Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Search
Generic filters
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Generic filters

দ্বিতীয় ঢেউ এর দিনগুলি ১৫

IMG_20210518_195634
Dr. Aindril Bhowmik

Dr. Aindril Bhowmik

Medicine specialist
My Other Posts
  • May 20, 2021
  • 6:18 am
  • No Comments

কসাই ডাক্তার

অনেক চেষ্টা করেও পজিটিভ থাকা যাচ্ছে না। রবিবার রবি ঠাকুরের জন্মদিন ছিল। ওনার গান একবারে পজিটিভিটির চূড়ান্ত। সাতসকালে স্কুটারে ঘোলার চেম্বারে যেতে যেতে গুনগুন করছিলাম,
“আমি ভয় করব না ভয় করব না।
দু বেলা মরার আগে মরব না, ভাই, মরব না॥
তরীখানা বাইতে গেলে মাঝে মাঝে তুফান মেলে—
তাই ব’লে হাল ছেড়ে দিয়ে কান্নাকাটি ধরব না”॥

গায়ে দু’ফোঁটা জল পড়তেই চমকে গান থামালাম। তরী বাইবার সময় তুফান এলে তবু মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু স্কুটার চালানোর সময় বৃষ্টি এলে মুশকিল। তার উপর আবার রেনকোট আনিনি।

যেই প্রথম রোগী খক খক করে কাশতে কাশতে খুপরিতে ঢুকলেন, গাটা সিরসির করে উঠল। বেশ বুঝলাম আজ সারাদিন ভূতুড়ে অক্সিজেন স্যাচুরেশনের রোগী দেখতে দেখতে কাটবে।

প্রথম রোগীর অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৮৭%। আমি পালস অক্সিমিটার নেড়েচেড়ে দেখলাম। চাইনিজ মাল, ঠিক আছে তো? তবে ইদানীং চীন দেশীয় করোনা যা খেল দেখাচ্ছে, তাতে চাইনিজ জিনিসপত্রের উপর শ্রদ্ধা ফিরে আসছে। পালস অক্সিমিটারটা নিজের হাতে লাগালাম। স্যাচুরেশন ৯৯%। ঠিকই আছে।

ভদ্রলোক বললেন, ‘ডাক্তারবাবু, পাঁচদিন ধরে জ্বরে ভুগছি। পরীক্ষা টরীক্ষা করে লাভ নেই। আমি শিওর আমার করোনা হয়েছে। সেই মতো ওষুধ দেন। আসলে প্রপার ওষুধটা পড়ছে নাতো, তাই জ্বরও কমছে না।’

এই সব ইয়ে পাকা রোগীদের হাড়ে হাড়ে চিনি। তবু গালি দিলাম না। আহা বেচারা, বাঁচবে কী মরবে ঠিক নেই। বলুক, যা ইচ্ছে বলে নিক। শান্ত ভাবে বললাম, ‘পরীক্ষা না করেই ধরে নেবো?’

ভদ্রলোক বললেন, ‘পরীক্ষা না দিয়ে ছেলেমেয়েরা উচ্চমাধ্যমিক, মাধ্যমিকের মার্কশিট পেয়ে যেতে পারে, আর আপনি পরীক্ষা না করে বলতে পারবেন না এটা করোনা কিনা?’

বললাম, ‘বিলক্ষণ পারব, আপনার নিশ্চিত করোনা হয়েছে। তবে ওষুধ দিতে পারব না। কারণ আপনাকে এখনি ভর্তি হতে হবে। আপনার স্যাচুরেশন ৯০% এরও নীচে।’

ভদ্রলোক বললেন, ‘কী যাতা বলছেন। আমি দিব্যি হাঁটাচলা করতে পারছি। হাঁটতে গেলে সামান্য একটু হাঁফ ধরছে। তা জ্বর হলে সেটুকু হাঁফ তো ধরতেই পারে, কী বলেন?’

