অনির্বাণকে নিয়ে কথা
অনির্বাণ, তোমার সাথে আর দেখা হবে না। হবার কথা ছিল না, এমন নয়। তুমি কিংবা পারিপার্শ্বিক সে সুযোগ দিল না। কিন্তু তোমায় নিয়ে রূপকথার স্বপ্ন বাঁধবো না কেন? তোমার প্রতিবাদী গানের অন্য পারেও তো থাকত রূপকথার আভাস।
আমার এ লেখাটা তোমাকে উৎসর্গ করলাম, অনির্বাণ। জানি, তুমি এখনও মুক্তির খোঁজে পথ হাঁটবে। তোমার মনে পড়বে নিশ্চয়ই, কৃষণ চন্দরের “পেশোয়ার এক্সপ্রেস” গল্পটির কথা। পেশোয়ার এক্সপ্রেস এখানে নিজের মনে কাহিনী শোনায়। এক ট্রেন ভর্তি জবাই হওয়া হিন্দু ভারতে আসছে, ফিরতি ট্রেনে ট্রেনভর্তি হিন্দুদের হাতে কাটা মুসলিম দেহ নজরানা হিসেবে ফেরত যাচ্ছে। ট্রেনটি গোঙায়। অবশেষে সেই মেয়েটিকে পেয়ে গেলো দাঙ্গাবাজেরা – “মেয়েটি ওদের হাতে নিহত হল। জঙ্গলের শুকনো ঘাসের ওপর মেয়েটি ছটফট করতে করতে মারা গেল। আর তার হাতের বইখানা রঞ্জত হল তারই দেহের রক্তে। বইটা ছিল সমাজতন্ত্র নিয়ে লেখা।” জন স্ট্র্যাচির Why One Should Be A Socialist। “সে তো নারী ছিল। হতো কারও প্রিয়তমা অথবা জননী। আর এখন সে এই জঙ্গলে পড়ে আছে লাশ হয়ে। শকুন আর শেয়ালেরা তার লাশ ছিঁড়েখুঁড়ে খাবে। সমাজতন্ত্র নিয়ে লেখা বইটা জানোয়ারেরা ছিঁড়েখুঁড়ে খেয়ে ফেলেছে। বিপ্লবের দরজা আর কেউ খুলছে না। কেউ কিছু বলছে না।”
আবার তোমার মতো বুঝদার ‘শিশু’র জন্যও মানুষকে নিয়েও বুখেনওয়ার্ল্ড কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের মৃত্যু উপত্যকাতেও একটি রূপকথা জন্ম নেয়। তোমার মনে পড়ে অনির্বাণ, ব্রুনো আপিৎজ-এর Naked Among Wolves-এর সেই শিশুটির কথা, যাকে মৃত্যুর প্রহরগোণা বন্দীরা বাক্সের মধ্যে সন্তর্পনে লুকিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছিল? যখন সে ক্যাম্প সোভিয়েত সেনারা দখল করল, ক্যাম্পের দরজা ভেঙে গেল তখন – “The child bobbed like nutshell above surging heads. It twirled in the eddy through the narrows of the gate. The current swept it along on its liberated billows, which were no longer to be restrained.”
তুমিও তো আমাদের হৃদয়ে হৃদয়ে খেলে, গেয়ে বেড়াচ্ছ, অনর্বাণ!
