মানুষের সৃষ্টি করা ধর্ম ও ঈশ্বর যখন মানুষের চেয়ে বড় হয়ে ওঠে তখন সে মানুষকেই মারে। ভালোবাসার কথা নিরন্ত্র বলা ছাড়া এই অভিশাপ থেকে বেরোনোর রাস্তা নেই। কীভাবে মানুষকে ভালোবাসায় জাগিয়ে তোলা যায় তারই অন্বেষণ এই কবিতায়। ।।ধর্ম আর ঘৃণা।। কেউ থাকে রামে কেউ ইসলামে মানুষের হাত ধরে থাকি বাতাসে অতল ঘৃণা মানুষ বাঁচল কি না তাতে কিছু আসে যায় নাকি? ধর্ম হিংসা দেবে ধর্ম রক্ত নেবে ভালোবাসা তুমি তবে কার? তোমরা ধর্ম গাও অনায়াসে গুনে যাও ঘৃণা আর লাশের পাহাড় আমার একলা গান আল্লা বা ভগবান কারও কাছে শিখবে না ঘৃণা তোমার দুয়ারে আসি ভালোবাসি ভালোবাসি হে মানুষ, ভালোবাসবে না? তোমাকে কারা নাচায় কারা যেন ওসকায় ধর্ম-আবেগ মানুষের বলে, ‘মারো নয় মরো,’ তুমিও তাহাই করো একই ইতিহাস লেখো ফের অন্ধ ধর্মশ্বাসে শাসকের ভোট আসে তোমার হারাম হয় জিনা মেটে না তোমার খিদে মন্দিরে মসজিদে তুমি শুধু চাষ করো ঘৃণা! আমার এ দ্রোহ-গান আল্লা বা ভগবান কারও কাছে ঘৃণা শিখবে না তোমার দুয়ারে আসি ভালোবাসি ভালোবাসি ও মানুষ, ভালোবাসবে না?
কথা । আবহ। কণ্ঠ : পল্লব কীর্ত্তনীয়া
ক্যামেরা: দেবস্মিতা