কী আর বলব। বললাম, ‘দেখুন, কোভিডে যেটা হয় তাকে বলে সাইলেন্ট হাইপক্সিয়া। রোগীর তেমন কোনো সমস্যা হয় না, অথচ অক্সিজেন স্যাচুরেশন ক্রমশ কমতে থাকে। আর সমস্যা যখন শুরু হয়, ততোক্ষণে বড় দেরী হয়ে যায়। আপনি এক্ষুণি নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে যান, গিয়ে অক্সিজেন, স্টেরয়েড, নেবুলাইজেশন ইত্যাদি নেন। ওখানে কোভিডের র‍্যাপিড টেস্টও হয়ে যাবে। বাড়ি বসে থেকে নিজের জীবনের ঝুঁকি নেবেন না।’

ভদ্রলোক অত্যন্ত অসন্তুষ্ট মুখে বিদায় নিলেন। আমার উপর অসন্তুষ্ট হন, তাতে অসুবিধা নেই, কিন্তু ওনার জীবনটা বেঁচে যাক।

পরের ভদ্রলোক রোগী আনেননি। ওনার মায়ের কোভিড হয়েছে। বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করছেন। সেটা নিয়েই আমার সাথে আলোচনা করতে এসেছেন।

ওনার বক্তব্য শুনে বুঝলাম মায়ের অবস্থা ভালো নয়। বাড়িতে রেখেই অক্সিজেন দিচ্ছেন। স্যাচুরেশন অক্সিজেন দিলে ৮৫- ৮৬% এর কাছাকাছি থাকছে। অক্সিজেন বন্ধ করলে ৮০% এর নীচে নেমে যাচ্ছে। ওনার মা খাওয়া দাওয়া প্রায় বন্ধই করে দিয়েছেন। লিকুইড ছাড়া কিছুই খেতে পারছেন না।

বললাম, ‘এতো ঝুঁকি নিয়ে বাড়িতে রেখে দিয়েছেন কেন? কোথাও ভর্তি করছেন না কেন?

ভদ্রলোক উত্তর দিলেন, ‘মা হাসপাতালে ভর্তি হতে চাইছেন না।’

বললাম, ‘কেউ কী সাধ করে হাসপাতালে ভর্তি হতে চায়। বাধ্য হয়েই হতে হয়।’

‘হাসপাতালে ভর্তি হলে শুনছি কেউ বেঁচে ফিরছেন না। আমাদের পাড়ার একজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, কালকে মারা গেছেন।’

বললাম, তিনিও নিশ্চিৎ আপনার মায়ের মতো তিনদিন ধরে বাড়িতে অক্সিজেন নিয়ে তারপর ভর্তি হয়েছিলেন। আর হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর অনেকেই তো দেখাতে আসছেন। তাঁদের কাউকে দেখেই তো আমার ভূত বলে মনে হয়নি।’

ভদ্রলোক বললেন, ‘আপনি একটু দেখুন ডাক্তারবাবু। একবার ওষুধপত্র গুলো ঠিক ঠাক চলছে কিনা দেখে দিন।’

ভালো করে দেখলাম। যা যা ওষুধ চলার কথা সবই চলছে। এন্টিবায়োটিক, নেবুলাইজেশন, স্টেরয়েড, ব্লাড থিনার, এমন কী এন্টি ভাইরাল ওষুধও খাচ্ছেন। বললাম, ‘সবই তো চলছে, এরপর উন্নতি না হলে ভর্তি করা ছাড়া দ্বিতীয় বিকল্প নেই।’

ভদ্রলোক অধির হয়ে বললেন, ‘আর কোনো ওষুধ দিলে কী উন্নতি হতে পারে। আপনি যদি একটু সাহায্য করেন। সরকারি হাসপাতালে নাকি রোগীদের ফেলে রেখে দিচ্ছে। ডাক্তার- নার্স কেউ রোগীর ধারে কাছে যাচ্ছে না। বিনা চিকিৎসায় সবাই মারা যাচ্ছে।’

রেগে মেগে বললাম, ‘সরকারি হাসপাতালের উপর ভরসা না থাকলে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করুন।’

‘সেগুলো তো একেকটা ডাকাত। দরকার না থাকলেও রোগীকে ভেন্টিলেটরে তুলে মেরে ফেলবে, আর লাখ লাখ টাকা বিল করবে।’

মাথা বেশ গরম হয়েছে। ভদ্রলোককে অনেকক্ষণ বোঝানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু ইনি সহজে বোঝার লোক নন। ছোটো চিরকুটে একটা ফোন নাম্বার লিখে ভদ্রলোককে দিয়ে বললাম, ‘এইটা যত্ন করে রেখে দিন। আপাতত আপনাকে এই একটা মাত্র সাহায্যই করতে পারি।’

ভদ্রলোক অবাক হয়ে বললেন, ‘এটা কী?’

‘দেখুন, এখন করোনায় মারা গেলে হাজার ঝামেলা। যে কোনো শববাহী গাড়িতে মৃতদেহ নিয়ে যেতে পারবেন না, বিশেষ গাড়ি জোগাড় করতে হবে। কেউ মৃতদেহ তুলতে রাজী হবে না। যদি বা কেউ রাজী হয়, পিপিই কিট চাইবে। যে কোনো শ্মশানে মৃতদেহ দাহ করতে পারবেন না। সেই আলমবাজার শ্মশানে যেতে হবে। এটা একটা সংগঠনের ফোন নাম্বার যারা মাত্র দশ হাজার টাকা দিলেই বাড়ি থেকে মৃতদেহ তুলে নিয়ে গিয়ে দাহ করে দেবে। আপনাদের কোনো ঝামেলা থাকবে না।’

ভদ্রলোক সম্ভবত আমাকে গালাগালি দিতে দিতে খুপরি থেকে বেড়িয়ে গেলেন। এজন্যই ডাক্তারদের সবাই কসাই বলে।

PrevPreviousমারীর দেশের রোদ জ্বলা লকডাউন
Nextকেরাম কাকুদের গল্পNext
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত পোস্ট

ডক্টরস’ ডে-তে কিছু ভাবনা-চিন্তা

July 3, 2022 No Comments

আজ ডক্টর্স ডে। ডাক্তারদের নিয়ে ভালো ভালো কথা বলার দিন। ডাক্তারবাবুদেরও নিজেদের মহান ভেবে আত্মপ্রসাদ লাভের দিন। দুটিই বাড়াবাড়ি এবং ভ্রান্ত। কেননা, স্রেফ একটি বিশেষ

কেন? প্রথমাংশ: ছ’তলার রহস্য

July 3, 2022 No Comments

~এক~ হাতের বইটা নামিয়ে রেখে মিহির গুপ্ত দেওয়ালের ঘড়ির দিকে তাকালেন। পৌনে একটা। ঘরে একটাই রিডিং ল্যাম্পের আলো। নিভিয়ে দিলেন। বাইরে ঝিমঝিমে অন্ধকার। শহর হলে

মেডিক্যাল কলেজের ইতিহাস (২য় পর্ব) – ১৮৬০ পরবর্তী সময়কাল

July 3, 2022 No Comments

ষষ্ঠ অধ্যায় – মেডিক্যাল শিক্ষার অন্দরমহলে নারীর প্রবেশ প্রিন্সিপাল ডি. বি. স্মিথের পেশ করা ১৮৭২-৭৩ শিক্ষাবর্ষের রিপোর্টের শুরুতে খবর দেওয়া হল – কেমিস্ট্রি ও মেডিক্যাল

যেখানের কথা বলতে হয় ফিসফিস করে

July 2, 2022 No Comments

মাঝবয়সী, ৪০-৪৫ বছরের মানুষ। কাজ করতে গেলে ভয়, বাইরে বেরোলে ভয়, বেশি মানুষ দেখলে ভয়, একা থাকলে ভয়। তার সঙ্গে জুড়ে আছে অনেকদিন ধরে চলতে

কাল যেমন ছিলাম আজও তেমনই আছি,……অতি সাধারণ একজন খেটে খাওয়া মানুষ।

July 2, 2022 No Comments

লিখব না, লিখব না করেও লিখে ফেললাম। আজ এক ডাক্তার বন্ধু’র দেয়ালে এই চমৎকার লাইনগুলো দেখার পরে না লিখে পারলাম না। বন্ধুটি আবেদন করছে: “বুকে

সাম্প্রতিক পোস্ট

ডক্টরস’ ডে-তে কিছু ভাবনা-চিন্তা

Dr. Bishan Basu July 3, 2022

কেন? প্রথমাংশ: ছ’তলার রহস্য

Dr. Aniruddha Deb July 3, 2022

মেডিক্যাল কলেজের ইতিহাস (২য় পর্ব) – ১৮৬০ পরবর্তী সময়কাল

Dr. Jayanta Bhattacharya July 3, 2022

যেখানের কথা বলতে হয় ফিসফিস করে

Dr. Aniket Chatterjee July 2, 2022

কাল যেমন ছিলাম আজও তেমনই আছি,……অতি সাধারণ একজন খেটে খাওয়া মানুষ।

Dr. Samudra Sengupta July 2, 2022

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

399675
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

wpDiscuz

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।