চলছে লকডাউন ?। দুজনেই ২৪ ঘণ্টা কাছাকাছি ?। সমীক্ষা বলছে, এর ফলে বাড়ছে অবাঞ্ছিত প্রেগন্যান্সির সমস্যা ?। অনেক দম্পতিই যদিও এই সময়ে সন্তান চাইছেন না । কারণ ভবিষৎ অনিশ্চিত ?। কাজেই সন্তান না চাইলে এ সময়ে বাড়তি সতর্ক হতেই হবে ?। গর্ভনিরোধের জন্য যে পদ্ধতি উপযুক্ত মনে হয় তাই ব্যবহার করতে হবে ?। খুব দরকার হলে এমার্জেন্সি কনট্রাসেপটিভ পিলও ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে???। আপনার আনন্দ❤️ যেন আপনার নিরানন্দের ? কারণ না হয়।
গর্ভনিরোধের নানা উপায়
গর্ভনিরোধ নিয়ে আর কোনও রাখঢাক নয়। অবাঞ্ছিত সন্তানধারণের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আগেভাগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
মহিলাদের জীবনে যে কোনও সময়ে কন্ট্রাসেপশন বা গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা অবলম্বনের প্রয়োজন হতে পারে। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর, নববিবাহিত কিংবা হঠাৎ কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে অবাঞ্ছিত গর্ভরোধ করার জন্য এর কোনও বিকল্প নেই। যদিও সবার জন্য একই রকম পদ্ধতি কার্যকর নয়। যে মহিলা সদ্য সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আর যিনি অসাবধানবশত শারীরিক মিলনে লিপ্ত হয়েছেন তাঁদের দুজনের অবশ্যই দুরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। তবে কার জন্য কী পদ্ধতি বেশি কার্যকর তা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞই ঠিক করে দিতে পারেন।
গর্ভনিরোধকের বিভিন্ন পদ্ধতির বিভিন্নরকম ভূমিকা। যেমন কোনও পদ্ধতি শুক্রাণু-ডিম্বাণু মিলনে বাধা সৃষ্টি করে তো কোনওটা আবার ডিম্বানু নিঃসৃত হতেই দেয় না। দেখে নেওয়া যাক কোন পদ্ধতি কীভাবে কাজ করে।
স্বাভাবিক পদ্ধতিঃ
মহিলাদের উর্বর দিনগুলোতে সহবাস থেকে বিরত থাকা। এই প্রক্রিয়া খুবই নিরাপদ অর্থাৎ শরীরে কোনও সমস্যা হয় না। তবে এর ওপর অনেক সময়েই ভরসা করা যায় না। বিশেষকরে যেসব মহিলার পিরিয়ড অনিয়মিত হয় তাদের এর ওপর আস্থা না রাখাটাই শ্রেয়।
ব্যারিয়ার মেথড বা প্রতিবন্ধক পদ্ধতিঃ
এই পদ্ধতিতে শুক্রাণু-ডিম্বাণুর মিলনে বাধা সৃষ্টি করা হয়। ফলে গর্ভসঞ্চার হয় না। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য তৈরি কন্ডোম, ডায়াফ্রাম ইত্যাদি ব্যবহার করে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা যায়। এর আরেকটা উপকারি দিক হল, এতে সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ আটকানো যায়।
মেকানিক্যাল মেথডঃ
ইন্ট্রা ইউটেরাইন ডিভাইস অর্থাৎ জরায়ুর ভেতরে ইংরেজি টি অক্ষরের মতো দেখতে একটা ডিভাইস বসিয়ে দেওয়া হয়। এটি গর্ভনিরোধে সাহায্য করে।
সার্জিক্যাল মেথডঃ
যাঁরা ভবিষ্যতে আর সন্তান চান না তাঁদের জন্য এটা সবচেয়ে উপযুক্ত। পুরুষদের ভ্যাসেকটমি বা নির্বীজকরণ আর মহিলাদের স্টেরিলাইজেশন করলে স্থায়ীভাবে গর্ভসঞ্চার আটকানো যায়।
ওরাল কন্ট্রাসেপ্টিভ পিল বা গর্ভনিরোধক বড়িঃ
এই পদ্ধতিতে শরীরে হরমোনের কার্যকলাপকে একটু পরিবর্তিত করে দেওয়া হয়। এই মুহূর্তে গর্ভনিরোধক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে এই পিল। বিশেষকরে লো ডোজের ইস্ট্রোজেন-প্রোজেস্টেরন কম্বাইন্ড পিল এখন বহু মহিলার জীবনে ভরসা জোগাচ্ছে। কারণ এর সাইড এফেক্টস নেই। উপরন্তু পলিসিস্টিক ওভারি, পিরিওডের সময় ব্যথার সমস্যা থাকলে তা দূর হয়। এছাড়া পিলে পুরুষ হরমোন নিয়ন্ত্রিত হওয়ার কারণে ত্বকে জেল্লা আসে। মহিলাদের কাছে এটা একটা দারুন প্রাপ্তি।
তবে ব্রেস্ট ফিড করানো মহিলাদের কম্বাইন্ড নয়, খেতে হয় প্রোজেস্টেরন ওনালি পিল। এই পিল বুকের দুধের ওপর কোনও প্রভাব ফেলে না।
এমারজেন্সি কন্ট্রাসেপ্টিভ পিলঃ
অসাবধানতাবশত মিলনের ফলে অবাঞ্ছিত গর্ভসঞ্চার আটকানোর জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহারে ভাল ফল পাওয়া যায়। সহবাসের পর ৭২ ঘন্টার মধ্যে ১৫০ মিগ্রা লিভোনরজেস্টিল বড়ি খেতে হয়। সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে খেতে পারলে। এরপর যত সময় গড়ায় ততই বিপদের আশাঙ্কা একটু করে বাড়তে থাকে। তবে এটা এক-দুবার চলতে পারে, নিয়মিত খাওয়া একদম চলবে না। নিয়মিত খেলে নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।