আমার উৎসর্গ অনির্বাণকে
সম্ভবত গোর্কির লেখা “ইতালির রূপকথা”-য় পড়েছিলাম সেই স্তব্ধ করে দেওয়া কাহিনী। এখন যতদূর মনে পড়ে অস্কার ওয়াইল্ডের একটি গল্পেও এরকম এক কাহিনীর বর্ণনা ছিল। বনের মাঝে এক কাঠুরে যুবক ওর প্রাণাধিক প্রিয় মাকে নিয়ে দিন কাটাতো কোনভাবে। বনের ওপারে বা শহরে এক অসামান্য রূপবতী মেয়ের সাথে তার যোগযোগ ঘটে। জীবনের নিয়মেই ছেলেটি মেয়েটিকে তার প্রণয় জ্ঞাপন করে। এর চেয়েও স্বাভাবিক নিয়মে মেয়েটি তাকে প্রত্যাখ্যান করে। শেষ অবধি অনেক সানুনয় প্রার্থনার পরে মেয়েটি রাজি হয় একটি শর্তে – যদি ছেলেটি তার প্রাণের চেয়েও প্রিয় মা-র হৃৎপিণ্ড হাতে করে এনে দিতে পারে। এরপরে এক ঘনঘোর দুর্যোগের রাতে, বাইরে যখন মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে, বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, ব্জ্রপাত হচ্ছে, সেসময়ে মার বিস্মিত দৃষ্টির সামনে, অবোধ অনুভূতিকে সাক্ষী করে মা-কে হত্যা করে তার হৃৎপিণ্ড দুহাতের মুঠোয় ধরে ছেলেটি রওয়ানা দিল তার প্রণয়িনীর উদ্দেশ্যে। ঘনঘোর অন্ধকারের মাঝে গাছের শেকড়ে পা আটকে ছেলেটি পড়ে গেল। ওর হাত থেকে হৃৎপিণ্ডটি ছিটকে পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে গেল। জোনাকি হয়ে টুকরোগুলো জ্বলতে লাগলো। সবকটা নানা দিক থেকে ছেলেটিকে আদর করে, স্নেহার্দ্র স্বরে বারবার শুধোতে থাকলো – “বাছা! তোর লাগেনি তো?”
এভাবেই নাকি পৃথিবীতে জোনাকির জন্ম! এরকম একটি রূপকথার জন্য হাজার মাইল পথ হাঁটা যায়। পরজন্মে একটুও বিশ্বাস না করেও অনেকবার জন্ম নেবার আকুতি রক্ষা করা যায়।
আহা! এমনটা যদি হত – চারপাশের জোনাকিরা জিজ্ঞেস করে চলেছে – “বাছা! তোর লাগেনি তো?” এমন এক জীবন যদি ফিরে ফিরে পাওয়া যায়!
আমারও এক নিজের জগৎ ছিল ছোটবেলায় (এখনও কি নেই? আর সবারও কি নেই?)। সেখানে ভূত ছিল, ভয় ছিল, স্বপ্নকাব্য ছিল, রূপকথার জলছবির চলে চলে যাওয়া, ভেসে ভেসে যাওয়া ছিল। সাড়ে পাঁচ দশক আগে আমরা যে স্কুল কোয়ার্টার্সে থাকতাম সেখানে বারান্দা থেকে মাত্রই হাত দশেকেরও কমদূরত্বে দেয়ালের গা ঘেঁষে ছিল একটি টিউবওয়েল। আর দেয়ালের গায়ে ছিল এক অস্পষ্ট অনির্দিষ্ট আকৃতির একটি কালো দাগ। আমী সন্ধে হলেই দেখতাম একটা মাথা দেখা যাচ্ছে সে দাগের মধ্য দিয়ে, এমনকি কখনো কখনো চোখও। আমি কি করি তখন? আমার ওইটুকু প্রাণ নিয়ে? আরো অনেকদিন পরে পড়লাম –
“চিড়িয়াখানায় নাম জানো তো, আমার সেজোমেসোর
আদর করে দেখিয়েছিলেন পশুরাজের কেশর।
কদিন পরে চুন-খসানো দেয়াল জুড়ে এ কি!
ঠিক অবিকল সেরকমই মূর্তি যেন দেখি’।”
তখনতো আর আমি জানিনা “আকাশপারে আবারও চোখ” আটকে গেলে “শরৎ মেঘে দেখতে পেলাম রবীন্দ্রনাথকে” পৃথিবীতে ঘটেই চলেছে। ট্রেন যখন ছুটে চলে তখন “একেকরকম ভঙ্গী ফোটে একেকরকম নাচে”। কিন্তু ওগুলোকে চিত্রনাট্য বললে মিথ্যে কথার সামিল হয়, বকুনি খেতে হয়। এমনি করে ভোরেরে কুয়াশার মতো নিঃসারে কাউকে না জানিয়ে, কাউকে বুঝতে না দিয়ে, দেখতে না দিয়ে সরে যায়, মরে যায় রূপকথা।
মরে কি যায়?
“গড়গড়ের মা লো, গড়গড়ের মা,
তোর গড়গড়েটা কৈ?
হালের গরু বাঘে খেয়েছে,
পিঁপড়ে টানে মৈ !”
কিংবা
“ও জামাই খেয়ে যা রে
সাধের নতুন তরকারি,
শিলভাতে, নোড়াভাজা,
কোদাল চড়চড়ি !”
