প্রথমেই বলে রাখি এই লেখা আমার মত স্বল্পজ্ঞানী মানুষের জন্য। যারা এ বিষয়ে গভীর প্রজ্ঞার অধিকারী তারা হয়ত এ সম্পর্কে অনেক বেশি আলোকপাত করতে পারবেন।
যাক আগে আসি ভ্যাকসিন কি?
A vaccine is a biological preparation that provides active acquired immunity to a particular infection disease. সহজে বললে ভ্যাকসিন বা টিকা হল একটি substance যা ইনজেক্ট করলে কোন pathogen-এর বিরুদ্ধে শরীরের immunity বা অনাক্রমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। Immunity মূলত দুরকম innate বা স্বাভাবিক immunity ও adaptive বা অভিযোজিত immunity। এছাড়াও আছে passive immunity ও immunization। এ কোন রোগের ক্ষেত্রে innate immunity ব্যর্থ হলেই ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রশ্ন ওঠে। ভ্যাকসিন তৈরি হয় সেই disease causing pathogen বা pathogen-এর অংশ নিয়ে। কিন্তু সেই pathogen বা রোগ-সৃষ্টিকারী microorganism -এর দুটি ভূমিকা থাকে। একটি disease causing অপরটি immunogenic property যা এন্টিবডি তৈরি করে। ভ্যাকসিনে disease causing প্রপার্টি নষ্ট করে দেওয়া হয় তাই তা রোগ সৃষ্টি করে না কিন্তু রোগ প্রতিরোধে এন্টিবডি তৈরি করে যা memory B cell pathogen হিসাবে মনে রাখে। ভ্যাকসিন তিন রকমের 1) subunit ভ্যাকসিন যা portion of pathogen, 2) live attenuated vaccine নিষ্ক্রিয় pathogen, 3) নিউক্লিক acid ভ্যাকসিন যা genetic পার্ট modify করে তৈরি।
আমাদের সরকারের মাথারা বলছেন 15 আগস্টের মধ্যে ভ্যাকসিন চাই। যেন ছেলের হাতের মোয়া। Animal trial, human trial, marketing জন্য বাজারজাত করা বহু পথ পেরিয়ে ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। মনে রাখবেন আমরা এখুনো HIV (এইডস)-এর ভ্যাকসিন তৈরিতে সক্ষম হয় নি। মোট 25 টি রোগ WHO বলছে ভ্যাকসিন দিয়ে প্রতিরোধ করা সম্ভব। 1796 সালে এডওয়ার্ড জেনার , 1885 সালে লুই পাস্তুর বহু বিজ্ঞানীর জীবনলব্ধ পরিশ্রমের ফল এই জীবনদায়ি টিকা।
আসি অপ্রিয় প্রশ্নে। গোটা পৃথিবীতে শিক্ষা গবেষনা সব ব্যক্তি মুনাফার হাতে ছেড়ে দেওয়ায় আজ আমাদের ভুগতে হচ্ছে। কারণ বাকি চিকিৎসার মত ভ্যাকসিন গরিব মানুষের ক্রয়ক্ষমতার আয়ত্তের বাইরে। তাই সরকার দায়িত্ব নিলেই সম্ভব এই রোগগুলো নির্মূল করা। আমাদের দাবি তোলা উচিত SARS-COV2-এর ভ্যাকসিন আমাদের দেশের পাবলিক সেক্টর unit বা সরকারি সংস্থা দিয়ে প্রস্তুত করতে হবে। আমাদের দেশের তিনটি মূল সংস্থা আছে যারা এ কাজে সক্ষম।
1. Central রিসার্চ ইন্সটিটিউট, কসাউলি
2. পাস্তুর ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া, কুনুর
3. The BCG ভ্যাকসিন ল্যাব চেন্নাই। তারা ইতিমধ্যেই ডিপথেরিয়া, পোলিও, টিটেনাস, typhoid, স্মল পক্স, cholera বা TB-এর ভ্যাকসিন ও Anti-Serum তৈরি করে। তার বদলে বহুজাতিক ও বেসরকারি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে করোনা ভ্যাকসিনের দায়িত্ব যা আসতে এখনো অনেক পথ বাকি। ভুললে চলবে না বিশ্বের প্রথম প্লেগের ভ্যাকসিন আমাদের দেশের বোম্বেতে তৎকালীন Waldemer Haffkine তৈরি করে 1896-97 সালে। অথচ আমাদের দেশের সরকার এই সংস্থা দিয়ে সস্তায় তৈরি না করে চীনের PSU থেকে বেশি দামে আমদানি করছে। এর জন্য আমরা বিদেশের ওপর বা বেসরকারি কোম্পানির ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি ও তার মাধ্যমে অনেক অপ্রয়োজনীয় frivolous vaccine আমাদের দেশে ঢুকে পড়ছে। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী সঠিকভাবে বলেছেন “self reliance and self sufficiency ” হল এ সময়ের সবচেয়ে বড় শিক্ষা। কিন্তু আমাদের দেশের 80 শতাংশ ভ্যাকসিন তৈরি হয় বেসরকারি কোম্পানির দ্বারা যার মূল্যের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই ও এর জন্য আমাদের খরচ প্রায় 7 গুণ বেড়ে গেছে। আজ মনে রাখতে হবে n cov virus দ্রুত mutate করতে পারে ফলে research ও হাসপাতালের সাথে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থার তথ্য আদানপ্রদান দরকার যা একমাত্র সরকারি ব্যবস্থাপনার দ্বারা সম্ভব। তাই CSIR, ICMR বা Biotechnology Department এর সাথে এই উদ্যোগে স্বাধীন পেশাদার মনোভাব আমাদের এই বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে। না হলে মানুষ এই চিকিৎসায় সর্বস্বান্ত হবে।
তথ্যসূচী :
The Public Sector Is Crucial for Self-Reliance in Vaccines and Public Health
Y Madhabi
সুনীতি কুমার মন্ডল জন বিজ্ঞান ইশতেহার
ও অন্যান্য লেখা