সেকেন্ড ওয়েভের আগেই আবার পরিকল্পনাহীনতায় ভুগছে প্রশাসন। যার মূল্য দিতে হতে পারে সাধারণ মানুষ কে জীবন দিয়ে৷
শহরের একটি মাত্র টিচিং টার্সিয়ারি হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল বানিয়ে সমস্ত কোভিড পজেটিভ পেশেন্টদের সেখানেই যেন তেন প্রকারেন ট্রান্সফারের নির্দেশ দিলে কি হতে পারে তার প্রমাণ পাওয়া গেল গতকাল। গতকাল এক থ্যালাসেমিয়া ও আক্রান্ত শিশুকে ব্লাড ট্রান্সফিউশন চলাকালীন ট্রান্সফার করে দেওয়া হয় মেডিকেলের শিশু বিভাগে। যদি রাজ্যের সমস্ত টার্সিয়ারি হসপিটাল বা টিচিং হসপিটালগুলিতে আলাদা কোভিড ওয়ার্ড থাকত (অন্তত পক্ষে ১৫০-২০০ বেডের), বা টিচিং হসপিটাল ছাড়া অন্যান্য কিছু সরকারি হসপিটালকে (যেমন লেডি ডাফরিন, মেয়ো হস্পিটাল, শম্ভুনাথ পন্ডিত) কোভিড হসপিটালে পরিনত করা যেত (decentralized plan), তাহলে এমারজেন্সি পেশেন্টদের কোভিড পজিটিভ হওয়ামাত্র তড়িঘড়ি মেডিকেল কলেজে (শিশু এবং প্রসূতি মায়েদের একমাত্র কোভিড হাসপাতাল) রেফার করতে হত না তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। এড়ানো যেত ব্লাড চলাকালীন পেশেন্ট ট্রান্সফার বা গতবছর জুন মাসে চারটি হাসপাতাল ঘুরে কোভিড সাসপেক্ট বছর আঠারোর তরুণের মৃত্যুর মতো মর্মান্তিক ঘটনা। বাড়তে পারত টোটাল কোভিড বেডের সংখ্যাও, আরও ভালো ভাবে ব্যবহার করা যেত হেলথকেয়ার ওয়ার্কারদের ম্যানপাওয়ার (ডাক্তার, নার্স, গ্রুপ ডি, স্যুইপার) এবং পেশেন্ট ট্রান্সফার সংক্রান্ত জটিলতা, ট্রান্সফার হওয়াকালীন পেশেন্টদের শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনাও এড়ানো যেত। কিন্তু এগুলির কোনোটিই করা হয়নি বা হচ্ছে না, প্রায় একবছর সময় পাওয়ার পরও।
ইতিমধ্যেই রাজধানী দিল্লির প্রতিটি হাসপাতালেই খোলা হয়েছে আলাদা কোভিড ব্লক। কোভিড – ননকোভিড চিকিৎসা চলছে একই সাথে।
কোভিড সেকেন্ড ওয়েভের পর থার্ড, ফোর্থ ওয়েভও আসবে কি না জানা নেই। জানা নেই ঠিক কত দিন বা কত বছর ‘কোভিড হাসপাতাল’ নাম দিয়ে এরকম ভাবে কোভিড, নন কোভিড পেশেন্টদের চরম অসুবিধা ও অপূরণীয় ক্ষতির মধ্যে ফেলার, সর্বোপরি একটি বা দুটি টিচিং হাসপাতালকে অকেজো করে রাখার প্ল্যান করছেন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
অনেক সময় গেছে, এখনো সময় আছে, ভুল শুধরে সঠিক পরিকল্পনা করুন, এত মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা বন্ধ করুন।
#SaveMCK