এরকম এক কাব্য মুহূর্তে আমাদের স্মৃতিও আবার জেগে ওঠেনা? সময়ের প্রবাহে বয়ে যাওয়া, চুপিসারে লুকিয়ে থাকা রূপকথার সেই বহুরঙ্গা ভুবন?
Solomon Grundy,
Born on a Monday,
Christened on a Tuesday,
Married on a Wednesday
Ill on Thursday Worse on Friday
Died on Saturday
Buried on Sunday.
That was the end of Solomon Grundy.
এ চিত্রের মাঝে কিছুটা রুক্ষতা আছে, হয়তো বা নির্দয়তাও। আমাদের দেশীয় সম্পদ লোকছড়াতে পাওয়া যায় এর তুল্য আমাদের একটি ছড়া পড়ি একবার। মিলিয়েও নিতে পারি রসাস্বাদনের দিক থেকে।
“সোমবারেতে আনবে ছানা দোকান হতে কিনি,
মঙ্গলেতে পেস্তা বাদাম, আনবে কাশীর চিনি।
বুধবারে চড়িয়ে কড়া আগুন দিবে জ্বেলে,
বেস্পতিতে ছানা চিনি, মিশিয়ে দেবে ঢেলে।
শুক্রবারে খুন্তি নাড়ার টুং-টাং সুর,
শনিবারে চৌদিকেতে সুগন্ধে ভরপুর !
রবিবারে নাইকো পড়া বই রাখো তুলে,
উৎসাহেতে লেগে যাও হাঁড়ির ঢাকা খুলে।”
ভিন্নতর কোন ব্যঞ্জনা ছাড়া এক অমলিন খুশির আবেশ – তার ছলে সপ্তাহের দিনগুলো জেনে নেওয়া। এখানে রূপকথার মতোই একটি চিত্রকল্প জন্ম নেয়। এ উপহার থেকে কি করে, কেন বঞ্চিত করছি আমরা শিশুদেরকে? আমাদের নিজেদেরকেই কি ঠকিয়ে যাচ্ছিনা একই সাথে? রবীন্দ্রনাথের “ছেলেভুলানো ছড়া” থেকে দু-একটি ছড়া আমরা পড়তে পারি।
“পুঁটু নাচে কোন্খানে।
শতদলের মাঝখানে।
সেখানে পুঁটু কী করে।
চুল ঝাড়ে আর ফুল পাড়ে।
ডুব দিয়ে দিয়ে মাছ ধরে।।”
কিংবা
“ধন ধোনা ধন ধোনা।
চোত-বোশেখের বেনা॥
ধন বর্ষাকালের ছাতা।
জাড় কালের কাঁথা॥
ধন চুল বাঁধবার দড়ি।
হুড়কো দেবার নড়ি॥
পেতে শুতে বিছানা নেই।
ধন ধুলোয় গড়াগড়ি॥
ধন পরানের পেটে।
কোন্ পরানে বলব রে ধন
যাও কাদাতে হেঁটে॥
ধন ধোনা ধন ধন।
এমন ধন যার ঘরে নাই তার বৃথায় জীবন।।”
কিংবা
“ইকড়ি মিকড়ি চাম-চিকড়ি, চাম কাটে মজুমদার।
ধেয়ে এল দামুদর॥
দামুদর ছুতরের পো।
হিঙুল গাছে বেঁধে থো॥
হিঙুল করে কড়মড়।
দাদা দিলে জগন্নাথ॥
জগন্নাথের হাঁড়িকুঁড়ি।
দুয়োরে বসে চাল কাঁড়ি॥
চাল কাঁড়তে হল বেলা।
ভাত খাওসে দুপুরবেলা॥
ভাতে পড়ল মাছি।
কোদাল দিয়ে চাঁচি॥
কোদাল হল ভোঁতা।
খা ছুতরের মাথা।।”
পূর্ব বাংলার দুর্গম থেকে দুর্গমতর অঞ্চলে দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার যখন কর্দমাক্ত পথে বেশিরভাগ সময়ে পায়ে হেঁটে, কখনো ঘোড়ায় চড়ে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে ঘরে ঘরে ঢুকে সাতরাজার ধন “ঠাকুরমার ঝুলি”-র মণি-মানিক্য সংগ্রহ করছেন তখন তাঁর সবচেয়ে বড়ো দুজন মানসিক পৃষ্ঠপোষক ছিলেন দীনেশচন্দ্র সেন এবং স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। এ বই প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯০৭ সালে – ঘোর জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের উদ্ভাস। বইটির ভূমিকায় রবীন্দ্রনাথ লিখলেন –“ঠাকুরমার ঝুলিটির মত এত বড় স্বদেশী জিনিস আমাদের দেশে আর কি আছে? কিন্তু হায় এই মোহন ঝুলিটিও ইদানীং ম্যাঞ্চেস্টারের কল হইতে তৈরী হইয়া আসিতেছিল। এখনকার কারে বিলাতের “Fairy Tales” আমাদের ছেলেদের একমাত্র গতি হইয়া উঠিবার উপক্রম করিয়াছে। স্বদেশের দিদিমা কোম্পানী একেবারে দেউলে।”