বিষোপাখ্যান
২০১৫ সালে ডেবরা হাসপাতালে যখন জয়েন করি তখন হাসপাতাল এত ঝাঁ চকচকে সুপার স্পেশালিটি হয়নি। হাতে গোনা কয়েকজন স্বাস্থ্য কর্মী নিয়ে আমাদের রোজনামচায় রোগের চিকিৎসার
২০১৫ সালে ডেবরা হাসপাতালে যখন জয়েন করি তখন হাসপাতাল এত ঝাঁ চকচকে সুপার স্পেশালিটি হয়নি। হাতে গোনা কয়েকজন স্বাস্থ্য কর্মী নিয়ে আমাদের রোজনামচায় রোগের চিকিৎসার
মাস খানেক আগের কথা। সপ্তাহ খানেকের ভোগান্তি নিয়ে চেম্বারে এসেছিলো বছর সাতেকের অনুপম। হাঁটু,গোড়ালি,কব্জিতে অসহ্য ব্যথা। চোখদুটি লাল। “এই কয়েকদিনে অনেক ওষুধ খেয়েছে ডাক্তারবাবু। কিছুতেই
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ক্লাস নিয়ে ফেরার সময় ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সামনে গাড়ি দাঁড় করালাম। টুক করে খানিক স্মৃতি রোমন্থনের লোভে ঢুকে পড়লাম আমার পুরানো
গ্রামীণ এক হাসপাতালের চিকিৎসক তখন। শ্রাবণের এলোপাথাড়ি হাওয়া চলছে বাইরে। বৃষ্টি নেই। আকাশে মেঘের ভ্রূকুটি। লম্বা সাদা দাড়িওলা এক বৃদ্ধকে নিয়ে এক যুবক ঢুকলো হাসপাতালের
ভিয়েতনাম সফরের শেষ দিনেই হলো যত গন্ডগোল। হোটেলে চেক আউট হলো সকাল আটটায়। রাত আড়াইটায় ফ্লাইট। শেষ দিনে কিছু বাজারপাতি করে না নিয়ে গেলে বাড়িতে
সাত সকালে পেটে ব্যথার রোগী। সাথে পরিজনের পল্টন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুখ বাড়িয়ে এগিয়ে এলেন সঙ্গে আসা গ্রামীন চিকিৎসক। রাত থেকেই “গ্যাসের” চোটে পেটে
গ্র্যাজুয়েসনের পর গ্রামীণ হাসপাতালে পোস্টিং। হরেক রকমের রোগী। আজব আজব রোগের প্রকাশ। সত্যি বলতে কি, চিকিৎসা বিদ্যার কোনও বইয়েই এসব অদ্ভুত রোগ বর্ণনা নেই। এই
তোমাদের গ্রামে ঘরে তো সব রোগকেই “গ্যাস” হয়েছে বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। হার্ট অ্যাটাকের ব্যথাই হোক বা ব্রেনের স্ট্রোকই হোক সবই গ্যাসের ঠেলায় হচ্ছে বলে
শীতের রাত্রে গোপীবল্লভপুরের জঙ্গলঘেরা হাসপাতাল। নব্য সুপারস্পেশালিটি। নতুন বিল্ডিংগুলোর দেয়ালে নতুন রঙের পোঁচ পড়েছে হপ্তা খানেক আগেই। এ প্রদেশে রাতের জটিল রোগী মানেই আগে ঝাড়গ্রাম
গেল মাসে পড়শীরা অরুণাচল প্রদেশ বেড়াতে গিয়েছিলেন। বোমডিলা থেকে তাওয়াং যাবার পথে গাড়িতে আরও ওপরে ওঠার সময় হঠাৎ যেন ঘুমে চোখ জড়িয়ে এলো। হালকা মাথা
২৮ শে মে,২০১০ সাল। ভোর রাত্রে মেদিনীপুর মেডিক্যাল হস্টেলে শুরু হলো ছোটাছুটি। জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা। প্রিন্সিপাল স্যার সমস্ত জুনিয়র চিকিৎসকেদের তড়িঘড়ি ডেকে পাঠিয়েছেন হাসপাতালের বি.সি.রায়
পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশনে পড়তাম। ১৫ ই আগষ্ট বিশেষ প্যারেড হতো। সামনে মহীরুহ ব্যক্তি। পতাকা উত্তোলন সমাগত। সাদা ড্রিল ড্রেসে আমরা কচিকাঁচারা প্ল্যাটুন বিশেষে দন্ডায়মান। হঠাৎ
