(শ্রদ্ধেয় সুকুমার রায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে)
ভয় পেও না, ভয় পেও না, তোমায় আমি মারব না।
ইমিউনিটিতে পড়লে ভাঁটা, তখন নাকি ছাড়ব না।
হয়তো তুমি ফুঁকছো বিড়ি, গাঁজা-মদে রমরমা।
কিডনি, লিভার, সিওপিডি? তাও তোমায় ধরবো না।
মরলে তুমি কো-মর্বিডিটি। মৃত্যুপত্রে থাকবো না৷
সেলুকাসের আজব দেশে কুস্তি লড়ে পারব না।
মিথ্যা তোদের লকডাউন, আর মিথ্যা হিসেব জল্পনা।
তারিখ দেখে বেরোই আমি। বিষ্যুদবার?? না না না।
মিথ্যে হিসেব অর্থনীতির, তোদের নাকি যন্ত্রণা।
হাসপাতালে বিলের বহর? দেখছি, তবু বলছি না।
স্কুলের ছুটি, আপিস ছুটি, শংসা পত্রে অধিক মান।
ভেন্টিলেটর “মানুষ” হল, ফিরিয়ে দিলাম সে সম্মান।
তোদের মনে জায়গা পেলো সুশান্ত, রিয়া, গুগল- মিট।
আমার তরে “চাই” না গেল। দেশি, গোবর বেদম হিট।
তোদের দিলাম সত্যি ছুটি, জন্মহারে দ্বিগুণ মান।
একশ জনে মারছি তিনেক, মিথ্যে তবু এ দুর্নাম।
নীরেন বাবুর সেই কবিতায়, কাপড় খোঁজা সেই ছেলেটা!
রাজধর্ম ভুলে গিয়ে মোসাহেবের যে কেউকেটা–
প্রাণ বাঁচানো চিকিৎসকের প্রাণ গিয়েছে যে ছুরিতে-
কর্পোরেটের মেদ বেড়েছে, বিল বেড়েছে যে চুরিতে।
তাদের বিরূপ গাইছি আমি, আম-জনতার প্রতিনিধি।
জোর করে ভাই শিখিয়ে দেবো, মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।
বুঝিয়ে দেবো কঠিন সময়, কে যে আপন, কে বা পর।
তোমার হয়ে লড়ছে আপন, বাকি সবাই স্বার্থপর।
শিক্ষা দিলাম, বুঝছো না তো, ধরব নাকি লাং দুটা?
লিভার চেপে, কিডনি কেটে, করবো নাকি কান্ডটা?
আমি আছি, “ফুলু” আছে, ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাক পেলে।
সবাই মিলে কামড়ে দেবো, মিথ্যে অমন ভয় পেলে।
???