বললেন, “বাঙ্গালীর ছেলে যখন রূপকথা শোনে তখন কেবল যে গল্প শুনিয়া সুখী হয়, তাহা নহে – সমস্ত বাংলাদেশের চিরন্তন স্নেহের সুরটি তাহার তাহার তরুণ চিত্তের মধ্যে প্রবেশ করিয়া, তাহাকে যেন বাংলার রসে রসাইয়া লয়। …. বিলাতী কলমের যাদুতে রূপকথায় কথাটুকু থাকিলেও সেই রূপটি ঠিক থাকে না; সেই চিরকালের সামগ্রী এখনকার কালের হইয়া উঠে।”
রূপকথা থেকেই রস এবং চিত্রকল্প নিয়ে সৃষ্টি করলেন –
“তেপান্তরের পাথার পেরোই রূপ-কথার
পথ ভুলে যাই দূর পারে সেই চুপকথার –
পারুলবোনের চম্পারে মোর হয় জানা মনে মনে।।
……………………………………………………
পরীর দেশের বন্ধ দুয়ার দিই হানা মনে মনে।।”
১৯শ শতকের সংস্কৃত স্কলার ম্যাকডোনেল তাঁর History of Sanskrit Literature-এ ভারতীয় রূপকথার পশ্চিমী বিজয়ের কাহিনীও উল্লেখ করেছেন বেশ জোর দিয়ে। যাক সে কথা। আধুনিক সময়ে রূপকথার একটুখানি ছোঁয়া দিয়ে যায় এ সময়ের এক উপন্যাসে – “নীলাকাশ কি আগে আর দেখে নি বিনু? আকাশ যে এত উজ্জ্বল, এত ঝকঝকে, নীলকান্ত মণির মতো এমন দীপ্তিময় হতে পারে কে জানত! তার গায়ে থোকা থোকা ভারহীন সাদা মেঘ জমে আছে। শরৎকালটা যেন সবটুকু বিস্ময় নিয়ে বিনুর সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।” (প্রফুল্ল রায়, কেয়া পাতার নৌকো)
কিংবা আধুনিক মনন, বৌদ্ধিক বিস্তার এবং রূপকথাধর্মী ছড়ার এক অনবদ্য উদাহরণ আমাদের সুকুমার রায়।
“কেউ কি জান সদাই কেন বোম্বাগড়ের রাজা –
ছবির ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখে আমসত্ত্ব ভাজা?
রানীর মাথায় অষ্টপ্রহর কেন বালিশ বাঁধা?
পাঁউরুটিতে পেরেক ঠোকে কেন রানীর দাদ?
কেন সেথায় সর্দি হলে ডিগবাজি খায় লোকে?
জোছনা রাতে সবাই কেন আলতা মাখায় চোখে?
…..
সিংহাসনে ঝোলায় কেন ভাঙা বোতল শিশি?
কুমড়ো নিয়ে ক্রিকেট খেলে কেন রাজার পিসী?”
“বাছা! তোর লাগেনি তো?” দিয়ে শুরু হয়েছিল এ লেখা। সেরকম এক রূপকথার মতো কাহিনী রচিত হয়েছিল হিটলারের বুখেনওয়াল্ড কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে। Bruno Apitz-এর লেখা Naked Among Wolves উপন্যাসে। অতি সংক্ষেপে ঘটনাটি এরকম। কোনভাবে এক সুটকেস বন্দী হয়ে একটি ছোট শিশু ক্যাম্পে এসে পৌঁছয়। যখন একের পরে এক বন্দীকে গ্যাস চেম্বারে মেরে ফেলা হচ্ছে তখন এই দেবশিশুটি জীবনের প্রতীক হয়ে ওঠে। এর হাত থেকে তার হাত – এভাবে হাত বদল হতে হতে এই জীবন কণা বেঁচে থাকে। ও নিজেও লুকিয়ে থাকার কৌশল রপ্ত করে ফেলে। এরপরে সোভিয়েত আর্মির আক্রমণে এবং ক্যাম্পের গুপ্ত রেজিসট্যান্স স্কোয়াডের যৌথ আক্রমণে ক্যাম্পের ব্যারাকগুলো পরের পর নাৎসী ঘাতকদেরনিজেদের কিলিং ফিল্ড হয়ে দাঁড়ায়। বন্যার মতো বন্দীরা বেরোতে থাকে। উপন্যাস শেষ হচ্ছে এভাবে –
Suddenly Kropinski ran off, holding out the child in front of him, towards the gate, into the raging flood.