২০১৫ সালে ডেবরা হাসপাতালে যখন জয়েন করি তখন হাসপাতাল এত ঝাঁ চকচকে সুপার স্পেশালিটি হয়নি। হাতে গোনা কয়েকজন স্বাস্থ্য কর্মী নিয়ে আমাদের রোজনামচায় রোগের চিকিৎসার
মাস খানেক আগের কথা। সপ্তাহ খানেকের ভোগান্তি নিয়ে চেম্বারে এসেছিলো বছর সাতেকের অনুপম। হাঁটু,গোড়ালি,কব্জিতে অসহ্য ব্যথা। চোখদুটি লাল। “এই কয়েকদিনে অনেক ওষুধ খেয়েছে ডাক্তারবাবু। কিছুতেই
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ক্লাস নিয়ে ফেরার সময় ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সামনে গাড়ি দাঁড় করালাম। টুক করে খানিক স্মৃতি রোমন্থনের লোভে ঢুকে পড়লাম আমার পুরানো
গ্রামীণ এক হাসপাতালের চিকিৎসক তখন। শ্রাবণের এলোপাথাড়ি হাওয়া চলছে বাইরে। বৃষ্টি নেই। আকাশে মেঘের ভ্রূকুটি। লম্বা সাদা দাড়িওলা এক বৃদ্ধকে নিয়ে এক যুবক ঢুকলো হাসপাতালের
ভিয়েতনাম সফরের শেষ দিনেই হলো যত গন্ডগোল। হোটেলে চেক আউট হলো সকাল আটটায়। রাত আড়াইটায় ফ্লাইট। শেষ দিনে কিছু বাজারপাতি করে না নিয়ে গেলে বাড়িতে
সাত সকালে পেটে ব্যথার রোগী। সাথে পরিজনের পল্টন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুখ বাড়িয়ে এগিয়ে এলেন সঙ্গে আসা গ্রামীন চিকিৎসক। রাত থেকেই “গ্যাসের” চোটে পেটে
গ্র্যাজুয়েসনের পর গ্রামীণ হাসপাতালে পোস্টিং। হরেক রকমের রোগী। আজব আজব রোগের প্রকাশ। সত্যি বলতে কি, চিকিৎসা বিদ্যার কোনও বইয়েই এসব অদ্ভুত রোগ বর্ণনা নেই। এই
তোমাদের গ্রামে ঘরে তো সব রোগকেই “গ্যাস” হয়েছে বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। হার্ট অ্যাটাকের ব্যথাই হোক বা ব্রেনের স্ট্রোকই হোক সবই গ্যাসের ঠেলায় হচ্ছে বলে
শীতের রাত্রে গোপীবল্লভপুরের জঙ্গলঘেরা হাসপাতাল। নব্য সুপারস্পেশালিটি। নতুন বিল্ডিংগুলোর দেয়ালে নতুন রঙের পোঁচ পড়েছে হপ্তা খানেক আগেই। এ প্রদেশে রাতের জটিল রোগী মানেই আগে ঝাড়গ্রাম
গেল মাসে পড়শীরা অরুণাচল প্রদেশ বেড়াতে গিয়েছিলেন। বোমডিলা থেকে তাওয়াং যাবার পথে গাড়িতে আরও ওপরে ওঠার সময় হঠাৎ যেন ঘুমে চোখ জড়িয়ে এলো। হালকা মাথা
২৮ শে মে,২০১০ সাল। ভোর রাত্রে মেদিনীপুর মেডিক্যাল হস্টেলে শুরু হলো ছোটাছুটি। জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা। প্রিন্সিপাল স্যার সমস্ত জুনিয়র চিকিৎসকেদের তড়িঘড়ি ডেকে পাঠিয়েছেন হাসপাতালের বি.সি.রায়
পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশনে পড়তাম। ১৫ ই আগষ্ট বিশেষ প্যারেড হতো। সামনে মহীরুহ ব্যক্তি। পতাকা উত্তোলন সমাগত। সাদা ড্রিল ড্রেসে আমরা কচিকাঁচারা প্ল্যাটুন বিশেষে দন্ডায়মান। হঠাৎ
আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।
Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas
Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097
নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে