণত অনেক ক্যালোরি থাকে। গবেষণাপত্রগুলো মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে যে, মানুষ ঠান্ডা পানীয় খেতে গিয়ে অন্যান্য ক্যালোরিসমৃদ্ধ খাদ্য খাওয়া কমিয়ে দেয় না, ফলে মোট ক্যালোরি খাওয়া বাড়ে। শুধু তাই নয়, ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ বেশি ক্যালোরিযুক্ত অন্য নানা খাদ্য খেয়ে ফেলে। যেমন নোনতা জিনিস খেলে বেশি তেষ্টা লাগে, আর নোনতা আলুভাজার সঙ্গে কোক বা পেপসি খাওয়ার চল খুব বেশি। আলুভাজা খেয়ে তেষ্টা বাড়ে, কোক-পেপসিতে চুমুক দিতে হয়। আবার মিষ্টি কোক-পেপসি এক চুমুক খেলে আলুভাজা খাবার ইচ্ছা ফিরে আসে। এভাবে আলুভাজা বা ওইরকম নানা ক্ষতিকর খাদ্য বেশি খাওয়া হয়ে যায়। শুধু খারাপ খাদ্য বেশি খাওয়া হয়ে যায়, তাই নয়, ঠান্ডা পানীয় খেলে ভালো খাদ্যগ্রহণ কমে যায়। ঠান্ডা পানীয় বেশি খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুধ, ক্যালশিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ কমে। এর অবধারিত ফল হল মোটা হওয়া, ও তার ফলে ডায়াবেটিসের মতো বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়া।
যে ৪৪টি গবেষণা নিয়ে অধি-বিশ্লেষণ করা হয়েছিল, তাদের প্রত্যেকটি হুবহু এক রকম কথা বলেনি। ফুড ইন্ডাস্ট্রি, অর্থাৎ ঠান্ডা পানীয় তৈরি করে যে খাদ্যশিল্প, তারা অনেক গবেষণার পেছনে অর্থ লগ্নি করেছে। গবেষণাপত্র লেখকরা খাদ্য কোম্পানি, পানীয় কোম্পানি বা তাদের ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের আর্থিক সহায়তা স্বীকার করলে সেই গবেষণাকে ইন্ডাস্ট্রি বা শিল্প দ্বারা আর্থিক সাহায্যপ্রাপ্ত বলে ধরা হয়। এরকম সাহায্যপ্রাপ্ত গবেষণাগুলোতে কোল্ড ড্রিংকসের খারাপ প্রভাব কম বলে দেখা গেছে। অন্যদিকে, যে সব গবেষণায় যত উন্নত পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই গবেষণাগুলোতে এই কুপ্রভাব তত বেশি বলে ধরা পড়েছে। স্ত্রী-পুরুষভেদে, বয়সভেদে ও পানীয়ের ধরন অনুসারে কুপ্রভাবের মাত্রার কম-বেশি হয়। কিন্তু কোনো জনগোষ্ঠীর মধ্যেই কোনো ধরনের কোল্ড ড্রিংকসের ভালো প্রভাব কোনো গবেষণাতেই ধরা পড়েনি। ৪৪টি গবেষণার সার-সংকলন করে এই মেটা-অ্যানালিসিসে দ্ব্যর্থহীনভাবেই বলা হয়েছে, মানুষের মধ্যে কোল্ড ড্রিংকসের ব্যবহার কমানোর সুপারিশ বিজ্ঞানসম্মত। কেবল বিজ্ঞানের দিক থেকে দেখলে, ঠান্ডা পানীয় বন্ধ করারই সুপারিশ করা উচিত। কিন্তু বড়ো কোম্পানির হাত, মানুষের ইচ্ছেমতো খাবার স্বাধীনতা, ইত্যাদি নানান সামাজিক-রাজনৈতিক বিষয়ের জন্য এতোটা বলতে কেউ সাহস করে না।
ডায়েট সোডা
ডায়েট সোডা বলে একটা জিনিস বাজারে চালু আছে। যেমন কোকা-কোলা কোম্পানির ‘ডায়েট কোক’। এতে ক্যালোরি কম। কিন্তু ‘ডায়েট’ কথাটা শুনলে যেন মনে হয়, এটা ওজন কমাতে সাহায্য করবে। ব্যাপারটা তা নয়। ডায়েট সোডা খেলে তার মধ্যে খুব স্বল্প অতিরিক্ত ক্যালোরি যায় বটে, কিন্তু অন্য সব কোল্ড ড্রিংকসের মতোই ডায়েট সোডা আলুভাজা ও নানা নোনতা খাদ্য বেশি খাবার ইচ্ছে তৈরি করে। এটা ক্ষুধা বাড়ালেও বাড়াতে পারে, কোনোভাবেই তা কমায় না। ফলে এটাকে ডায়েট বলে আখ্যা দিলে ভুল ধারণা তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
কোকা-কোলা বা পেপসি কোম্পানির প্রচার থেকে কোনো কোনো ভোক্তা ভেবেছিলেন, তাদের ডায়েট সোডা খেলে ওজন কমাতে সুবিধা হবে। পরে তাঁরা আমেরিকার আদালতে এ নিয়ে কোকা-কোলা, পেপসিকো এবং ডক্টর পেপার স্ন্যাপল গ্রুপ (DPS)-এর বিরুদ্ধে কয়েকটি পৃথক মামলা করেছিলেন। এই কোম্পানিগুলো কার্বনেটেড পানীয় অর্থাৎ সোডা দেওয়া মিষ্টি জলের তিনটি বৃহত্তম মার্কিন নির্মাতা। মামলাগুলোতে অভিযোগ করা হয়েছিল, কোম্পানিরা বিপণন করার জন্য ‘ডায়েট সোডা ওজন কমাতে সাহায্য করে’ এইটা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বলেছে, আর এভাবে ভোক্তাদের প্রতারিত করেছে। অথচ বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়েট সোডা ওজন কমাতে সাহায্য তো করেই না, বরং অপ্রত্যক্ষভাবে তা ওজন বাড়ায়। তার কারণ আমরা আগেই আলোচনা করেছি। (তথ্যসূত্র ২)
অবশ্য মামলাতে কোম্পানি জিতছে। যেমন ক্যালিফোর্নিয়ার আপিল আদালতের তিনজন বিচারক কোকা-কোলা কোম্পানির বিরুদ্ধে করা মামলায় রায় দিয়েছেন যে, ডায়েট সোডা ওজন হ্রাসে সহায়তা করার দাবি করে না। রায় অনুসারে, একটি ঠান্ডা পানীয়ের ‘ডায়েট’ সংস্করণে তার ‘নিয়মিত’ পানীয়ের চাইতে কম ক্যালোরি থাকে। একটি সোডার ব্র্যান্ডের নাম ‘ডায়েট’ দেবার জন্য কোম্পানিকে মিথ্যাচার বা প্রতারণার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। লক্ষণীয়, বিচারকেরা কিন্তু ডায়েট সোডা ওজন বাড়ায় না, বা ওজন কমাতে সাহায্য করে, এমন বলেননি। (তথ্যসূত্র ৩)
এদেশে প্যাকেজ করা পানীয় জল লিটার-পিছু ২০ টাকায় বিক্রি হয়, আর আমরা তাকে মিনারেল ওয়াটার বলে চিনি ও কিনি। ঠান্ডা পানীয়ের ব্যাপারে আমরা এতটাই মোহগ্রস্ত যে সব চাইতে বড়ো কোল্ড ড্রিংকস কোম্পানিগুলোই এই প্যাকেজড পানীয় জল বিক্রিতে এগিয়ে। ইউরোপ-আমেরিকাতেও একই কাণ্ড চলছে। (তথ্যসূত্র ৪)
সমীরদার ছেলেমেয়ে
—“ওফ্, সে এক দিন গেছে!” ফোন করে বলছিলেন সমীরদা। “যে বাচ্চারা কোল্ড ড্রিংকস, চিপস, চকোলেট ছাড়া কিছু খেতে চাইত না, তারা স্রেফ মোটা দেশি চালের ভাত, রুটি, ডাল, সবজি, চুনোমাছ আর ফল খেয়ে প্রায় দু-বছর কাটাল।”
—“ওজন কমেছে?” আমি জিজ্ঞাসা করি।
—“কুড়ি কেজি। কুড়ি মাসে কুড়ি কেজি।”
—“ব্যায়াম করে কমানো যেত না?”
—“না। ব্যায়াম করা দরকার। বিশেষ করে প্রেশার আর সুগার বেড়ে গেছিল, সেটার জন্য ব্যায়াম খুব দরকারি ছিল। আর দরকার কমানো ওজন ধরে রাখার জন্য। কিন্তু ব্যায়াম করে ওজন কমে না।”
ভাবছি একবার সমীরদার বাড়ি যাব। অতবড়ো ফ্রিজটায় এখন কী রাখছে, দেখে আসব।
তথ্যসূত্র
১) Vartanian LR, Schwartz MB, Brownell KD. Effects of soft drink consumption on nutrition and health: a systematic review and meta-analysis. Am J Public Health. 2007 Apr;97(4):667-75. doi: 10.2105/AJPH.2005.083782.
২) Diet soda makers sued over “misleading” ads October 19, 2017, https://www.cbsnews.com/news/diet-soda-makers-sued-over-misleading-ads/, accessed on 19 March 2023
৩) https://www.indiatoday.in/trending-news/story/us-woman-sues-diet-soda-brand-for-not-making-her-shed-weight-loses-lawsuit-in-court-1633605-2020-01-03, accessed on 19 March 2023
৪) How Pepsi and Coke make millions bottling tap water, as residents face shutoffs. The Guardian. 23 Apr 2020. https://www.theguardian.com/us-news/2020/apr/23/pepsi-coke-bottled-water-consumer-reports, accessed on 19 March 2023