“Marian!” Hofel called after him. “Where are running to?”
But the vortex had already swallowed him up.
Kropinski raised the crying bundle over his head so that it should not be crushed in the irrepressible torrent.
The child bobbed like a nutshell above the surging above the surging heads.
It twirled in the eddy through the narrows of the gate. The current swept it along on its liberated billows, which were no longer to be restrained.
আরেকটি রূপকথার চলচ্ছবি নির্মিত হল বোধহয় – ডিজিটাল দুনিয়ার অমানবিক আখ্যানের বাইরে। এরকম রূপকথার সন্ধানেই আমাদের চরৈবেতি! অনির্বাণ আমাদের সাথী।
Very good writing 🙏🙏🙏
Sensible 🙏🏼
সুপ্রভাত। লেখাটা পড়লাম। শুরু টা খুব সুন্দর। তারপর লেখাটা ছড়িয়ে গিয়েছে। আরেকটু ছোট, আরেকটু আঁটো সাটো হলে ভালো হতো। শেষের দিকে ধৈর্য্য ধরে রাখা মুশকিল। তবে তথ্যসমৃদ্ধ এতে কোনো ভুল নেই। বিশ্ব সাহিত্যের একটা পরিক্রমা হয়ে গেল।
লেখক শব্দের দক্ষ কারিগর। তাই অনায়াসে বিষয় থেকে বিষয়ান্তরে চলে যেতে পারেন।
রোমহর্ষক, মন ছুঁয়ে গেল।
যুগে যুগে ধর্মীয় অথবা রাজনৈতিক কারণে সবলের দুর্বলের ওপরে হত্যালীলা চলেছে। ওই সময় শুভবুদ্ধি কোথায় যেন উধাও হয়ে যায়।
খুব ভাল লিখলেন। ছোট গল্প থেকে উদ্ধৃতি দেওয়ায় লেখাটি সমৃদ্ধ হল।
☝️এই প্রসঙ্গে বলতে চাই: সব জোনাকিরা মরে গেছে। সত্যি সত্যিই মরে গেছে।আমরা তাদের মেরে ফেলেছি।
পঁচিশ – তিরিশ বছর আগেও সর্বত্র জোনাকি দেখতে পেতাম।বছর দশেক ধরে আর দেখি না।না শহরে, না শহরতলীতে, না গ্রামে! স্বপ্নের মত ওরাও শেষ।
কাব্য করছি না। সত্যিই জোনাকিরা নেই।
তোমরা কেউ কি দেখতে পাও?
…..Abar brishti namchey, shahorey jangoley…..(Qoted)
Sutorang mon kharap kora noy.
অনবদ্য, সত্যি ই তাই, রূপকথারা মরে না, দেশ কালের সীমানা ছাড়িয়ে রূপকথারা প্রদীপ জ্বেলে চলে
অনির্বাণকে আমি চিনেছি আপনার এবং আপনার কিছু সহকর্মীর কলমে। আপনার লেখা পড়ার পর শুধু “নির্বাণহীন আলোকদীপ্ত” শব্দদুটো মনে পড়ছে। রবীন্দ্রনাথ ওই যে লিখেছিলেন –
অরূপ, তোমার বাণী
অঙ্গে আমার চিত্তে আমার মুক্তি দিক্ সে আনি।
সেকথাই বারে বারে মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে … এই গানটা একমাত্র আশ্রয় মনে হচ্ছে।
Erokom Okalproyane Antorik Bhave Khubi Dukkito…..
অনির্বাণকে স্মরণ করে সামাজিক দায়ভার খানিকটা মেটাতে পারলেন। ওঁর মৃত্যুটা পারিবারিক বিশ্বাসবোধের ভিতটাই নাড়িয়ে দিল। 🙏